এসব বিষয় নিয়ে ইদানিং খুবই বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রচার ও ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা আশ্চর্য্য হয়ে দেখেছি যে, দীর্ঘ দিন ধরে শতকরা ৯৯% বাংলাদেশের মুসলমান যে নামাজ আদায় করে আসছে, তা আজ নাকি বিদআত হয়ে গেছে!!! এসব বিভ্রান্তি আমাদের দেশের শান্তিপ্রিয় ধার্মিকতার বিপক্ষে গভীর ষড়যন্ত্র পাকানোর ধৃষ্টতার চেষ্টাই বৈ-কি? জনাব, এখন হাজারো বই পূস্তক প্রকাশিত হচ্ছে হররোজ...আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে বলছি, আপনার এলাকার যে কোনও কওমী মাদ্রাসার মুফতী সাহেব হতে সরাসরি জিজ্ঞেস করে জেনে নেয়াটাই উত্তম।
দলিল সহ নামাযের মাসায়েল, মাওলানা আঃ মতিন৷ এইবইটি সবচেয়ে ভাল, এছাড়া যা আছে, অধিকাংশই ভুলে ভরপুর & বানোয়াট মাসআলা মাসায়েল সম্বলিত। যদি ভাল কিছু পেতে চান, তাহলে এই বইটিই ক্রয় করুন।অনেক ভাল হবে। শুধু যে এই বইটিতে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামাজ পাবেন তা নয়, আরো অনেক আশ্চর্যময় বিষয়াবলী জানতে পারবেন, যা জেনে রাখা অত্যাবশ্যকীয়।
আমি আরবে থাকি, এখানে নামায ও ইবাদত, আদব ও আখলাক কে তেমন একটা গুরুত্বই দেয়া হয় না। পায়ের উপর কুরআন নিয়ে পড়তেছে। যাই হোক, এই আরবীরাই আজ লা মাযহাবী নামে খ্যাত। এই লা মাযহাবীগণ বাংলাদেশেও বর্তমানে এক মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
আপনি নামাযের ক্ষেত্রে সহ সকল ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফা কর্তৃক বিশ্লেষন অনুসরণ করতে পারেন। মাযহাব কোন সৃষ্ট ধর্ম নয়। এটি হচ্ছে কুরআন হাদীস থেকে সূক্ষ্ম মাসআলা মাসাইল উদঘাটন যা সাধারণ মানুষ কর্তৃক এমনকি বর্তমান যামানার আলেমদের দ্বারাও অসম্ভব। যদি সম্ভব হতো তবে পাঠ্য পুস্তক হিসাবে শুধু কুরআন আর হাদিস থাকতো। বিভিন্ন মাসআলার কিতাব যা পূর্ববর্তী ইমামগণ রচনা করে গেছেন তা পড়তেন না। তাই লা মাযহাবীদের ভ্রান্ত প্রচারণা থেকে বেঁচে থাকাই বর্তমান জমানার চাহিদা।
হানাফী মাযহাবের নামায সম্পর্কিত একটি কিতাব যা নামাযের এনসাইক্লোপিডিয়া বলা যেতে পারে হার্ড কপি, পিডিএফ কপি বা মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। যেটি মন চায় কিনে বা ডাউনলোড/ইন্সটল করে পড়তে পারেন। লিংক নামাযের আহকাম (হানাফী)