বিস্তারিত বলা নিষ্প্রয়োজন, আপনার প্রশ্নেই ভুল আছে। আমাদের খারাপ কাজ আল্লাহর তরফ থেকে নয়, শয়তানের প্ররচোনায় হয়। আল্লাহ আমাদের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক কিন্তু তিনি আমাদের বিবেককে স্বাধীন করে দিয়েছেন। ভাগ্য দিয়ে তিনি আপনাকে পরীক্ষাতে ফেলবেন আর আপনি সেটার সদ্ব্যবহার করবেন নাকি অসদ্ব্যবহার করবেন তা আপনার বিবেকের ব্যাপার।
আল্লাহ মানুষকে সর্বোচ্চ মহব্বত করে সৃষ্টি করেছেন শাস্তি দেওয়ার জন্য? কখনোই নয়।
শাস্তিতো দেয় আল্লাহর বিধান/আইন। যখন বিধান অনুযায়ী অন্যায় সাব্যস্থ হয় তখন শাস্তি পেতেই হবে। কেননা আপনাকে যদি ক্ষমা করে দেওয়া হয় তাহলে, আরেক জন, তাকেওতো ক্ষমা করতে হবে, কারণ আল্লাহর কাছে তার সকল বান্ধা সমান।
আর আল্লাহর আইন আল্লাহ নিজেই মানেন, কেননা আপনি একটু চিন্তা করলে দেখতে পারবেন যে সমস্ত সৃষ্টি প্রাকৃতিক নিয়মেই চলছে, কেউ কিন্তু কখনো নিয়মের বাহিরে যায়না। সূর্য প্রতিদিন একই নিয়মে উঠে এবং অস্ত যায়।
সুতরাং সাবধান: আল্লাহর আইনে ধরা পড়লে আপনাকে শাস্তি পেতেই হবে, কোন ক্ষমা নাই। হয়ত আপনাকে অবকাশ দেওয়া যাইতে পারে কিন্তু ক্ষমা পাবেন না। কর্মফল আপনার পিছু ছাড়বে না। কর্মফল ভোগ করতেই হবে। (পরমানু পরিমাণ নেক আমল করলে সে তা দেখতে পাবে এবং পরমানু পরিমাণ বদ আমল করলেও সে তাহা দেখতে পাবে)
আর কর্মের জন্য মানুষ নিজেই দায়ী, শয়তান নয়। কেননা মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দেওয়া হয়েছে।
নিশ্চয়ই আল্লাহ কারো সাথে জুলুম করেন না। যার যার কৃতকর্ম অনুযায়ী তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।
আমরা কী আল্লাহর সব আদেশ নিষেধ মেনে চলি??
একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন আমি আজকে কী কী ভালো কাজ করছি?? যদি আপনার ভালো কাজের চেয়ে খারাপ কাজের সংখ্যা বেশি হয় তাহলে এখানে আল্লাহর কী দোষ???
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ জানেন কে কাজ করবেন কতটুকু করতে পারবেন সে অনুযায়ী আমাদের ভাগ্য নির্ধারিত ।যেমনঃ একজন শিক্ষক জানেন কোন শিক্ষার্থী কতটা ভালো বা খারাপ করবে শিক্ষক জানেন কারণ তিনি আমাদের সারা বছর পড়ান আর আল্লাহ তো আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন তাহলে আল্লাহ সব জানবে না???