জমি বন্ধক দেয়া ও নেয়া জায়েজ। (লুবাব : ২/৪৫; দুররে মুখতার : ৫/৩৩৯)। আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারায় বলেন, কেউ যদি র্কজ নেয়, তবে ফরজ করা যায় এমন বন্ধক যেন দেয়। (সূরা বাকারা : ২৮৩)। এর ভেতর জমেও পড়ে বিধায় তা জায়েজ হবে। তবে বন্ধককৃত জমির মালিক থাকবে বন্ধকদাতা। যদি বন্ধকদাতা অনুমতি না দেয় তবে বন্ধক গ্রহীতা এর দ্বারা কোনো ধরনরে উপকার গ্রহণ করতে পারবে না। (দুররে মুখতার ও রুহুল মুহতার : ৫/৩৩৯)। কারও কারও মতে, অনুমতি দিলেও বন্ধকি জমিতে বন্ধক গ্রহীতার কোনো ধরনরে উপকার গ্রহণ করার অধিকার থাকবে না। আর যদি বন্ধক দেয়া-নেওয়ার সময় কোনো র্শত আরোপ না করে থাকে, তারপর বন্ধকদাতা তাকে বন্ধকি জমি ব্যবহাররে অনুমতি দেয় তবে বন্ধকদাতার পক্ষ থেকে দান হিসেবে বন্ধক গ্রহীতা তা ব্যবহার করতে পারবে। অন্যথায় নয়।
ভাই! জমি বন্ধক রাখা যাবে। ইসলামী শরীয়াতে জমি বন্ধক রাখতে কোনো সমস্যা নেই। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, বন্ধক রাখা বলা হয় কারো কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়ে সময়মতো ঋণ পরিশোধের গ্যারান্টি হিসেবে মূল্যবান কোনো কিছু ঋণদাতার নিকট সমর্পণ করা। ঋণ পরিশোধ করা হলে ঋণ গ্রহীতা তার সমর্পিত জিনিস নিয়ে নিবে। পক্ষান্তরে যদি ঋণ গ্রহীতা সময়মতো ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করে তবে ঋণ দাতার জন্য ঋণ গ্রহীতার সমর্পিত বস্তু বিক্রি করে তার ঋণ উসুল করে নেয়ার অধিকার থাকবে। তবে ঋণদাতা সমর্পিত এ বস্তু থেকে কোনো ধরনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে না। তাতে শুধু তার দখলদারিত্ব বজায় থাকবে। সুবিধা গ্রহণ করা হলে তা সুদ হিসেবে গণ্য হবে। যা সুস্পষ্ট হারাম। সুতরাং আপনি কাউকে ঋণ দিয়ে তার জমি বন্ধ রেখে টাকা পরিশোধ হওয়র আগ পর্যন্ত সে জমি ভোগ করতে পারবেন না। ইসলামী শরীয়াতে প্রচলিত এ পদ্ধতির বৈধতা দেয় না।