শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পিস টেলিভিশনের সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে দাবি জানিয়েছেন ওলামারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, এই চ্যানেলটি ইসলামবিরোধী তথ্য প্রচার করছে।
এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিবাদী প্রচার চালালে তা তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে। সরকার এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা মনে করেন চ্যানেলটি যদি জঙ্গিবাদী প্রচার চালায় তাহলে তা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

সভায় শহীদুল হক। ছবি: ফোকাস বাংলাজঙ্গিবাদ দমনে করণীয় নিয়ে আজ শনিবার ওলামা ও ইমাম-খতিবদের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই এসব বক্তব্য ওঠে আসে।
পুলিশ সদরদপ্তরে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হকের সঙ্গে অংশ নেন ৩৫টি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবেরা। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের দুজন শিক্ষকও ছিলেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ সভা চলে।
ওলামা ও ইমামেরা বলেন, ওয়াহিবি, জাহাবি, সালাফি, মওদুদবাদী হিযবুত তাহরির সব একই গোষ্ঠী এবং তারা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের মৌটিভেট করতে হবে। প্রয়োজনে তারা কী চায় তা নিয়ে সরাসরি বসতে হবে।
আইজিপি ওলামা-ইমামদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, জঙ্গিবাদের নামে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে। বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। তাই ইসলামের সঠিক দর্শন প্রচার করতে হবে। অনেক মসজিদ আছে যেখানে জঙ্গিবাদকে উসকে দেওয়া হয়। এসব মসজিদের খোঁজখবর রাখতে হবে। ওয়াজ মাহফিলে জঙ্গিবাদ বিরোধী বক্তব্য প্রচার করতে হবে। ফতোয়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।
আজকের মতো আরও মতবিনিময় সভা করা হবে উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, এখন থেকে ওয়াজ মাহফিল করতে হলে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। আর ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য রেকর্ড করতে হবে। তিনি বলেন, তাঁদের (আলেম-ইমাম) সাহায্যে জঙ্গিবাদ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে চায় পুলিশ। তিনি খুতবায় জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচার রাখার আহ্বান জানান।

শহীদুল হক আরও বলেন, মসজিদের ইমামদের তালিকা করতে হবে। মুজাহিদের ফাঁসির দিন অনেক মসজিদে দোয়া ও কান্নাকাটি হয়েছে। ইমামদের তালিকা পুলিশের কাছে থাকলে তাঁদের চিহ্নিত করা যেত।

সভায় উপস্থিত পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত আইজি জাবেদ পাটেয়ারি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করে যাবে পুলিশ। ইসলামের অপব্যাখ্যা করে যুব সমাজকে জঙ্গিবাদের দিকে ধাবিত করা হচ্ছে। তাদের ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে কাউন্টার দিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তিন লাখেরও বেশি মসজিদ, মাদ্রাসা আছে। সেখানে একজন করে কনস্টেবল দেওয়ার মতো লোকবল নেই পুলিশের।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিঞাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সোর্সঃ প্রথমআলো 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ