বিয়ের কথা তো মেয়ের মা ও জানে না। আপনার পরিবারকে না জানালে তো তারাও জানবে না। কাজেই তারা মেনে নেবে বলে আমার মনে হয়। আর যেহেতু আপনারা একে অপরকে ভালবাসেন তাই আপনারা সুখী হবেন বলে আমার ধারনা। আর একটা কথা। মেয়েটি তো ইচ্ছা করলে আপনাকে এসব না বললেও পারত। কিন্তু বলেছে কারন তার ভালোবাসা খাটি এবং সে আপনাকে ঠকাতে চায় না। যদি তাই হয় তাহলে বিয়েরর পর আপনাকে সে নিশ্চই সুখী রাখার প্রানপন চেষ্টা করবে। এখন শুধু একটাই প্রশ্ন যে আপনি তার আগের বিয়ের কথা মন থেকে মেনে নিতে পেরেছেন কিনা। যদি পারেন তাহলে মেয়েটিকে বিয়ে করে ফেলুন। ইনশাল্লাহ সুখী হবেন।
দেখুন আমার মতে আপনার লিখা কথা যদি সত্যি হয় তাহলে এখানে মেয়েটির কোন দোষ নাই। মানুষের জীবনে অনেক ঘটনাই ঘটে যার জন্য সে দায়ী নয় বরং ভুক্তভুগী। এবার মূল কথায় আসি আপনি যদি তার অতীত মেনে নিয়ে তাকে নিজের সঙ্গী করতে পারেন তাহলে এতে কোন সমস্যা নেই। পুরো বিষয়টি আপনার উপর নির্ভর। তবে হে আপনার পরিবার যদি তাকে মেনে না নেয় তবে আপনারা ভবিষৎ এ সুখী হতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না। আপনি আপনার পরিবারকে বুঝান। তারা যদি মেনে নেন তাহলে বিয়ে করতে পারেন। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ঐ মেয়েটির পক্ষে আছি কারণ সে আপনার কাছে কিছু লুকাই নি। সে সৎ।।যা করবেন ঠান্ডা মাথায় ভেবে চিন্তে করবেন।। সিদ্ধান্ত এখন আপনার।। শুভ কামনা রইল।।
আপনি যেহেতু বিবাহিত নন, এবং সে মেয়েটি যেহেতু বিবাহিত বা ডিবোর্সি, সেহেতু তাকে বিয়ে করলে আপনি ১০০% সুখি হতেও পারেন আর যদি সুখী না হন ১০০% দুখীও হতে পারেন। প্রথমত আপনি দেখবেন যে, উক্ত মেয়েটি রুপসী কিনা? যদি অত্যন্ত রুপসী হয়ে থাকে তাহলে আপনার বুঝে শুনে সামনে পা দিতে হবে নতুবা ১০০% দুখী হতেও পারেন। আপনি তদন্ত করা ছাড়া একান্ত রুপসীর মায়ায় পড়ে যদি ভালবাসার ফাঁদে পড়ে তাকে বিয়ে করেন তাহলে আপনার কপালে যে দুঃখ আছে সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। তদন্ত করে দেখবেন তাকে ডিবোর্স দেয়া হয়েছে কিনা নাকি সেই নিজেই ডিবোর্স দিয়েছে। যদি স্বামী কর্তৃক ডিবোর্স হয়ে থাকে তাহলে স্বামীর লোক সমাজের ভিক্তিটা দেখবেন যদি সমাজে সে ভাল একজন মানুষ হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয় উক্ত মহিলা খারাপ ছিল যার কারনে ডিবোর্স প্রাপ্ত হয়েছে। আর যদি মেয়েটা সুন্দরী না হয় তাহলে ব্যপারটা অন্য রকমও হতে পারে। ইদানিং পরকিয়ার মাত্রাটা একদম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে বিয়ের পর মোবাইলের মাধ্যমে আগের প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ করে পরকিয়ার সৃষ্টি করতে দ্বিধাবোধ করছেনা। যার ফলে বিয়ের পর অশান্তির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে অনেকে বাধ্য হয়ে তার সুন্দরী রুপসী স্ত্রীকে ডিবোর্স দিয়ে থাকে। ডিবোর্সের ক্ষেত্রে সুন্দরী রুপসী মহিলারাই এগিয়ে আছে। রুপের বশে পড়ে ভালবাসা কিংবা আবেগের বশে পড়ে ভালবাসার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। তবে মেয়েটার যদি স্বামী কোন কারনে মারা যায় তাহলে দতন্তের মাধ্যমে মেয়েটাকে বিয়ে করলে সোয়াবের আশা করা যায়। আর যদি মেয়েটা যদি বিয়ের আগের রেকর্ড যদি ভাল হয় কিংবা তার স্বামী মদ গাজা বা মাদকের আসক্ত কিংবা সন্ত্রাসী টাইপের হয়ে থাকে কিংবা সে যদি পর নারীর আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে ব্যপারটা অন্য রকম হয়ে থাকবে অর্থ্যাত হয়তো উক্ত মেয়েটা তার স্বামীর এহেন কার্য্যের কারনে সেই নিজেই ডিবোর্স দিয়ে মুক্তি চেয়েছে (তবে এটা উক্ত মেয়েটি বললে হবেনা আপনার উচিত তার সমস্ত কথা তদন্ত করা কারন সে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য আপনাকে অনেক মিথ্যা কথা বলতেই পারে) তদন্তের পর যদি প্রমানিত হয়ে থাকে যে মেয়েটি নির্দোষ তার ব্যাকগ্রাউন্ট ভাল তাহলে তাকে বিয়ে করলে পূর্ন্যের আশা করা যায় কেননা তার জীবন অনেকটা অন্ধকারের নিমজ্জিত আপনি তাকে বিয়ে করলে হয়তো কিছুটা হলেও আলোর পথ পেতে পারেন। সব মিলে আপনি সব কিছু ভেবে চিন্তেই এগিয়ে যাবেন। একান্ত আবেগের বশে কোন কাজ করবেন না। মা বাবার পরামর্শ ছাড়া বিয়ে করলে পরে কিন্তু নিজেকেই হারাবেন।