জন্ডিস রোগ হলে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জন্ডিস হলে করনীয়ঃ পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। লিভার বা যকৃতের বিশ্রামের জন্য শরবত, প্রচুর আখের রস খাওয়াতে হবে। রুচি থাকিলে ভাত, চর্বি বিহীন মাছ, তরকারী, পাউরুটি, সর ছাড়া দুধ ইত্যাদি দেয়া যাইবে। অরুচি বা জ্বর না থাকলে ভিটামিন- বি ও ভিটামিন- সি খাওয়া যাইবে, অন্য কোন ঔষধের প্রয়োজন নেই। জন্ডিসের সাথে জ্বর থাকলে, বুমি বুমি ভাব বা বুমি থাকলে, চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে। রোগ ভাল না হওয়া পর্যন্ত নিম্নের ঔষধ সেবন করা যাবেনাঃ সিডেটিভ (ঘুমের ঔষধ), এন্টিএমিটিক(বমির ঔষধ), প্যারাসিটামল, কো- ট্র্মোক্সাজল, টি বি বিরোধী ঔষধ। চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিত কোন ঔষধ সেবন করিবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MHRRidoy

Call

জন্ডিস হলো একটি মারাত্মক রোগ। আপনার জন্ডিস আছে কি-নাই তা সহজেই রক্তের বিলিরুবিল পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন।স্বাভাবিক বিলিরুবিন .২-১.২ মি.গ্রা./ডি. লি.সুপ্ত জন্ডিস ১.২-২ মি. গ্রা./ডি: লি.পূর্ন জন্ডিস ২ মি:গ্রা./ডি. লি.যদি বিলিরুবিনের মাত্রা ২মি.গ্রা/ ডি. লি.-এর বেশি হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।জন্ডিসে করণীয়প্রচুর পানি পান করুন ও বিশ্রামে থাকুন, চিকিৎসক যে সমস্ত ঔষধ দিয়েছে তার বাইরে অন্য কোন ঔষধ খাবেন না। এলকোহল পান করা থেকে বিরত থাকুন। হারবাল জাতীয় ঔষধ খাবেন না।অনেকেই মনে করেন হারবাল ঔষধ গাছ-গাছড়া থেকে তৈরি হয় বলে এতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। অনেক সময় দেখা যায়, কবিরাজী চিকিৎসা ও হারবাল জাতীয় ঔষধ খাওয়ার ফলে লিভারে আরো বিরূপ প্রভাব পড়ে।তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষধ খাবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MHR

Call

জন্ডিস হলে করনীয় অনলাইন ডেস্ক সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ পাতায় জন্ডিস কোনো রোগ নয়, এটি হলো রোগের লক্ষণ। যেসব রোগে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেসব রোগে জন্ডিস দেখা দেয়। যেমন লিভারে হেপাটাইটিস ভাইরাসের আক্রমণ; মদ, অতিরিক্ত প্যারাসিটামল বা বিষাক্ত মাশরুম সেবনে লিভার ড্যামেজ, কিছু রোগে লিভারে অতিরিক্ত আয়ন জমে লিভার ড্যামেজ, শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষগুলো অতি সক্রিয় হয়ে গিয়ে লিভারকে আক্রমণ অথবা জন্মগত ত্রুটির কারণে লিভারের সঙ্গে অন্ত্রের সংযোগ স্থলে কোনোপ্রকার বাধা। এছাড়াও যদি কোনো কারণে শরীরের লোহিত রক্তকনিকা অতিরিক্ত ভাঙতে থাকে তাহলেও জন্ডিস দেখা দেয়। এগুলো ছাড়াও ক্যান্সার, গলব্লাডারে সমস্যা ইত্যাদিতেও জন্ডিস দেখা যায়। জন্ডিসের লক্ষণ : হালকা জ্বর, দুর্বলতা, হলুদাভ ত্বক ও চোখ, অরুচি, বমি বমি ভাব থাকা বা বমি হওয়া, মাংসপেশী বা জয়েন্ট এ ব্যথা, কালচে মুত্র, কাদার মতো মল ও চুলকানি। জন্ডিসের চিকিৎসা : ১. জন্ডিস নির্মূল এর জন্য ওষুধের প্রয়োজন না থাকলেও ডাক্তার আপনাকে জন্ডিসের অন্যান্য উপসর্গ যেমন বমি ভাব, চুলকানি ইত্যাদি কমানোর ওষুধ দিয়ে আপনার কষ্ট দূর করার জন্য। ২. কারো কারো ক্ষেত্রে (বৃদ্ধ বা শিশু) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল থাকতে পারে, যা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট নয়। ডাক্তার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। ৩. যদিও জন্ডিস বলতে সাধারণ অর্থে ভাইরাল হেপাটাইটিস বোঝানো হয় এবং এই লেখার মূল ফোকাস সেখানেই, কিন্তু প্রথমেই তো বলে হয়েছে যে অন্যান্য অনেক কারণে জন্ডিস হতে পারে। সেসব কারণের জন্য কিন্তু ওষুধ খেতে হবে যা একমাত্র ডাক্তারই পারে নিশ্চিত করতে। ৪. জন্ডিস হলে অতিরিক্ত নয়, পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করুন। দিনে তিন লিটার বা ১২ গ্লাস এর মত পানি খেতে চেষ্টা করুন। ৫. জন্ডিস হলে তেল কম খেতে বলা হয়, কারণ তেল হজম করার জন্য বাইল নামক একটি পদার্থের প্রয়োজন হয় যা লিভার হতে তৈরী হয়। জন্ডিসে যেহেতু লিভার নাজুক অবস্থায় থাকে তাই একে অতিরিক্ত চাপ না দেওয়ার জন্য তেল এড়িয়ে চলতে বলা হয়। ৬. জন্ডিস হলে অনেকে এ সময় মাছ-মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকে যা একেবারেই অনুচিত। এতে শরীরে প্রোটিন এর অভাব ঘটে যা আরো নানা ধরণের জটিলতা বয়ে আনতে পারে। ৭. গবেষনায় ভিটামিন সেবনে জন্ডিস দ্রুত আরোগ্যের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই ভিটামিন নেয়াটাও অত্যাবশ্যক না। ৮. সমস্ত শরীরের মেটাবলিসমের অনেকটাই নির্ভর করে লিভারের উপর। এসময় বিশ্রাম নিলে মেটাবলিসমের হার কম থাকে এবং লিভারের উপর চাপ কম পরে। ৯. লিভারের নাজুক অবস্থায় এই জাতীয় ওষুধ ব্রেনের উপর কাজ করে অনেক সময় আপনাকে এমনকি কোমাতেও নিয়ে যেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ