http://i0.wp.com/www.bangalianamagazine.com/wp-content/uploads/2015/03/পিঠের-ব্যাথার-কারণ-ও-১১টি-প্রতিকার.jpg সামান্য বিশ্রাম আপনাকে দিতে পারে পিঠের ব্যথা থেকে মুক্তি। কিন্তু ব্যথা যখন ব্যাধির আকার ধারণ করে, তখন বিশ্রামের পাশাপাশি মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম-কানুন। পিঠে ব্যাথা নিম্নোক্ত কারণসমূহের জন্যে হতে পারে- – দীর্ঘক্ষন এক অবস্থায় কম্পিউটারে কাজ করলে – দীর্ঘসময় বালিশ ছাড়া কাত হয়ে ঘুমালে – কাঁধের জোড়া একবার বা অধিকবার স্থানচ্যুতি হলে – রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অসটিওআর্থ্রাইটিস ও প্রদাহ আর্থ্রাইটিস হলে – আঘাত বা রোগের কারণে জোড়ার আবরণ, লিগামেন্ট, টেনডেন ও পেশি দুর্বল হলে বা ছিঁড়ে গেলে – পেশি, টেনডেন ও বার্সার প্রদাহ – কলার বোন ভাঙলে, ছোট হয়ে জোড়া লাগলে বা স্থানচ্যুতি হলে – ক্যালসিয়াম কমে হাড় ভঙ্গুর (অসটিওপোরোসিস) হলে – রোগ বা আঘাতের কারণে হাড় ভাঙ্গলে – হাড়ের ইনফেকশন ও টিউমার – স্নায়ু পিন্চড (ইনট্রাপমেন্ট) বা ইনজুরি – পিত্তথলি, ফুসফুস এবং হূদরোগের কারণে ও স্ক্যাপুলায় ব্যথা হলে, একে রেফার্ড পেইন বলে – ভারী জিনিস বেশিক্ষণ টানাটানি করলে পিঠের ব্যথা হতে পারে পিঠের ব্যাথা থেকে প্রতিকার পেতে এই আটটি পরামর্শ আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে – ১. কাঠের বা প্লাস্টিকের চেয়ার- অফিসে অনেকক্ষণ টানা বসে থাকবেন না। মাঝে মাঝে উঠুন, একটু হাঁটাচলা করুন। আর গদি চেয়ার পরিহার করে চেষ্টা করুন কাঠের অথবা প্লাস্টিকের চেয়ার ব্যবহার করতে। ২. পূর্ণ বিশ্রাম গ্রহণ- পিঠের ব্যথা খুব বেশি হলে প্রথম কাজ হলো পূর্ণ বিশ্রাম গ্রহণ করা। যে কাজ একেবারে না করলেই নয় এমন কাজ ছাড়া পূর্ণ বিশ্রাম নিন অন্তত দুদিন। ৩. ম্যাসাজ- ব্যথার জায়গার পাশে বরফ রেখে জায়গাটি ৭-৮ মিনিট ম্যাসাজ করুন, আরাম পাবেন। এতে যদি ব্যথা ভালো না হয় তাহলে গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে গরম ভাপ দিয়ে দেখতে পারেন। ৪. ব্যায়াম- পিঠব্যথার অন্যতম কারণ হলো মাংসপেশীর জড়তা। বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর দুই হাঁটু বিছানা থেকে তুলে বুকের দিকে ভাঁজ করুন, হালকা চাপ প্রয়োগ করুন এবং ছেড়ে দিন। এভাবে কয়েকবার করুন, আরাম পাবেন। ৫. ঘুম থেকে উঠার সময়- গবেষণায় দেখা গেছে,ব্যথা উপশমের জন্য এটা বেশ কার্যকর। বিছানা থেকে চট করে উঠে না পড়ে গড়িয়ে নামুন। বিছানার প্রান্তে চলে আসার পর পা নামিয়ে দিন নিচে এবং দেহকে বিছানা থেকে তুলে আনুন। ৬. ফোমের বা নরম বিছানা- ফোমের বা নরম বিছানা পরিহার করুন। সমতল এবং শক্ত বিছানায় শোবার অভ্যাস করুন। ৭. হাঁটুর নিচে বালিশ- মাথার নিচে বালিশ রেখে চিত হয়ে শুয়ে দুই হাঁটুর নিচে বালিশ রাখুন। এ পদ্ধতিতে শোয়া ব্যথা উপশমের জন্য কার্যকর। ৮. সুন্দর স্মৃতি স্মরণ- কাজের সময় ব্যথা অনুভূত হলে নিজের সুন্দর স্মৃতিগুলো মনে করুন, দেখবেন ব্যথা কম টের পাচ্ছেন! খুব বেশি পিঠের ব্যথার জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত ফলদায়ক। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, তবে তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ সাপেক্ষে। আর পিঠের ব্যথা সমস্যা নিয়মিত দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। ব্যথা কমানোর জন্য ফিটনেস

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HarryPotter

Call

মেরুদণ্ড নিখুঁতভাবে সোজাসুজি বা সিধা নয়। পাশ থেকে দেখলে এর স্বাভাবিক আকৃতি হলো ইংরেজি অক্ষর s (এস)-এর মতো। পিঠব্যথা প্রতিরোধের প্রধান শর্ত হলো যেকোনো কাজ করার সময় মেরুদণ্ডের এই আকৃতি অক্ষুণ্ন রাখা। পেট ও পিঠের মাংসপেশিগুলো মেরুদণ্ডকে সাপোর্ট দেয় এবং নড়াচড়ায় সহায়তা করে। পিঠব্যথার কারণ পিঠব্যথার কারণগুলো মেরুদণ্ড এবং তার সহায়তাকারী মাংসপেশিগুলো থেকে উৎপন্ন হতে পারে, অথবা শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলো যাদের স্নায়ু সরবরাহের কিছু শাখা পিঠে বিস্তৃত সেখান থেকেও পিঠব্যথা হতে পারে। শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর কিছু সমস্যা দেখা দেয়ায়ও পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হতে পারে। পিঠব্যথার সাধারণ কারণগুলো হলো- * মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক আকৃতি বজায় রাখতে সহায়তাকারী পেট ও পিঠের মাংসপেশিগুলো দুর্বল হওয়া। * মেরুদণ্ডের হাড়ের দুর্বল স্থাপন, যার কারণে মেরুদণ্ডের s আকৃতি ঠিক থাকে না। * দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকলে, দাঁড়িয়ে থাকলে কিংবা একই অবস্থানে থাকলে। এ ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ থাকার কারণে মাংসপেশিতে টান পড়ে, মাংসপেশি সঙ্কুচিত হয়। * হঠাৎ শরীর মারাত্মক ঝাঁকি খেলে কিংবা শরীর বাঁকা হলে। এতে মাংসপেশিতে টান পড়ে এবং পেশি ছিঁড়ে যেতে পারে। কোনো ভারী জিনিস ওঠানোর সময় এ অবস্থা হতে পারে। * মেয়েদের মাসিকের সময় জরায়ুর সঙ্কোচনের কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে। পিঠব্যথা কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় পিঠব্যথা প্রতিরোধ করতে হলে সর্বদা মেরুদণ্ডের আকৃতি স্বাভাবিক রাখতে হবে। এর জন্য যা করতে হবে তাহলো- * দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। যদি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে একটি পা প্ল্যাটফর্মের ওপরে কিংবা টুলের ওপরে রেখে দাঁড়াতে হবে। * চেয়ারে বসে কাজ করার সময় কিংবা চেয়ারে বসে থাকার সময় যদি চেয়ারটি আপনার পিঠকে ঠিকমতো সাপোর্ট দিতে না পারে তাহলে চেয়ার ও আপনার পিঠের মধ্যকার ফাঁকা জায়গাটা পূরণে কুশন ব্যবহার করুন। * ঘুমানোর সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন। যেমন- * শক্ত তোশক বা জাজিমের ওপর ঘুমান। * মুখ নিচের দিকে রেখে ঘুমাবেন না। * চিৎ হয়ে ঘুমাবেন। * যদি পাশ ফিরে ঘুমাতে চান, তাহলে সে পাশে একটা হাঁটু সামান্য বাঁকা করে ঘুমাবেন। পিঠব্যথা প্রতিরোধে পেট ও পিঠের মাংসপেশিকে সবল করার উপায়- নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলে পেট ও পিঠের মাংসপেশি সবল হয়। এসব ব্যায়ামের প্রতিটি ১০ বার করতে হবে। মাংসপেশির সবলতা বাড়লে ব্যায়ামের পরিমাণ আরো বাড়ানো যাবে। যদি কোনো ব্যায়ামে ব্যথা হয় তাহলে ওই ব্যায়াম বন্ধ করে দিতে হবে। ১. হাঁটু বাঁকা করে চিৎ হয়ে শুতে হবে। পেটের মাংসপেশিগুলো সঙ্কুচিত করে পিঠকে মেঝের বিপরীতে চাপ দিতে হবে। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুণে তারপর শিথিল করতে হবে। ২. হাঁটু বাঁকা করে চিৎ হয়ে শুতে হবে। যত দূর পারা যায় মাথা ও কাঁধ ওপরের দিকে তুলতে হবে। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুণে তার পর শিথিল করতে হবে। ৩. উপুড় হয়ে শুতে হবে। ডান পা সোজা রেখে যত দূর সম্ভব ওপরে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ সময় হাঁটু কিছুতেই ভাঁজ করা যাবে না। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুণে তার পর ধীরে ধীরে পা নামাতে হবে। এরপর বাঁ পা একই রকম করতে হবে। প্রতি পায়ের জন্য পাঁচবার এটি করতে হবে। কারো একবার পিঠব্যথা হলে ব্যথা সেরে যাওয়ার পর আবার যাতে এ ধরনের ব্যথা না হতে পারে, সেই লক্ষ্যে ব্যথা প্রতিরোধ করার জন্যও এসব ব্যায়াম করা যেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ