নামাযের সূরাতে কি পাঠ করা হচ্ছে তা যদি নাই বুঝি তাহলে কষ্ট করে সূরা পাঠ করার মানে কি? আমি মুসলমান। আল্লহ্কে বিশ্বাস করি। প্রশ্নটি কারও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের উদ্দেশ্যে নয়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

অর্থ না যেনে পড়া যায়েজ আছে, তবে অর্থ যেনে পড়া উত্তম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অসুবিধা নেই,আপনি না বোঝলেও আল্লাহ আপনাকে কোর'আন পড়ার বিনিময় অবশ্যিই দিবেন,,,,, তবে বোঝার চেষ্টা করা উত্তম কাজ,,,,,,,,

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ধর্মীয় দৃষ্টিতে কোন অসুবিধা নেই কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন।

মনে করুন অামাদের কোন গ্রামের একটি মাঠে লক্ষ জনতা অপেক্ষা করছে মঞ্চের বক্তৃতা শোনার জন্য, সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা অাসলেন তার অতি মূল্যবান বক্তৃতা দিলেন জনগন খুশিতে তালি দিতে লাগল। এখন অাপনি বলেন ওবামার ইংরেজি বক্তব্য গ্রামের সাধারন মানুষ কি বুঝল অার সেই সমাজের মানুষের মাঝে তার মূল্যবান বক্তব্যের কতটুকু প্রতিফলন হবে?

না বুঝে কোন কিছু পড়া মানে শুধুই পড়া কিন্তু অনুধাবন করা না অার অনুধাবন করতে না পারলে সেই জিনিস বাস্তব জীবনে কি ভুমিকা রাখবে?


ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কষ্ট করে সুরা পড়ার লাভ আছে।কেননা সুরা ছাড়া নামাজ হবে না, আর নামাজকে ফরজ করা হয়েছে।সুতরাং, নামাজ পড়তে সুরা বুঝে বা না বুঝে পড়তে কোনো বাধা নেই।তবে, বুঝে পড়ার চেষ্টা করা সবার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এখন আসুন দেখি কেন বেশির ভাগ লোক অর্থ বুঝে পড়তে চেষ্টা করে নাঃ অর্থ ছাড়া বা না বুঝে কুরআন পড়লেও প্রতি অক্ষরে দশ নেকি-কথাটা প্রায় সকল মুসলমান জানে এবং মানে। যারা অর্থসহ বা বুঝে কুরআন পড়ে তাদেরও প্রায় সবাই এটা বিশ্বাস করে যে, কুরআন না বুঝে পড়লেও প্রতি অক্ষরে দশ নেকি হয়। না বুঝে কুরআন পড়লেও প্রতি অক্ষরে দশ নেকি-কথাটা কুরআনকে শুধুমাত্র অর্থ ছাড়া বা না বুঝে পড়ার অনুমতিই দেয় না বরং তা, না বুঝে কুরআন পড়াকে উৎসাহিত করে। আর এই কথাটার প্রভাবে বর্তমানে সারা বিশ্বে কোটি কোটি মুসলমান অর্থ ছাড়া বা না বুঝে কুরআন পড়ছে। আর তারা তা করছে এটা ভেবে যে- ১. অর্থ ছাড়া পড়লেই যখন প্রতি অক্ষরে দশ নেকি পাওয়া যায়, তখন আর কষ্ট করে অর্থ বুঝতে যাওয়ার দরকার কি ? ২. অর্থ পড়তে বা বুঝে পড়তে গেলে, না বুঝে পড়ার তুলনায় একই সময়ে কম অর পড়া হবে। ফলে সওয়াবও কম পাওয়া যাবে। আল-কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী সকল মুমিন বা মুসলমানের ১ নং আমল বা কাজ হচ্ছে কুরআনের জ্ঞান অর্জন করা এবং শয়তানের ১ নং কাজ হচ্ছে কুরআনের জ্ঞান থেকে মুমিন বা মুসলমানকে দূরে রাখা। অর্থাৎ ইসলামী জীবন বিধানে সকল মুমিন বা মুসলমানের জন্যে সব চেয়ে বড় সওয়াবের কাজ হচ্ছে কুরআনের জ্ঞান অর্জন করা এবং সব চেয়ে বড় গুনাহের কাজ হচ্ছে কুরআনের জ্ঞান অর্জন না করা বা কুরআনের জ্ঞান থেকে দূরে থাকা। তাই সকলের উচিত, কুরআন বুঝে পড়তে চেষ্টা করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ