Minka

Call

ঘরে বসেই পেটের মেদ কমানোর ৮টি সহজ উপায়! আপনার অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যা অভ্যাসের কারনে পেটে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি জমে যায়। মুখ থাকে শুকনো পেট থাকে অতিরিক্ত বড়, যেটা দেখতে চোখে লাগে। ফলে আপনি নিশ্চয়ই মেদ ভুরি নিয়ে বিব্রত অবস্থায় আছেন। তাই জেনে নিন ঘরে বসেই পেটের মেদ কমানোর ৮টি সহজ উপায়। অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি আপনাকে শুধু বিব্রতই করেনা, এটা আপনার জন্য ক্ষতিকর। পূর্ণ বয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩৯.৫ ইঞ্চি ও পূর্ণ বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩৫.৫ ইঞ্চির বেশি পেটের সাইজ থাকলে হার্টের রোগ ও ডাইবেটিস হতে পারে। এছারাও আপনার বিশাল পেট (west line or abdominal girth ) অনেকের কাছে আপনাকে হাসির পাত্র করে তুলে। তাই আপনি এখন থেকেই নিচের পদ্ধতিতে আপনার মেদ কমানর চেষ্টা করুন। ১/ আপনার সকাল শুরু করুণ লেবুর শরবৎ দিয়েঃ পেটের চর্বি কমানোর জন্য এটি হচ্ছে সবচাইতে উপযোগী চিকিৎসা। কিছু পরিমাণ লেবু চিপে এর রস গ্লাসে নিয়ে তাতে সামান্য পরিমান গরম পানি ও লবন মিসিয়ে সকালে পান করুণ। এভাবে প্রতিদিন চালিয়ে যান ফলে আপনর বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং মেদ কমেতে থাকবে। ২/ সাদা চাল থেকে দূরে থাকুনঃ সাদা চাল খাবেন না। সাদা চালে প্রচুর চর্বি থাকে যা পেটে চর্বি জমাতে প্রধান ভূমিকা রাখে। বাদামী চাল, বাদামী রুটি, সবুজ সাক সবজী এসব আপনার খাদ্যা অভ্যাসে যোগ করুণ। ৩/ চিনিযুক্ত খাদ্য এড়িয়ে চলুনঃ আপনার যদি পেটে মেদ থাকে তবে আপনি চিনি ও অতিরিক্ত চিনি জাতীয় খাদ্য থেকে দূরে থাকুন। অতিরক্ত তেল সমৃদ্ধ খাদ্য থেকেও দূরে থাকুন। এসব খাবার আপনার আবডমেন ও উরুতে চর্বি জমাতে সাহায্য করে। ৪/ প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুনঃ আপনি যদি আপনার পেটের চর্বি কমাতে চান, তাহলে যথেষ্ট পরিমান পানি পান করুন। প্রচুর পরিমান পানি পান আপনার শরীরের মেটাবলিসমকে ঠিক রাখে এবং শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় ও বিষাক্ত জিনিস বের করে দেয়। ৫/ কাঁচা রসুন খানঃ প্রতিদিন সকালে দুই বা তিনটি করে কাঁচা রসুনের কোয়া দাতে চিবিয়ে খান। এর পরে এক গ্লাস লেবুর রস পান করুন। এর ফলে আপনার পেটের চর্বি দীগুণ হারে কমতে শুরু করবে এবং আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক ও সুন্দর করবে। ৬/ চর্বি যুক্ত খাবার পরিহার করুনঃ যতটা সম্ভব চর্বি যুক্ত বা আমিষ জাতীয় খাবার পরিহার করুন। এর ফলে আপনার শরীরে অযাচিত বেড়ে যাওয়া মেদ কমবে। ৭/ প্রচুর পরিমান ফলমূল ও সবজি খানঃ প্রতিদিন সকালে আপনি প্রচুর পরিমান ফলমূল ও সবজি খান এর ফলে আপনার শরীর হয়ে উঠবে সজিব অতিরিক্ত চর্বি মুক্ত এবং আপনার শরীরে অক্সিডেন্ট, মিনারেল, ভিটামিনের পরিমাণ বাড়াবে। ৮/ আপনার রান্নায় উপকারী মসলা যুক্ত করুনঃ দারুচিনি, আদা ও কালো মরিচ এসব মসলা দিয়ে তরকারী রান্না করার চেষ্টা করুন। এসকল মসলা সাস্থের জন্য এবং মেদ কমাতে অত্যন্ত উপকারী। এসব মসলা শরীরে ইনসুলিনের পরিমান বাড়ায় এবং চিনির পরিমান হ্রাস করে। উপরের নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনার অতিরিক্ত পেট কমতে বাধ্য। সঠিক উপায়ে খাবার হল পেটের মেদ বা চর্বি কমার আদর্শ উপায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MHR

Call

মেদ কমানোর উপায় পর্যাপ্ত খাবার মানে ঠিক যতটুকু খাবার বা ক্যালোরি আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজন সেইমতো খাবার খাওয়া। এটা আপনার বয়স বুঝে খাবারের পরিমাণটা ঠিক করতে হবে। আর খাবার গ্রহণের সময় অবশ্যই চর্বি ও তেল জাতীয় খাবার তুলনামূলকভাবে কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং সুষম খাবার যেমন অঙ্কুরিত ছোলা, আঁশ জাতীয় খাবার, সবুজ ফল ও শাক-সবজি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখবেন। বাইরের ভাজা-পোড়া খাবার বা ফাস্টফুড এড়িয়ে চলবেন। একসাথে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে দিনে কয়েকবার খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। খাবারের শুরুতে এবং খাবারের শেষে অন্তত দুই গ্লাস পানি পান করবেন, এতে করে পানি দিয়ে পেট ভর্তি থাকলে আপনার খাবারের পরিমাণ ঠিক থাকবে এবং বেশি খাবার খেয়ে ক্যালোরি জমার ভয়ও থাকবে না। নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীরচর্চাঃ আমাদের শরীরে মেদ জমার অন্যতম কারন হলো আমরা যতটুকু ক্যালোরি প্রতিদিন গ্রহন করি সেই পরিমাণ ক্যালোরি প্রতিদিন বার্ন হয়না বা ক্ষয় হয় না। এতে করে ক্যালোরি জমতে জমতে একসময় বেঢপ সাইজের একটা মেদভুঁড়ি হয় বা শরীরে মেদ জমে যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম তাই অপরিহার্য। আমরা সবাই জানি হাঁটা সর্বোৎকৃষ্ট ব্যায়াম তাই আপনি যদি প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট হাঁটেন (জোরে হাঁটতে পারলে ভালো) তাহলে আপনার বাড়তি ক্যালোরি বার্ন হবে এবং সাথে সাথে মাংসপেশিও মজবুত হবে।হাঁটার পাশাপাশি দৌড়ানো, বাগান করা, লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা, ইয়োগা করা অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করলেও শরীর ফিট থাকবে এবং বাড়তি মেদ ঝরে পড়বে। পাশাপাশি সাইক্লিং বা সাঁতার কাটতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। অতিনিদ্রা বা অনিদ্রা নয়ঃ মেদ জমার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঘুম বা কম ঘুম দুটিই খুব ক্ষতিকর। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা গড়ে ৪-৫ ঘন্টা ঘুমান বা যাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয়না তাদের রয়েছে মেদ জমার আশংকা আবার যারা ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘুমান তাদেরও স্থূল আকৃতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মেদ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হলে ৮ ঘণ্টার কম বা বেশি ঘুমানো যাবে না। যাদের দিনে ঘুমানোর অভ্যাস আছে তারা এই অভ্যাস পরিত্যাগ করে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণঃ আমাদের দেহ ও মন একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তাই মনের চাপ অনেক সময় শরীরের উপরও পরে। অনেক ক্ষেত্রে মানিসিক চাপ বা উদ্বেগ বৃদ্ধির সাথে সাথে ওজনও যেন পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। কারণটা আর কিছু নয় মানসিক অবসাদ বা নিয়ম মেনে চলার প্রতি অনীহা। যখন মানুষের মন বিষাদগ্রস্ত থাকে তখন দেখা যায় অনেকের ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং মাত্রাতিরিক্ত খাবার খেতে থাকে, অনেকে ব্যায়াম করা ছেড়ে দেয়, অনিদ্রায় ভোগে- এর প্রতিটিই মেদ জমতে সাহায্য করে। তাই যখন আপনি মানসিক চাপের মধ্যে থাকবেন তখন বাসায় বসে কিছু ছোটখাটো ইয়োগা প্র্যাকটিস করতে পারেন অথবা হালকা মিউজিক ছেড়ে অ্যারোবিক্সও করতে পারেন। সর্বোপরি মন খুলে হাঁসার চেষ্টা করবেন এবং ভালো চিন্তা করবেন তাহলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে ও শরীরের উপরও এর প্রভাব পড়বে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ