সম্প্রতি আমার কিছুটা weight বেড়েছে, আর তারপরই দেখছি রাতে ঘুমাতে গেলে সমস্যা হচ্ছে। মানে গভীর ঘুমে যাবার আগেই ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে! Doctor বলেছে সাইন্যাপস এর সামান্য সমস্যা আছে। আজকাল লক্ষ করছি ঘুমানোর নাক থেকে হালকা আওয়াজ হচ্ছে। রাত্রে অনেকবার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এটাকে ঠিক করার উপায় কি? ঘুমানোর সমস্যা ছোটো থেকেই হয়তো! কিন্তু আগে বুঝতে পারতাম না!
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার ঘুমের যে সমস্য হয় তা কি কারনে হচ্ছে সেটা আপনাকে পরিক্ষা না করে বলা মুশকিল। তবে আপনার সম্ভবত কারন হতে পারে ওজন বৃদ্ধি মানে ওবিসিটি (obisity) . বা নাকের কিছু রোগ, যেমন ন্যাজাল পলিপ, সাইনাস এ ক্রনিক সংক্রমণ, ন্যাজাল কনজেশন, নাকের মাংস বা হাড় বৃদ্ধি ইত্যাদি। এসব কারনে আপনার ডিপসনিয়া বা শ্বাসকষ্ট হয় যখন আপনি কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বা যেকোন ভাবে শ্বাসনালী তে একটু চাপ পড়ে । এর সমাধান পেতে আপনাকে অবশ্যয় নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে । এটা সাধারন চিকিৎসা হচ্ছে অপারেশন করে প্রতিবন্ধক থাকরে সরিয়ে ফেলা অথবা সাইনুসাইটিস হলে উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যাবহার করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা কমানোর উপায়ঃ ১) কাত হয়ে ঘুমানোঃ চিত হয়ে ঘুমালে গলার পেশি থাকে শিথিল। ফলে নাক ডাকার আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই আপনি কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করে দেখতে পারেন। ২) ওজন কমানোঃ আপনার যদি ওজন বেশি, শরীরের আকার স্থূল। আপনার স্থূলতার কারণে নাক ডাকতে পারেন। বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যায়। ফলে শ্বাস নেয়ার সময় টিস্যুগুলোর ঘর্ষণে শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হয়। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিত। ৩) নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহারঃ অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলার সাথে সাথে অন্যান্য শারিরীক সমস্যার সৃষ্টি করে। অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের কারণে অনেকে নাক ডাকেন। তাই নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করা উচিত। ৪) বেশি বালিশ নেওয়াঃ বুকের চেয়ে মাথা উপরে থাকলে নাক ডাকার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। তাই মাথার নিচে কয়েকটি দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে। ৫) ধূমপান ছেড়ে দেওয়াঃ ধূমপানে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণেও আপনি নাক ডাকতে পারেন। তাই উচিত ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা। ৬) নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমঃ শরীরের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অনেক কিছুই অভ্যাস নিয়ন্ত্রিত। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। ফলে ঘুমের সাথে শরীরের একধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। আর অভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়। এতে কমে যেতে পারে আপনার নাক ডাকার প্রবনতা। ৭) শরীরচচাঃ শরীরচর্চা পেশি, রক্তের চলাচল ও হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বাড়ায় এবং ঘুমও ভালো হয়। এ কারণে নাক ডাকা কমাতে হলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি। ৮) প্রচুর পানি পান করাঃ প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে। নাক ডাকাও কমবে। ৯) নাসারন্ধ্রের পথ পরিষ্কার রাখাঃ নাসারন্ধ্র পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। এতে আপনি সহজভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এ কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি এ ক্ষেত্রে ইনহেলারও ব্যবহার করা যেতে পারে। ১০) ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টাঃ আগে রাতের খাবার খাওয়া ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। পরিপাক তন্ত্র ঝামেলা করবে না। ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে। এতোসব করেও যদি আপনার নাক ডাকার প্রকোপ কোন মতেই না কমাতে পারেন। তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ