শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
ওমর (রা.) এর সময়ে মহিলাদের মসজিদে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয় মুফতি মাওলানা ওসমান গণী সালেহী মুহাদ্দিস, দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া, ঢাকা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের সিদ্ধান্ত মতে, 'মহিলাদের তারাবি নামাজ জামাতে আদায় করার উদ্দেশ্যে মহিলাদের মসজিদে যাওয়া মাকরুহে তাহরিমি।' এ ব্যাপারে হজরত সাহাবাই কেরাম, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, আয়িম্মায়ে মুজতাহিদীনসহ সবাই ইজমা বা একমত হয়েছেন। অপরদিকে মহিলাদের ঘরে নামাজ আদায় মুস্তাহাব এবং ২৫ গুণ বেশি ফজিলতের কারণ। (আবু দাউদ, আহমদ, দায়লামি, তাবারানি, সহিহ ইবনে হিব্বান, মুয়াত্তা মালিক)। রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জমানায় তারাবি নামাজ জামাতে পড়া হতো না, তারাবি নামাজে কোরআন শরিফ খতম হতো না। অনুরূপভাবে যদিও প্রথম যুগে ইসলাম ও মুসলমানদের বৃহত্তর স্বার্থে মহিলাদের জামাতে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি ছিল কিন্তু হজরত ওমর (রা.) এর খেলাফতকালে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং পরে ইমাম, মুজতাহিদ মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ পড়া মাকরুহে তাহরিমি ফতুয়া প্রদান করেন এবং এর ওপর উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়। মসজিদে না গিয়ে নিজ ঘরে আদায়ই কাম্য মাওলানা ইকবাল হোছাইন মাসুম
ইমাম-খতিব মসজিদ ইমাম আবু হানিফা (রহ.) খাঁপাড়া, টঙ্গী, গাজীপুর। মহিলাদের জন্য অন্যান্য সালাতের ন্যায় তারাবির সালাতও মসজিদে না গিয়ে নিজ ঘরে আদায়ই কাম্য। কেননা রাসূল (সা.) বলেছেন, মহিলাদের জন্য ঘরে সালাত মসজিদে সালাতের চেয়ে উত্তম। অনেকে নারীদের মসজিদে গিয়ে জামাতে শরিক হওয়ার দলিল হিসেবে ওই হাদিসটি পেশ করেন, তোমরা আল্লাহর বান্দিদের মসজিদে যেতে বাধা দিও না, অথচ তারা অন্য কথাগুলো সামনে রাখেন না। আর মহিলাদের যেসব শর্তে মসজিদে আসার অনুমতি তখন দেয়া হয়েছিল, এখন সে শর্তগুলো পূরণ করা হয় না। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, মহিলারা পর্দা ঠিক মতো করে না, অনেক যুবতী বোন সাজসজ্জা করে মসজিদে আসেন। এসব কারণেই তাদের মসজিদে আসার অনুমতি দেয়ার পরবর্তী সময়ে না আসতেই উৎসাহিত করা হয়েছে। খোদ হারাম শরিফের দরসে বলা হয়েছে, এখানে নামাজ পড়লে ১ লাখ গুণ সওয়াব বেশি হবে, যা হাদিসে বলা হয়েছে। কিন্তু মহিলারা যদি এখানে নামাজ না পড়ে ঘরে পড়েন তবে তাদের জন্য সেখানেই এর চেয়ে বেশি সওয়াব লেখা হবে। পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে মসজিদে যাওয়ার অনুমতি থাকা উচিত সিরাজুম মুনিরা প্রভাষক,
ইসলাম শিক্ষা বিভাগ পটুয়াখালী সরকারি কলেজ। আমি মনে করি, মেয়েদের মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ পড়ার অনুমতি থাকা উচিত। কারণ, এটা মেয়েদের অধিকারের পর্যায়ে পড়ে। তবে তার আগে সেরকম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। মসজিদে তাদের জন্য আলাদা রুম দিয়ে সেখানে পর্দার ব্যবস্থা করতে হবে। এমনকি মসজিদে আলাদা যাতায়াতের ব্যবস্থাও করতে হবে। অন্যথায় নয়। অনেকেরই মসজিদের একদম কাছেই বাসা। হয়তো পাশের বিল্ডিংয়ে, যাতায়াতে পর্দার খেলাপ হওয়ার সুযোগ নেই। তাদের জন্য এমন নিষেধাজ্ঞা তাদের বঞ্চিত করার সমতুল্য। সাধারণত সারা বছর আমরা মসজিদে যাওয়ার সুযোগ পাই না। এই একটি মাস আমাদের জন্য সুযোগ হিসেবে আসে। এখানে ঐক্যের একটি ব্যাপার আছে। এই একটি মাধ্যমে আমরা অন্য মুসলিম বোনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারি। পরস্পর ধর্মীয় বিভিন্ন মাসলা-মাসায়েল নিয়ে আলোচনা করতে পারি। তবে সব কিছুর আগে পর্দার কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ঢালাওভাবে না বললে যদি কোথাও পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় সেখানে পড়ার ব্যাপারেও নিষেধ করা হয়ে গেল। তাই আমার মতে, সেটি উচিত হবে না।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ