Call

কে প্রথম আবিষ্কার করেছে তা জানা যায়নি। তবে ঐতিহাসিক ভাষাবিদদের মতে, ইন্দো- ইউরোপীয় ভাষা বংশ হতেই বাংলা ভাষার উৎপত্তি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বাংলা ভাষা কেউ একজন আবিষ্কার করেননি। বিভিন্ন ভাষা থেকে বদলে এ ভাষার সৃষ্টি হয়েছে। বিস্তারিত এই জানুন নিচের থেকে। বাংলা ভাষার সম্পর্কে জানতে হলে প্রথমে আমাদের জানতে হবে কোন ভাষা বংশ হতে এই ভাষাটির উৎপত্তি । ঐতিহাসিক ভাষাবিদদের মতে ইন্দো ইউরোপিয় ভাষা বংশ হতেই বাংলা ভাষার উৎপত্তি । জেসাসের জন্মের আগ থেকে এখনো পর্যন্ত এ ভাষা বংশের ভাষাগুলোই পৃথিবীতে প্রাধান্য বিস্তার করে আছে । নিদৃষ্ট ভৌগলিক এলাকার উপর ভিত্তি করে সাধারনত যেকোন ভাষা বংশের নাম করণ করা হয় আর এই নামকরণের পদ্ধতিটা হলো বিশেষ একটি ভাষা বংশ যে এলাকায় বিস্তৃত তার দুই দূরতম প্রান্তের নামের সমাস করে সাধারনত ভাষা বংশটির নামকরণ করা হয় । ঠিক তেমনি ভাবে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশের অন্তর্গত এলাকা সমূহের পূর্বপ্রান্তে ভারত এবং পশ্চিম প্রান্তে ইউরোপ থাকার কারনে বাংলা ভাষার ভাষা বংশটির নাম হয়েছে ইন্দো-ইউরোপীয় । আরো কয়েকটি নামে এই ভাষা বংশটিকে ডাকা হতো যেমনঃ- জর্মন ভাষাবিজ্ঞানীরা এই ভাষা বংশটিকে বলতেন ইন্দো-জর্মনীয় ভাষা বংশ । আবার প্রাচীন কালের ভারতীয় ও কেলটীয় লেখকেরা নিজেদের আর্য নামে অবিহিত করতেন বলে এই ভাষা বংশটিকে অনেকে আর্য ভাষা বংশও বলে থাকে । তবে বর্তমানে এই আর্য ভাষা বংশ নামটি এক প্রকার পরিত্যক্ত বললেই চলে । তাই বর্তমানে এই ভাষাবংশটির নাম হিসেবে ইন্দো-ইউরোপীয় নামটিই সকলের কাছে বেশি পরিচিত । আরা এখানে উল্লেখ্য যে এই ইন্দো-ইউরোপীয় নামটি রেখেছিলেন ফরাশি ভাষাবিজ্ঞানীরা । এখন আমরা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাবংশ থেকে বাংলা ভাষার উদ্ভব সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবো । বাংলাদেশের অধিবাসিরা আদিকাল থেকেই বাংলা ভাষায় কথা বলতোনা । আমরা জানি যে বাঙালি জাতি হলো একটি সঙ্কর বা মিশ্র জাতি ঠিক তেমনি বাঙালি জাতির মতই বাংলা ভাষাও একটি সঙ্কর বা মিশ্র ভাষা । অনেক ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানী বাংলা ভাষার উৎপত্তি সম্পর্কে তাদের মূল্যবান মতামত দিয়েছেন এবং তারা তাদের মতের পক্ষে জোরালো যুক্তিও উপস্থাপন করছেন । তার মধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লা অন্যতম । ড. মুহম্মদ শহীদুল্লার মতে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠির অস্তিত্ত ছিল । আনুমানিক আড়াই হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে মূল ভাষা থকে যেসব প্রাচীন শাখার সৃষ্টি হয়, তার অন্যতম হল আর্য ভাষা , আর্য ভাষার তিনটি শাখা আছে এগুলো হলোঃ ইরানীয়,দারদীয় ও ভারতীয় । এ থেকেই ভারতীয় আর্যভাষার সৃষ্টি । কালের বিবর্তন ও বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় আর্য ভাষাকে আবার তিনটি স্তরে ভাগ করা যায় যেমনঃ (১) প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা । (২) মধ্য ভারতীয় আর্য ভাষা । (৩) নব্য ভারতীয় আর্য ভাষা । ভারতীয় আর্যভাষার এই তিনটি স্তরের মধ্যে নব্যভারতীয় আর্যভাষা থেকে গৌড়ী প্রাকৃতের পরিণত অবস্থা গৌড়ী অপভ্রংশ থেকে বাংলা ভাষার জন্ম । আবার , ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় জর্জ গ্রিয়ারসনকে অনুসরন করে বলেছেন, মাগধী অপভ্রংশ থেকেই বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ