বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বাইরে বিভিন্ন চাকুরি করে, এবং কাজের প্রয়জনে কখনো কখনো নারী কর্মচারীকে তার অফিসের পুরুষ বস বা অন্য কোন পুরুষ কলিগ এর সাথে হ্যান্ডশেক করতে হয়। এখন আমার প্রশ্ন হলো ইসলাম এই হ্যান্ডশেক নিয়ে কি বলে? এটা কি বৈধ?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

অবশ্যই এটা অবৈধ, যেখানে মুখ দেখা পর্যন্ত বৈধ নয় সেখানে স্পর্শ করা কিভাবে বৈধ হবে???? আপনি সালাম দিন, এটাতো হ্যান্ডশেকের চেয়ে হাজারগুন ভালো অভ্যর্থনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Sharifkhan

Call

বর্তমান সমাজে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে কোন ব্যপারই না। ফলে অনেক নারী-পুরুষই বর্তমানে নিজেদেরকে আধুনিক হিসাবে প্রকাশ করার জন্য ইসলামী শরীয়াতের সীমালঙ্ঘন করে একে অপরের হাত ধরে মুছাফাহা করছে । প্রচলিত ভাষায় এটা হলো হ্যান্ডশেক বা করমর্দন। আল্লাহর নিষেধকে অমান্য করে বিকৃত রুচি ও নগ্ন সভ্যতার অন্ধ অনুকরণ করতে যেয়ে তারা একাজ করেই চলেছে, আর নিজেদেরকে প্রগতিবাদী দাবী করছে। যতই শরীয়াতের দৃষ্টিতে তাদের বুঝান না কেন , আর দলীল প্রমান যতই দেখান না কেন - তারা তা কখোনোই মানবে না। উল্টো তারা বক্তাকে প্রতিক্রিয়াশীল , সন্দেহবাদী,আত্মীয়তা ছিন্নকারী ইত্যাদি বিশেষণে আখ্যায়িত করবে। আর চাচতো বোন, মামাতো বোন, খালাতো বোন, ভাবী, চাচী, মামী.. ইত্যাদি আত্মীয়দের সাথে মুছাফাহা করা তো তাদের নিকট পানি পান করার চেয়েও সহজ কাজ। অথচ শরীয়াতের দৃষ্টিতে কাজটা কতটা ভয়াবহ তা যদি তারা একবার গভীরভাবে চিন্তা করত বা দূরদৃষ্টি দিয়ে দেখত তা'হলে কখোনোই তারা একাজ করতে পারত না । এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রসুল (সঃ) বলেছেন, " নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেওয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে অনেক ভালো, যে তার জন্য হালাল নয়।" ত্বাবারানী ২০/২১২ ।.......... নিঃসন্দেহে এটা হলো হাতের যিনা। যেমন রসুল (সঃ) বলেছেন, "দুই চোখ যিনা করে, দুই হাত যিনা করে, দুই পা যিনা করে আর লজ্জাস্থানও যিনা করে।" আহমদ ১/৪১২ । রসুল (সঃ) এর থেকে পবিত্র মনের মানুষ আর দুনিয়ায় কেউ নেই,অথচ তিনি বলেছেন, "আমি মেয়েদের সাথে মুছাফাহা করিনা।" আহমাদ৬/৩৫৮ রসুল (সঃ) আরও বলেছেন, "আমি মেয়েদের হাত স্পর্শ করিনা।" সহীহুল জামে হাদীস নং ৭০৫৪ । এ প্রসংগে মা আয়েশা (রাঃ) বলেছেন, "আল্লাহর শপথ, রসুল (সঃ) এর হাত কখনোই কোন বেগানা নারীর হাত স্পর্শ করেনি। তিনি কথার মাধ্যমে তাদেরকে বায়'আত করাতেন।" মুসলিম ৩/১৪৭৯ । অতএব আমরা যারা মুসলিম ,আসুন আমরা সতর্ক হই এব্যপারে। নগ্ন আধুনিকতার স্রোতে আমরা যেন আমাদের ইসলামকে ভাসিয়ে না দেই। দ্বীনের ব্যপারে কোন জবরদস্তী নেই। আল্লাহর রসুলকে দুনিয়াতে দারোগা হিসাবে প্রেরন করা হয়নি। তিনি ছিলেন সত্য ধর্মের প্রচারক। আসুন তার সে সত্যকে আমরাও তাঁর মত করে প্রচার করার চেষ্টা করি। ম

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ