যদি আপনার দুগ্ধ শিশু থাকে এবং অবস্থা এমন হয় যে,আরেক
শিশু ধারণ মা ও শিশুর জন্য ক্ষতিকারক হয়।অথবা স্ত্রীরর
যদি এমন রোগ হয় যে,যদি শিশু ধারণ করা হয় তবে কেউ
মৃত্যু মুখে পতিত হবেন।তবে এমতাবস্থায় কনডম বা পিল
খাওয়ানো জায়েজ। শরীয়তে এমতাবস্থায় আযল করার
অনুমতি প্রদান করেছে। আযল হচ্ছে বীর্য বাহির হওয়ার
সময় লিঙ্গ যোনি থেকে বের করে মনি বাহিরে ফেলে দেয়া।
কিন্তু কনডম, পিল কিংবা আযল জন্ম নিয়ন্ত্রণ লক্ষ্যে বা বিবাহ
পুর্ব সঙ্গমের জন্য হলে তা মোটেই জায়েয নয়।
উল্লেখ্য, কনডম বা যেহেতু পশ্চিমা কর্তৃক বানানো এবং এর
সাইট ইফেক্ট রয়েছে।তাই তা থেকে বিরত থেকে আযল করাই
উত্তম।
প্রথমে বলে রাখি, ইসলামে কনডম ব্যবহার
প্রচলন ছিলনা কিন্তু আজল পদ্ধতি যায়েজ
ছিল, তাই আজল পদ্ধতি যেহেতু তাই একই
হিসেবে কনডম ব্যবহারের অনুমতি মিলে
বলেই উল্লেখ আছে মোকসুদুল মোমিনিনে
আমি নিজেও পড়েছি।
আরব দেশে ইসলাম পূর্ববর্তী যুগে জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতির প্রচলন ছিল যেটা ইসলামের আবির্ভাবের পরে হযরত ( সাঃ) এর জীবদ্দশায়ও বলবৎ ছিল উনার সম্মতিতে। পদ্ধতিটি (coitus interruptus ) হচ্ছে সঙ্গমকালীন সময়ে বীর্যপাতের পূর্বে লিঙ্গের ( ejection) বাহির করণ যেন বীর্য বাহিরে পতিত হয়। এই পদ্ধতিকে আরবিতে আজল (AZL) বলা হয়। আমি আলোচনার সুবিধার্থে এই পদ্ধতিকে আজল বলছি। আজলের ক্ষেত্রে মুহাম্মদের নির্দেশনা ছিল যেন আজল করা হয় স্বামী / স্ত্রী উভয়ের সম্মতিতে। এটার পশ্চাতে ছিল দুটি কারণ প্রথমত এটা যেন স্ত্রীর মিলনের ক্ষেত্রে পূর্ণ আনন্দ লাভের ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে দ্বিতীয়ত সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে নারীর মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করা। এই যুক্তিতে ইসলাম পারস্পরিক মতামতের ভিত্তিতে সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনাকে স্বীকৃতি প্রদান করছে। আজল সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত আছে বখারি শরিফে। “যতক্ষণ পর্যন্ত ভ্রূণ নিষিক্ত না হয় ততোক্ষণ পর্যন্ত তাকে প্রান বলা যাবে না।“ সুতরাং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সমূহকে প্রান হত্যার সাথে তুলনা করা বোকামি।
বিঃদঃ স্ত্রীর অনুমতি ব্যাতীত কনডম ব্যবহার
নিষেধ, এতে তার বাড়তি সুখ পাওয়া থেকে
বঞ্চিত হয়।