আমার এক বন্ধুর কথাগুলো নাকে আটকে যায়...তার কোন ঠান্ডা বা জ্বর না থাকলে ও তার নাক যেন বন্ধ হওয়ার উপ্রকম.... যদি কেউ কোন ঔষধ বা কোন উপায় জানেন তাহলে বলবেন .... ......ধন্যবাদ সবাইকে........
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সামান্য নাক বন্ধ অবস্থায় নাকের মধ্যে মাংসপেশির মতো কিছু একটা দেখলেই অনেকে সেটিকে নাকের পলিপ বলে মনে করেন। যদিও নাকের মধ্যকার পলিপ অনেকটা পিন্ডাকৃতিরই হয়ে থাকে। তবে নাকের মধ্যে সব ধরনের পিন্ডই কিন্তু পলিপ নয়। পলিপ হচ্ছে ফুলে যাওয়া ঝিল্লির একটি রূপ, যা ফুলে একটি বিভিন্ন আয়তনের পিন্ডের মতো হয়ে থাকে। আকৃতি, আয়তন ও রংয়ের দিক থেকে সাধারণভাবে নাকের পলিপ দেখতে অনেকটা পরিপক্ব আঙ্গুর ফলের মতো। পলিপের রং কখনোই মাংসপেশীর মতো লালচে হয় না। পলিপ আঙ্গুর দানার মতো গোলাকার ও ফ্যাকাসে রংয়ের হয়ে থাকে। নাকের পলিপ হওয়ার কারণ খুব সহজ কোনো বিষয় নয়। নাক ও সাইনাসের প্রদাহজনিত অবস্থা কিংবা নাকের ঝিল্লিতে অবস্থিত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ‘সিলিয়া’ নামক কেশসম গাঠনিক কাঠামোর নড়াচড়া অথবা নাকের নিঃসরণের অস্বাভাবিক গঠন ইত্যাদি বিষয় ইথময়েডাল পলিপের কারণ। এলার্জি কিংবা এলার্জি ভিন্ন অন্য কারণে হাঁপানিতে আক্রান্ত্মর মধ্যে শতকরা ৭ ভাগ রোগীর নাকের পলিপ হতে দেখা গেছে। এসপিরিন অসহিষ্ণুতা। যারা এসপিরিন সহ্য করতে পারেন না তাদের প্রায় শতকরা ৩৬ ভাগের মধ্যে নাকে পলিপ হতে দেখা যায়। নাকের ইথময়েডাল পলিপ সাধারণত বয়স্কদের হয়। নাক বন্ধ থাকার জন্য ঘ্রাণশক্তি লোপ পায়, মাথাব্যথা থাকে। এছাড়া নাক দিয়ে পানি ঝরা ও নাক চুলকানোর সমস্যা থাকে অনেকেরই। এছাড়া নাকের ছিদ্রপথে পলিপ দেখা যাবে। পলিপ থেকে সাধারণত কোনো রক্তপাত হয় না। পলিপ নির্ণয়ে রোগীর নাক পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট। প্রয়োজনে সাইনাসের এঙ্-রে এবং সিটি স্ক্যান করা যেতে পারে। এ্যালোপ্যাথিতে বিনা অপারেশনে পলিপের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সম্ভব নয়। তবে এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এলার্জি নিয়ন্ত্রণের ফলে পলিপের ফোলাভাব কিছুটা কমে আসতে পারে। এছাড়া পলিপের চিকিৎসায় প্রাথমিক অবস্থায় স্টেরয়েড জাতীয় স্প্রে নাকে ব্যবহারের মাধ্যমে পলিপের আকার ছোট হয়ে আসতে দেখা যায়। তবে অপারেশনই হচ্ছে কার্যকর চিকিৎসা। সনাতন পদ্ধতির অপারেশনে পুনরায় পলিপ দেখা দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। এই ধরনের পলিপ-এর উত্থান ঘটে ম্যাঙ্লিারি সাইনাসের অভ্যন্তরে যোগাযোগ রক্ষাকারী মুখের আশপাশে। ম্যাঙ্লিারি সাইনাসের অবস্থান চিবুকের নিচে। বায়ুভর্তি দুটি কুঠুরি থাকে নাকের দুই পাশে। এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপ সাধারণত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ধারণা করা হয় নাকের অ্যালার্জি যখন সাইনাসের অভ্যন্ত্মরীণ ঝিল্লিকে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে এবং বারবার সেখানে ইনফেকশন হয় তখন ধীরে ধীরে ম্যাঙ্লিারি সাইনাসের অভ্যন্তরে বহিঃনির্গমনের পথের আশপাশে স্ফূরণ ঘটে এই পলিপের। প্রথম দিকে নাকের এক দিক বন্ধ থাকে। নাক বন্ধ থাকার জন্যে গলার স্বর পরিবর্তিত হয়ে নাকিসুরে কথা তৈরি হয়। নাক বন্ধ থাকার জন্য নাক দিয়ে সব সময়েই কিছু না কিছু শ্লেষ্মা ঝরে। নাক পর্যবেক্ষণ করলে নাকের ভেতরে ফ্যাকাসে মাংসপেশীর অস্ত্মিত্ব লক্ষ্য করা যায়। অপারেশনের মাধ্যমে নাকের এই পলিপ নাকের ভেতর দিয়ে অথবা ঠোঁটের নিচ দিয়ে পাশের দাঁতের গোড়া বরাবর ছিদ্র করে ম্যাঙ্লিারি সাইনাসের ভেতর থেকে সমূলে উৎপাটন করা যেতে পারে। সঠিক অপারেশনের পর সাধারণত এ ধরনের নাকের পলিপ আর পুনরায় বেড়ে উঠতে দেখা যায় না। ওষুধ দিয়ে এই ধরনের পলিপের চিকিৎসা সম্ভব নয়। এ্যালোপ্যাথিতে অপারেশনই হচ্ছে কার্যকর চিকিৎসা। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে ওষুধের মাধ্যমেই সম্পূর্ন নিমুর্ল করা সম্ভব হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ