পানি পান করি স্বচ্ছ ।আর ঘামে এতো দূর্গন্ধ কেন ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
AbuSayedFTJ

Call

গরমের দিনে সবচেয়ে অস্বস্তিকর ব্যাপার হচ্ছে ঘাম এবং ঘামের দুর্গন্ধ। প্রথমে ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম নিঃসৃত হয় এবং পরে ব্যাকটেরিয়া যুক্ত হয়ে দুর্গন্ধ হয়। এসব ব্যাকটেরিয়া সবারই ত্বকে থাকে এবং গরমে ও ভেজা অবস্থায় সক্রিয় হয়ে ওঠে। এভাবেই শরীরের যেসব স্থান ঘামে সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। ব্যাকটেরিয়া কিন্তু সব ধরনের ঘামকে দুর্গন্ধযুক্ত করে না। সারা শরীরের ত্বকে ঘর্মগ্রন্থি রয়েছে। দুই ধরনের ঘর্মগ্রন্থি রয়েছেÑ ইক্রাইন ও এপোক্রাইন গ্রন্থি। ঘর্মগ্রন্থিগুলো শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও স্নায়বিক কারণে ঘর্মগ্রন্থি থেকে স্বচ্ছ, লবণাক্ত তরল পদার্থ বের হয়, যাকে আমরা ঘাম বলি। ঘামলে শরীর ঠাণ্ডা হয়। ইক্রাইন গ্রন্থি হতে নিঃসৃত ঘামে কোনো দুর্গন্ধ হয় না। কিন্তু এপোক্রাইন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত ঘামের সাথে ব্যাকটেরিয়া যুক্ত হয়ে দুর্গন্ধ হয়। এপোক্রাইন গ্রন্থিগুলো দুই বাহুর নিচে ও যৌনাংশে বেশি মাত্রায় থাকে। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করবেন কিভাবে ® প্রতিদিন অন্তত দু’বার গোসল করুন। ® অবাঞ্ছিত লোম ও চুলের জন্য ঘামের দুর্গন্ধ বেশি হতে পারে। তাই অবাঞ্ছিত লোম ও চুল উঠিয়ে ফেলবেন। ® প্রতিদিন পরিষ্কার ধোয়া কাপড় পরবেন। ® প্রতিদিন দুইবার ডিওডেরান্ট অর্থাৎ ঘামের গন্ধনাশক শরীরে লাগাবেন। ® খুব বেশি ঘামলে অ্যান্টিপারসিপিরেন্ট লাগাবেন এক দিন অন্তর। ডিওডেরান্ট ও অ্যান্টিপারসিপিরেন্ট কিন্তু একই জিনিস নয়। ডিওডেরান্টে অ্যান্টিসেপটিক ও সুগন্ধি উপাদান থাকে। অ্যান্টিপারসিপিরেন্টে একই সাথে এমন কিছু উপাদান থাকে যা কি না ঘাম নিঃসরণ কমায়। অ্যান্টিপারসিপিরেন্ট ২৫ থেকে ৩৫ ভাগ ঘাম নিঃসরণ কমায়। খুব বেশি ঘামলে এটাও লক্ষ করতে হবে যে, কোনো অসুখের জন্য এটা হচ্ছে কি না, নানারকম বিপাকীয় গোলমাল, হরমোনের অসুখ, সংক্রামক অসুখ, কিছু ওষুধ এমনকি কিছু খাবারের জন্যও এমনটি হতে পারে। খুব বেশি পেঁয়াজ ও রসুন খেলেও ঘাম বেশি হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমাদের শরীরের ঘাম দূর্গন্ধ হওয়ার কারনঃ আমাদের ত্বকে যেসব ব্যাকটেরিয়া বসাবস করে যখন তারা এপোক্রাইন গ্ল্যান্ড ও ইকক্রাইন গ্ল্যান্ড থেকে নির্গত ঘাম ভেঙ্গে প্রপানয়িক ভ্যালোরিক এসিডে রুপান্তর করে তখন ঘামে দূর্গন্ধ পাওয়া যায়। অনেকে বলে থাকেন ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে গেলে এমনটি হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বা আবহাওয়া না পেলে প্রোটিন ভাঙতে থাকে। এমনকি সোডিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খেলেও শরীরের ঘাম অত্যাধিক দূর্গন্ধ হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ