হ্যাঁ, নির্দেশে সবাই সমান। মহান আল্লাহ বলেছেন, “বিশ্বাসী নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানে রক্ষা করে।”(নুরঃ ৩১) তবে কামদৃষ্টি ছাড়া অন্য কোন বৈধ দৃষ্টিতে তাকান যাবে। মা আয়েশা (রঃ) হাবশীদের খেলা দেখেছেন। নবী (সঃ) তাকে আড়াল করে তা দেখিয়েছেন। ৫৩৩ (বুখারী ৯৫০, মুসলিম ৮৯২ নং) টিভি প্রভৃতির পর্দায় বা ছবিতে পুরুষ দেখার ক্ষেত্রেও একই বিধান। কামনজর নিয়ে তাকান যাবে না। ৫৩৪ (ইবনে উষাইমীন)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

দৃষ্টি হেফাজতের হুকুমে আল্লাহ তায়ালা নারী পুরুষের জন্য একই ধরনের শব্দ ও বাক্য প্রয়োগ করেছেন।

আল-কুরআনের সূরা নূরে বলা হয়েছে, "বিশ্বাসী পুরুষদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানকে রক্ষা করে।” 

একই সূরার অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, "বিশ্বাসী নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে ও তাদের লজ্জাস্থানকে রক্ষা করে।” 

বোঝা যাচ্ছে, পর্দা এবং দৃষ্টির হেফাজতের ক্ষেত্রে নারী পুরুষ সমান। কেউই বিপরীত লিঙ্গের বেগানার দিকে তাকাতে পারবে না।

এক্ষেত্রে পুরুষ যেমন নারীদের দিকে তাকাতে পারবে না, তেমনি কোনো নারীও পুরুষদের দিকে তাকাতে পারবে না।

হাদিসে আছে, একবার অন্ধ সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূম রাযিয়াল্লাহু আনহু আসছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে তাঁর সহধর্মিণীণ ছিলেন। তখন তিনি তাঁদেরকে ওঠে যেতে বললেন। তারা বললেন, থাকলে সমস্যা কী? আবদুল্লাহ তো আমাদেরকে দেখতে পাচ্ছেন না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরাও কি তার মতো অন্ধ হয়ে গেছ? তোমরা কি তাকে দেখতে পাচ্ছ না? (او كما قال عليه السلام

বোঝা গেল, এক্ষেত্রে নারী পুরুষ সমান। কেউ কাউকে দেখতে পারবে না। চাই কামভাব থাকুক, বা না থাকুক! 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ