যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় ১। কামশাস্ত্র অধ্যাপকরা বলেন, ধুতুরা, কালো মরিচ ও পিপুল সমপরিমাণ একত্রে গুঁড়া করবে। তাপর সমপরিমাণ মুধুর সঙ্গে একত্রে মিশিয়ে মলম করবে। এই মলম লিঙ্গ মুণ্ডে লাগিয়ে পরে তাহা পরিষ্কার করে ফেলতে হয়। এখন এই পুরুষ যে নারীর সঙ্গে সঙ্গমে ব্রতী হবে, সে নারী, এ পুরুষ ব্যতীয় অন্য কোন পুরুষকে পছন্দ করবে না। সঙ্গমও দীর্ঘস্থায়ী হয়। ২। ঝড়ে ফেলে যাওয়া গাছের তেজ পাতা, শবের মাথার পুড়ে যাওয়া অবশিষ্টাংশ ও ময়ূরের অসি’ এক সঙ্গে বেঁটে গুঁড়া করবে। এই গুঁড়া যদি নারী পুরুষের পায়ে, কিংবা পুরুষ নারীর মাথায় মেখে দিতে পারে, তা হলে ঐ পুরুষ বা নারী অবশ্যই বশীভূত হবে। ৩। যদি কোন স্ত্রী লোক শকুনের স্বাভাবিক মৃতদেহ সংগ্রহ করে শুকিয়ে গুড়ো করে নেয়। তারপর সেই গুঁড়ো মধুর সহিত মিশিয়ে ্লানের পূর্বে আপন অঙ্গে মর্দন করবে। কয়েক দিন এর রকম করলে বাঞ্ছিত পুরুষ অবশ্য তার বশীভূত হবে। ইহাতে প্রেম ভালবাসা সুদৃঢ় হয়। ৪। যদি কোন লোক সুনুহ (Cuphortra Nellifolia) গাছের শিকড় ও গন্ড (acacic catechu) গাছের পল্লব মিশিয়ে বিশুদ্ধ গন্ধক সহ Red Arsenic -এ সাত বার ডোবাবে ও সাত বার শুকোবে। তারপর ঐ গুড়ো মধুর সহিত মিশিয়ে প্রলেপ দেবে। ইহার পর সে যে নারীর সহিত সুরত কার্যে রত হবে সে নারী চিরদিন এই পুরুষের দাসী হ’য়ে থাকবে। ৫। কোনও শিংশপা (শিশু) গাছে একটি ফুটো করবে (যেখান থেকে পাতা গজিয়েছে এমন জায়গা)। শেষে ঐ ফুটাতে আম্রফলের আঁটির তেল কতকগুলি বচার (বচের) (Acorus calamus) খণ্ড দিয়ে ফুটো বন্ধ করে দিতে হবে। ছয় মাস পরে, ঐ দ্রব্যগুলি ফুটা খুলে বের করতে হবে। তারপর এ দিয়ে একটি মলম তৈরী করতে হবে। ঐ মলম যদি কোনও পুরুষ তাহার সমস্ত অঙ্গে প্রলেপ লাগায়, তাহা হলে সে দেবতার মত দেখতে সুন্দর হয় এবং সমস্ত নারীর মনাকর্ষণ করতে পারে। ৬। উদর্ কিডল (Phascolus Radiatus) তার ভূষি না বাদ দিয়ে, পরিষ্কার করে, ভেজে নেবে ও গো দুগ্ধে ইহা স্দ্িধ করতে হয়। তারপর ইহা অর্ধেক ঝোলে (soup) পরিণত করে তাহা মধু ও ঘৃতে মিশ্রিত করতে হয়। কামসূত্ররূপী অধ্যাপকগণ বলেন, ইহা ভোজন করলে পুরুষকে বহু নারীর সঙ্গে সুরতে ক্ষমতাশালী করে তোলে। ৭। ভিদারি এবং স্বায়ংগুপ্তর শিকড় এক সঙ্গে গুঁড়া করে ময়দার সহিত মিশিয়ে চিনি, মধু ও ঘৃতের সহিত মিশিয়ে লেচি তৈরি করতে হয়। ইহা হতে পিষ্টক তৈরী করে খেতে হবে। ইহা খেলে একসঙ্গে বহু নারীর সহিত সুরত কার্য করতে সক্ষমতা লাভ করে। ৮। চাউল, চটক (চড়ুই পাখীর) ডিম্বের সহিত চটকে তারপর শুষ্ক করতে হবে। পরে দুগ্ধে সিদ্ধ করে পায়েসে পরিণত করতে হবে। এই পায়স মধু এবং ঘৃতের সহিত মিশিয়ে খেলে সুরতে যথেষ্ট শক্তি দান করে। ৯। সিসেমাম্ (sesamum) বীজের খোসা ছাড়িয়ে, চাতক পাখির ডিমের সহিত মিশ্রিত করতে হবে। পরে শুষ্ক করে নিতে হবে। তারপর শৃঙ্গাটক, কেসুর ও স্বয়ংগুপ্ত বীচির সহিত মিশ্রিত ক’রে ময়দা বা আটায় মিশিয়ে দুগ্ধ এবং ঘৃতে সিদ্ধ করতে হবে। এই সুপ (soup) তৈরী করতে হবে। ইহা সেব করলে বীর্য কামশক্তি ও দীর্ঘ জীবন লাভ করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আমাদের সমাজে যৌনতা কিংবা নিজের যৌন জীবন নিয়ে কথা বলার প্রবণতা এখনো গড়ে ওঠেনি। যৌনতা অস্বীকার করার মতন কোন বিষয় নয়, বরং জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটি। কিন্তু যেহেতু যৌন জীবন নিয়ে কথা বলার সুযোগ আমাদের সমাজে নেই, সেহেতু এই জীবনে অসুখী হলেও কাউকে বলা যায় না বা কারো পরামর্শ নেয়া যায় না। জীবনের বড় অংশে একটা তীব্র অসন্তুষ্টি নিয়ে কেটে যায় জীবন। নিজের যৌন জীবনে অসুখী আপনি? কিন্তু এ কথা কাউকে বলতে পারছেন না? তাহলে জেনে নিন কী কী করতে পারেন আপনি। ১) সমস্যাটা বুঝতে চেষ্টা করুন প্রথমেই। কেন আপনি অসুখী যৌন জীবনে? কী কারণে আর কেন কেন? সমস্যাটা কি আপনার শারীরিক? নাকি সঙ্গীকে অপছন্দ আপনার? নাকি সঙ্গী আপনার চাহিদা পূরণ করতে পাচ্ছেন না? এমন অনেকগুলো সমস্যা থাকতে পারে আপনার যৌন জীবনে অসুখী হবার পেছনে। প্রথমেই সেই কারণটা খুঁজে বের করুন। ২) সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হচ্ছে নিজের সমস্যাকে বুঝতে পারা ও স্বীকার করতে পারা। বেশিরভাগ মানুষই নিজের শারীরিক-মানসিক সমস্যাটিকে বুঝতে পারলেও সেটি স্বীকার করতে চান না। আর এই তুচ্ছ ইগো সমস্যার জন্য নিজের সমস্যাটি সমাধানও করতে পারেন না। অসুখী হবার কারণে খুঁজতে গিয়ে যদি দেখতে পান যে সমস্যা হয়তো আপনার মাঝে, তবে অবশ্যই চেষ্টা করুন বিষয়টি স্বীকার করে নিতে। ৩) যদি মনে হয় যে সমস্যাটি শারীরিক, সেটা আপনার বা সঙ্গীর যে কারোরই হতে পারে, তাহলে খুব নরম ভাবে কথা বলুন সঙ্গীর সাথে। তাঁকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন যে শারীরিক সমস্যা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার, এবং সেটা হতেই পারে। শরীরের সমস্যায় ডাক্তারের সাহায্য নেয়া মোটেও দোষের কিছু নয়। এটা তাঁকে বুঝিয়ে বলুন ও সমস্যা যারই হোক না কেন উপযুক্ত চিকিৎসা নিন। ৪) সমস্যাটি যদি এমন হয়ে থাকে যে পরস্পরকে বুঝতে পারছেন না আপনারা, ফলে পরস্পরের সাথে ঠিক মানিয়ে নিতে পারছেন না, এমন ক্ষেত্রে নিজেরা কথা বলুন আগে। লজ্জা ও সংকোচ ভুলে সঙ্গীর কাছ থেকে জেনে নিন যে তিনি কী চান। এবং তারপর তাঁকে নিজের ইচ্ছার কথাগুলোও বলুন। ৫) যৌন জীবনে অসুখী হবার একটা বড় কারণ এটা হয় যে মানুষ নিজের সঙ্গীর চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দেন না। নিজের সঙ্গীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে তৃপ্ত রাখুন, তিনিও আপনাকে সুখী রাখতে সচেষ্ট হবেন। ৬) আপনার অসুখী হবার কারণ যদি এটা হয় যে নিজের সঙ্গীকে ভালো লাগছে না আপনার, তাহলে অবশ্য বিষয়টি বেশ গুরুতর। কেননা নিজের বিয়ে করা স্বামী বা স্ত্রীকে তো ভুলে যাওয়া বা ছেড়ে দেয়া সম্ভব না। এমন ক্ষেত্রে আপনি যা করতে পারেন সেটা হলো সঙ্গীকে ভালোবাসার চেষ্টা করুন, তাঁর ভালো দিকগুলোকে দেখার চেষ্টা করুন। যদি নিজে নিজে সম্ভব না হয়, তাহলে একজন কাউন্সিলরের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে দুজনেই সাহায্য নিন। ৭) নিজের শরীরকে ভালবাসুন, নিজের শরীর সম্পর্কে কোন দ্বিধা বা লজ্জা রাখবেন না মনের মাঝে। জানবেন যে সকলেই নিজের নিজের মত করে সুন্দর। যৌন জীবনে সুখী হতে এটা খুবই জরুরী। ৮) একঘেয়ে যৌন জীবনে বৈচিত্র্য আনতে সঙ্গীর সাথে নতুন কিছু করে দেখার আগ্রহতা ধরে রাখুন। মাঝে মাঝে চিরচেনা রুটিনের বাইরে নতুন কিছু আপনাকে তৃপ্তি যোগাবে। কার কাছে যে কী ভালো লাগে, কোন বিষয়গুলো আপনার পছন্দের ইত্যাদি বিষয়গুলো কেবল চেষ্টা করলেই জানতে পারবেন। একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন আর সেটি হলো, সমস্যা যদি শারীরিক হয় তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে সেটাকে সারিয়ে তোলা সম্ভব। সমস্যা যদি মানসিক বা নিজেদের মাঝে অমিলের হয়, তাহলে সেটাও কাউন্সিলিং ও ভালোবাসা দিয়ে সমাধান করা সম্ভব। যৌনতাও একটি চর্চায় বিষয়। তাই হতাশ না হয়ে নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন। যৌন জীবনে সুখ খোঁজার আশায় বিপথে পা বাড়াবেন না কিংবা বহুগামী হবেন না। এতে ক্ষতি আপনার নিজেরই। আবু নাঈম কিতাবুততীব গ্রন্থে লিখেছেন, মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খাওয়া রাসূল (সাঃ)এর কাছে খুবই প্রিয় ছিল। .. * আলেমগণ লিখেছেন, মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে যৌনশক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীরে গঠন বাড়ে ও কন্ঠস্বর পরিস্কার হয়। মাখন ও  মধু একত্রে মিশ্রণ করে খেলে (Pleurisy)তথা বক্ষাবরক ঝিল্লি প্রদাহ রোগের উপকার হয় এবং শরীর মোটা করে। -তিব্বে নববী . হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে , নবী করীম (সঃ) একদিন হযরত জিব্রাইল (আঃ) এর কাছে নিজের যৌনশক্তির অভিযোগ করলে জিব্রাইল (আঃ) বললেন, আপনি “হারীসা” ভক্ষণ করুন। কারণ, এতে চল্লিশজন পুরুষের শক্তি রয়েছে। – তিব্বে নববী . মাযাকুল আরেফীনে হাদীসটি উল্লেখ করে টিকায় লিখা হয়েছে যে, হারীসা ভাঙ্গা গম, গোশত, ঘি ও মসলা যোগে পাক করা হয়। . ইমাম গাযযালী (রহঃ) এহইয়াউল উলুমে লিখেছেন যে, চারটি বস্তু যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে। ১। চড়ই পাখি (ইউনানী শাস্ত্রের গৌরবময় হালুয়া লুবূহনকারীরে চড়ই পাখির মগজ যোগ করা হয়)। ২। ত্রিফলা (হরিতকী আমলকী ও বহেড়া) । ৩। পেস্তা। ৪। তাজা শাক-সব্জি। . * আবু নাঈম ইবনে আবদুল্ল­াহ জাফর কর্তৃক বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সীনার গোশ্ত অন্য সব গোশ্ত হতে উত্তম হয়ে থাকে। আলেমগন লিখেছেন যে, এর রহস্য হলো, এই গোশ্তে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। -তিব্বে নববী। . হযরত আলী (রাযিঃ) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল­াহ (সঃ) এর কাছে এসে অভিযোগ করল যে, আমার ঘরে সন্তানাদি হয় না। একথা শুনে রাসূল (সঃ) তাকে ব্যবস্থা দিলেন যে, তুমি ডিম খেতে থাক। . তিরমিযী শরীফ ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে উম্মে মুনযির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার তিনি নবী কারীম (সঃ) এর সামনে কিছু খেজুর ও বীটচিনি পেশ করেন। রাসূল (সঃ) উপস্থিত হযরত আলী (রাযিঃ) কে খেজুর খেতে নিষেধ করেন আর বিটচিনি সম্পর্কে বললেন যে, এর থেকে খাও। এটা তোমার জন্য উপকারী। . * উলামায়ে কেরাম লিখেছেন যে, হযরত আলী (রাযিঃ) এর তখন চোখে ব্যাথা ছিলো আর চোখে ব্যাথা অবস্থায় খেজুর খাওয়া ক্ষতিকর। এ কারনে রাসূল (সঃ) হযরত আলী (রাযিঃ) কে খেজুর খেতে বারন করেন। আর বীট লবন সম্পর্কে বলেছেন এটা খাও, এটা তোমার জন্য উপকারী এবং তোমার অক্ষমতা দূর করে দেবে। হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, খাদ্যে সাবধানতা অবলম্বন করে চলা সুন্নত। আর এটাও বুঝা গেল যে, বিটচিনি খেলে দুর্বলতা দূর হয় এবং রতি শক্তিতে স্পন্দন সৃষ্টি হয়। -তিব্বে নববী .

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ