আয়াতুল কুরসির বাংলা উচ্চারন
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বইয়্যুমু লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।
আয়াতুল কুরসির
ফযিলত।
নবিজি সাঃ ইরশাদ করেন:
#"আল্লাহতাআলার কিতাবে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসি"।।
-আবু দাউদ।
#"যে ব্যক্তি রাতে শয়নকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে কোন জ্বীন ও শয়তান তার ধারে কাছেও আসতে পারবেনা,আল্লাহপাক তার ধনসম্পদ নিরাপদ রাখবেন"।। -বুখারী, মুসনাদে আহমদ।
#"যে ব্যক্তি বাড়িতে প্রবেশের সময় আয়াতুল কূরসি পাঠ করবে,তার বাড়ি হতে জ্বিন ও শয়তান চিৎকার করতে করতে পালিয়ে যায়"।।
-কিতাবুল গারীব।
#"নবিজি সাঃ এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি বিয়ে করেছ? সে বলল হে আল্লাহর রাসূল! আমার নিকট কোন সম্পদ নাই বলে বিয়ে করিনি। নবিজি সাঃ বললেন: তুমি প্রত্যেহ সূরা এখলাস,সূরা কাফেরুন,সূরা যিলযাল ও আয়াতুল কুরসি পড়"।।
-মুসনাদে আহমদ।
#"যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে আয়াতূল কুরসি পাঠ করবে একমাত্র মৃত্যু ছাড়া অন্য কিছু তাকে বেহেশতে যেতে বাধা হবেনা"।।
-বুখারী,নাসাঈ।
#"যে ব্যক্তি প্রতি সকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে।অনুরূপ সন্ধ্যায় পড়বে সে সকাল পর্যন্ত আল্লাহর হেফাযতে থাকবে"।।
-তিরমিযী।
#"যে দুটি আয়াতের মধ্যে ইসমে আযম রয়েছে,তার একটহচ্ছে আয়াতুল কুরসি"।।
-মুসনাদে আহমদ।
নিয়ম করে প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর ও মাগরীব নামাজের পর বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম সহ ১ বার সুরা কাফিরুন, ১ বার সুরা এখলাস, ১ বার সুরা ফালাক, ১ বার সুরা নাস পড়ুন। এতে ২৪ ঘন্টার ২৪ ঘন্টাই ( অর্থ্যাৎ ২৪ঘন্টার পুরো সময়টা) আপনার শরীর বন্ধ থাকবে। হাদীসের ভাষ্যোনুযায়ী এর মাধ্যমে যে কোন প্রকারের জ্বীন পরীর আছরসহ সমস্ত প্রকারের জাদু - টোনা - বান থেকে আপনি হেফাজতে থাকবেন ইনশা আল্লাহু তা'য়ালা।