কোরআন ও হাদিসের আলোকে বললে ভাল হত|
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলামে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম, পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এ বিষয়ে রয়েছে বিষদ বর্ণনা। সাধারণত বিয়েকে ইসলাম উৎসাহিত করে তথাপি অবস্থা ও পারিপার্শ্বিকতার উপর ভিত্তি করে এটি কোন কোন ব্যক্তির জন্য ফরজ হয়, কারও জন্য মুস্তাহাব, কারও জন্য শুধুই হালাল এমনকি কারও কারও জন্য হারামও হয়ে থাকে। এই নীতি মুসলমান নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। নবী হজরত মুহাম্মদ (তাঁর উপর শান্তি বর্ষিত হোক) বিয়েকে তাঁর সুন্নত বলে উল্লেখ করেছেন। যোগ্য ও সামর্থবানের জন্য বিয়ে যেমন সওয়াবের কাজ, তেমনি অযোগ্য- অসামর্থ ব্যক্তির জন্য বিয়ের অনুমোদন ইসলামে নেই। সুস্থ্য-সুন্দর সমাজ গঠনে সঠিক বিয়ের প্রয়োজন আছে আর এর গুরুত্বও অপরিসীম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অনেক সক্ষম ও স্বাবলম্বী পুরুষও মনে করেন, বিয়ে করলে স্ত্রীর ভরণ পোষণ দিতে পারবে না। সামান্য আয়ে দুজনের সাংসারিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে। এ জন্য বিয়ে থেকে দূরে থাকে। এটা আদৌ উচিত নয়। কারণ রাসূল সা. বিবাহিত ব্যক্তিকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আর এ কথাও স্বীকৃত, বিয়ে ব্যক্তির উপার্যন বাড়িয়ে দেয়, কমায় না। রাসূল সা. বলেছেন, তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর কর্তব্য, এক. আযাদী চুক্তিবদ্ধ গোলাম, যে তার রক্তমূল্য আদায় করতে চায়, দুই. পবিত্রতার মানসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি, তিন. আল্লাহর পথে যুদ্ধকারী। সুতরাং একজন সামর্থবান পুরুষকে অবশ্যই যথা সময়ে বিয়ে করা উচিত। কোনো অজুহাতে এ থেকে বিরত থাকলে দুনিয়ার নানা রকম ফেৎনা ও ঝামেলায় জড়িয়ে যেতে হবে। "হে যুবক পুরুষেরা, আমি তোমাদেরকে বিয়ে করার পরামর্শ দিচ্ছি।" —ওয়াসায়লুশ শিয়া (vol. 14, p. 25) “ ” "হে যুব সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যাদের বিয়ে করার সামর্থ আছে তাদের উচিৎ বিয়ে করা; এটি দৃষ্টিকে নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। আর যাদের বিয়ে করার সামর্থ নেই তারা যেন রোজা রাখে, কেননা তা যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করে।" —(বুখারী, মুসলিম)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Tafim

Call

এক জন পুরুষ ও আর একজন নারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েই মূলত একটি সভ্য সমাজের গোড়া পত্তন করে। যদি বিয়ের বন্ধন না থাকে তবে, সমাজের কঠামো মজবুত হয়না। থাকেনা পারিবারীক বন্ধন। আবার একজন পুরুষ বা নারী যাকে খুশী তাকেই বিয়ে করতে পারেনা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, " যুবসমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিবাহ করা কর্তব্য। কেননা বিবাহয় দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন ছিয়াম পালন করে। কেননা ছিয়াম হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম’। "" অবস্থা ও পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে বিবাহের হুকুম ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন- ওয়াজিব : যার শারীরিক শক্তিমত্তা, সক্ষমতা ও আর্থিক সামর্থ্য রয়েছে এবং যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ ও পদস্খলনের আশংকা করে, তার জন্য বিবাহ করা ওয়াজিব। আল্লাহ বলেন," ‘যাদের বিবাহের সামর্থ্য নেই, আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে’ (নূর ২৪/৩৩) । কেননা আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং হারাম থেকে মুক্ত থাকা ওয়াজিব, যা বিবাহ ব্যতীত সম্ভব নয়’ (নূর ৩৩) " হারাম : যার দৈহিক মিলনের সক্ষমতা ও স্ত্রীর ভরণ-পোষণের সামর্থ্য নেই তার জন্য বিবাহ করা হারাম। (ফিক্বহুস সুন্নাহ ৩/১৩১) ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সামর্থবান ব্যাক্তির বিবাহ করা ফরজ আর বিবাহ করার মাধ্যমে একজন ব্যাক্তির অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ হয়।তাই বিয়ে না করলে আল্লাহ নারাজ হবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ