নিয়মিত ত্বক পরিস্কার করে ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ভাল ব্রান্ডের ফেসওয়াস ব্যবহার করতে পারেন।মুখের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব করুন।ত্বকে ব্রণ বা এলার্জি সমস্যা থাকলে ভাল স্কীন স্পেশালিস্ট এর সাথে যোগাযোগ করুন। ব্রণে হাত লাগাবেন না বা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করবেন না।সাধারনত ব্রণের দাগ এমনি এমনি সেরে যায়।যদি খুব বেশি ব্রণের দাগ দেখা দেয় তবে সেক্ষেত্রে ডাবের পানি ব্যবহার করূন।প্রতিদিন ২ বার ডাবের পানিতে তুলা ভিজিয়ে মুখ মুছে নিন।১০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।নিয়মিত ব্যবহার করলে তফাৎটা নিজেই অনুভব করবেন।ভাজাপোড়া ও তেল জাতীয় খাবার পরিহার করুন।বেশি বেশি পানি পান করুন।চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন ও নিয়মিত ঘুমান।
ব্রন ওঠার কারন ত্বকে তৈলাক্ত ভাব হওয়ায় ইনফ্রাকসন জমে, ব্রন থেকে বাঁচতে নিচের টিপস গুলো অনুসরন করুন —ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন — বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন। — ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এই কারণেই পনির, দুধ কম খান। — কোল ড্রিংকস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন। —খুব বেশি পরিমাণে পানি খান। দিনে যদি দু লিটার পানি খেতে পারেন তা আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে। পানি বেশি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে পিত্ত বেরিয়ে যাবে। আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। —আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন। ব্রন দূর করবে নিম — ব্রন সমস্যাকে খুব সহজ ঘরোয়া উপায়ে মেটানো সম্ভব৷চার-পাঁচটা নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মূলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে ওর মধ্যে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।
ব্রন থেকে মুক্তি পাওয়ার ১১ টি উপায় ................ ১. বরফ ব্যাবহারঃ মুখে উপর বরফ ঘষুন ১০ মিনিটের মত। এতে ব্রন কম বের হবে এবং ইতিমধ্যে যদি ব্রন বেরিয়েও থাকে,কমে যাবে । ২. টুথপেস্ট ব্যবহারঃ ব্রনের উপর সামান্য করে টুথপেস্ট লাগিয়ে রাখুন সারারাত । সকালে ধুয়ে ফেলুন । এতে ব্রন আকারে কমে যাবে । এবং শুকিয়েও যাবে। ৩. রসুন ব্যবহারঃ ব্রনের উপরে এবং চারপাশে কাচা রসুন ঘষে দিন । এতে খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে এবং দাগ ও অনেক কমে যাবে । ৪. কমলার খোসা ব্যবহারঃ কমলার খোসা বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখুন । ব্রন কমে যাবে । ৫. মধু ব্যবহারঃ ব্রন ওঠার সাথে সাথে এর উপরে মধু লাগিয়ে দিন । এটা আর বাড়তে পারবে না । ৬. কাগজি লেবু ব্যবহারঃ ঘুমানোর আগে মুখে কাগজি লেবুর রস মাখুন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন । মুখ ব্রন মুক্ত থাকবে। ৭. ভিনেগার ব্যবহারঃ সামান্য পানি এবং ভিনেগার প্রথমে গরম করুন একসাথে । তারপর ঠাণ্ডা করে এই মিশ্রন মুখে ব্যবহার করুন । ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন । ৮. আলু ব্যবহারঃ আলু স্লাইস করে কেটে ব্রনের উপর ঘষুন ৫-৭ মিনিট । ব্রনের আকার অনেক কমে যাবে । ৯. শশা ব্যবহারঃ শশা থেতো করে সামান্য লেবুর রস একসাথে করে মিশিয়ে নিন এবং মুখে লাগান । আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন । ব্রন হবে না । থাক্লেও অনেক কমে যাবে । ১০. মুখের পরিচ্ছন্নতাঃ ভাল ফেস ওয়াশ দিয়ে দিনে অন্তত ২ বার মুখ ভাল করে পরিস্কার করবেন । মুখে কখনই সাবান ব্যবহার করবেন না । নোংরা কাজ করার পর এবং প্রতিবার বাইরে থেকে এসে ভাল করে মুখ ধোবেন । এবং নিয়মিত নামাজ পরার জন্য অজু করলেও ব্রন হবে না , থাক্লেও কমে যাবে । ১১. চোখের ড্রপ ব্যবহারঃ খুবই কার্যকরী পদ্ধতি । ব্রনের উপর ১ ফোটা করে ইউজ করলেই অনেক কমে যাবে । আশাকরছি, এতগুলো থেকে আপনার সুবিধামত ১-২টা ট্রাই করলেই ভাল ফলাফল পাবেন।