আমার প্রশ্নটা একটু আলাদা । আমি বলতে চাচ্ছি যে একজন পুরুষের কি তার স্ত্রীর কথা মুল্লায়ন করা উচিত নাকি উচিত নয় । আমি দেখেছি এমন কিছু পরিবার আছে যারা শিক্ষিত হওয়ার পরও তারা তাদের স্ত্রী লোকদের কথা কিনচিত পরিমান মুল্লায়ন করে না তাদের কি এমন করা উচিত । যার ফলে স্বামি স্ত্রীর মাঝে সব সময় ঝগড়া লেগে থাকে এর সমাধান করার লক্ষে পৌছাতে হলে স্বামি স্ত্রীর মাঝে সম্পক্ কেমন হতে হবে ????? * দয়া করে কুরআন ও হাদিস মোতাবেক উত্তর জানাবেন আমি ওদের দেখাতে চায় যে কুরআন ও হাদিস কি বলে।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

স্বামী-স্ত্রী। পৃথিবীর সবচেয়ে আপন এবং মধুর একটি সম্পর্কের বন্ধন। পবিত্র কোরানে আল্লাহ মহান স্বামী- স্ত্রীর একজনকে অপরজনের পোশাক বলেছেন। একজনকে অপরজনের সম্পূরক বানিয়েছেন। সৃষ্টিগত কৌশলতায় একজনকে করেছেন অপরজনের সহায়ক। মধুর এই সম্পর্ককে আরো ফলপ্রসূ করার জন্য আল্লাহ মহান কিছু বিধান অনুসরণ করার তাগিদ দিয়েছেন। স্বামীর ওপর স্ত্রীর এবং স্ত্রীর ওপর স্বামীর কিছু অধিকার বা হক নির্ধারণ করে দিয়েছেন তিনি। এককভাবে স্বামী কিংবা স্ত্রীর প্রচেষ্টায় একটি সংসারে কখনো সুখ আসতে পারে না। সংসারের সুখের জন্য উভয়ের সম্মিলিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। স্ত্রীর ওপর স্বামীর কিছু হক বা অধিকার রয়েছে। ইসলামী বিধান মোতাবেক স্ত্রীর ওপর অর্পিত এই হক বা অধিকারগুলো আদায় করা আবশ্যক। ইসলামী শরিয়ার পরিভাষায় যাকে ওয়াজিব বলা হয়। তিবরানি শরিফের একটি হাদিসে স্ত্রীর দায়িত্বে স্বামীর হক বা অধিকারের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, স্ত্রীর ওপর স্বামীর হক হচ্ছে, তার প্রাপ্য এবং তাকে প্রদত্ত অঙ্গীকার/ওয়াদাগুলো যথার্থ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা। স্বামীর আদেশ-নিষেধ পালন করা। স্বামীর অনুমতি ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়া এবং স্বামী পছন্দ করে না এমন কোনো বিষয় কখনই না করা। [তিবরানি] এছাড়া একজন স্ত্রীর দায়িত্বে স্বামীর আরো কিছু হক বা অধিকারের কথা বিভিন্ন সহীহ হাদিসের বর্ণনা থেকে পাওয়া যায়। সেগুলো হলো- ১. যথাযথভাবে স্বামীর অনুগত থাকা এবং স্বামীকে মেনে চলা। ২. শরিয়তের সীমার মাঝে থেকে স্বামীর প্রতি আদব, খেদমত, মন জয় ও সন্তুষ্টি অর্জন করার চেষ্টা করা। একটি কথা মনে রাখতে হবে, স্বামীর মন জয় বা সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য শরিয়তবিরোধী কোনো কাজ করা যাবে না, যদি সেটা স্বামীর আদেশ বা পছন্দ হয় এবং এক্ষেত্রে শালিনভাবে নিজের অপরাগতা প্রকাশ করতে হবে। ৩. সামর্থ্যরে অতিরিক্ত কোনো বিষয়ে স্বামীকে চাপ প্রয়োগ না করা। ৪. অনুমতি ছাড়া স্বামীর সম্পদ বা অন্য যে কোনো প্রকার আমানত ব্যয় না করা। ৫. স্বামীর পরিবারের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ না করা যাতে স্বামী কষ্ট পান। ৬. ইসলামী বিধান মোতাবেক যাদের সঙ্গে দেখা করা নিষেধ, তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার দেখা-সাক্ষাৎ না করা বা পর্দা বিধান মেনে চলা। রাসুল [সা.] বলেছেন, যে স্ত্রী তার স্বামীর কষ্টদায়ক আচরণে ধৈর্য ধারণ করবে, আল্লাহ তাকে ফেরাউনের স্ত্রী হজরত আছিয়ার সমতুল্য সাওয়াব দান করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ