শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

না, এটি ঠিক নয়। যদি কোনো এক ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়, তবে পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজের আগেই কাজা পড়ে নিতে হবে। যেমন: যদি কারো এশার নামাজ অথবা বিতির নামাজ কাজা হয়, তবে ফজরের নামাজের আগেই কাজা আদায় করে নিতে হবে। এশা বা বিতিরের নামাজ কাজা না পড়ে ফজর পড়লে ফজর নামাজ হবে না। এরকম অবস্থায় এশা ও বিতিরের নামাজের কাজা আদায় করে নিয়ে পুনরায় ফজর নামাজ পড়তে হবে। এরকম যদি জোহর কাজা হয়, তবে আসর নামাজের আগে, আসর কাজা হলে মাগরিবের নামাজের আগে এবং মাগরিব কাজা হলে এশার নামাজের আগে পড়ে নিতে হবে। কাজা না পড়েও ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়লে নামাজ হয়ে যায় এরকম অবস্থা ৩টি। যেমন: ১. কাজা নামাজ আদায় করতে গিয়ে যদি ওয়াক্তিয়া নামাজও কাজা হবার সম্ভাবনা থাকে ২. কাজা নামাজের কথা মনে না থাকলে ৩. পাঁচ ওয়াক্তের বেশী নামাজ কাজা হয়ে গেলে খন্দকের যুদ্ধের সময় মহানবী (সাঃ) ও সাহাবাগণের চার ওয়াক্তের নামায ছুটে গেলে গভীর রাত্রিতে তিনি বিলাল (রাঃ) কে আযান দিতে আদেশ করেন। (শাফেয়ী, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, ইবনে হিব্বান, সহীহ) অতঃপর প্রত্যেক নামাযের পূর্বে ইকামত দিতে বলেন। এইভাবে প্রথমে যোহ্‌র, অতঃপর আসর, মাগরেব ও এশার নামায পরপর কাযা পড়েন। (নাসাঈ, সুনান, আহমাদ, মুসনাদ, বায়হাকী প্রমুখ, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ১/২৫৭) সুতরাং, উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে কোন ওয়াক্তের নামাজ কাযা হয়ে গেলে আগে কাযা নামাজ আদায় করতে হবে, তারপর ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে হবে। যদি ওয়াক্তের নামাজ ছুটে যাবার সম্ভাবনা থাকে তবে সেই অবস্থায় ওয়াক্তের নামাজ আগে আদায় করে তারপর কাযা আদায় করতে হবে। তথ্যসূত্র: ১. http://www.somewhereinblog.net/blog/maroufblog/28927003 ২. http://www.hadithbd.com/showqa.php?b=19&s=236

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ