আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্টভাষায় ইরশাদ করেছেন, “আমি নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী কোনো কিছু ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি, আমি এগুলো যথাযথ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বোঝে না।” (সূরা দুখান : আয়াত শরীফ ৩৮, ৩৯) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেছেন, “আকাশ পৃথিবী ও এতদুভয়ের মধ্যে যা আছে, তা আমি ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। আমি যদি ক্রীড়া উপকরণ সৃষ্টি করতে চাইতাম, তবে আমি আমার কাছে যা আছে তা দ্বারাই তা করতাম, যদি আমাকে করতে হতো।” (সূরা আম্বিয়া : আয়াত শরীফ ১৬, ১৭) মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ করেন, “আমি নভোমন্ডল, ভূ-মন্ডল এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী যা আছে তা খেলাচ্ছলে সৃষ্টি করিনি। ক্বিয়ামত অবশ্যই আসবে। অতএব, পরম অবজ্ঞার সাথে ওদের খেলাধুলা উপেক্ষা করুন।” (সূরা হিজর : আয়াত শরীফ ৮৫) হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সমস্ত খেলাধুলা হারাম।” (মুস্তাদরেকে হাকিম)। বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, ইসলামের দৃষ্টিতে ক্রিকেটসহ যাবতীয় খেলা হারাম। শরীয়ত-এর উছুল হচ্ছে- হারামকে হালাল বলা, হারাম কাজে খুশি প্রকাশ করা, হারাম কাজে উৎসাহিত করা ও সাহায্য সহযোগিতা করা হারাম ও নাজায়িয; যা ঈমান নষ্টের কারণ। তাই সকল মুসলমানের জন্য ফরয ওয়াজিব হচ্ছে- ক্রিকেট,ফুটবল সহ সকল প্রকার খেলাধুলা এবং এ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা।