আয়না বা দর্পন হচ্ছে তিন রকম- উত্তল, অবতল ও সমতল দর্পন। উত্তল দর্পন আসল বস্তুর চেয়ে বড় প্রতিবিম্ব এবং অবতল দর্পন ছোট প্রতিবিম্ব তৈরি করে এবং এই প্রতিবিম্বগুলো তৈরি হয় লেন্স থেকে ব্যাবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী ঠিক করে দেয়া দূরত্বে। কিন্তু, সমতল দর্পন অর্থাৎ আয়নাতে বিম্ব তৈরি হয় আসল বস্তুটির সমান, দর্পনের ভেতরে এবং দর্পন থেকে আসল বস্তুটি যতটুকু দূরত্বে ঠিক ততটুকু দূরত্বেই। আর এই ধরণের প্রতিবিম্ব তৈরি করার জন্য আয়না আসল বস্তুর বিম্বটিকে horizantally ঘুরিয়ে দেয় অর্থাৎ বামকে ডান এবং ডানকে বামে ঘুরিয়ে দেয় যেটা vertically করার প্রয়োজন হয় না। ছবি এঁকে দেখাতে পারলে আরো ভাল ভাবে বোঝানো সম্ভব হত। সোজা কথায়, সমতল দর্পন, অর্থাৎ আমাদের প্রতিদিনের ব্যাবহার্য্য আয়নাতে আমাদের প্রতিবিম্বটি আয়নার ভেতরে সমান দূরত্বে (আয়না থেকে আমাদের দূরত্ব যত, ঠিক তত দূরত্বে) গঠিত হওয়ার কারণেই আমাদের বিম্বটি ডানে-বামে উল্টে যায়। তবে, এইটা কিন্তু সাধারণ আয়নার একটা বৈশিষ্ঠ সকল আয়নার ক্ষেত্রে না ! সঠিক ভাবে বললে বলতে হয় এইটা ঘটে থাকে প্লেইন আর কনভেক্স আয়নার ক্ষেত্রে ! (আয়না বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আয়না ৩ রকম ১.প্লেইন ২.কনভেক্স এবং ৩. কনকেভ মিরর !) কনকেভ মিরর ক্ষেত্রে কিন্তু এই বিষয়টা ঘটবেনা তখন, সবকিছু উল্টোয় দেখা যাবে অর্থাত মাথা নিচে পা উপরে !! আর এর পিছনে দায়ী হলো কনকেভ মিররের বৈশিষ্ট, কনকেভ মিরর সবকিছু ভার্টিকাল করার কাজটা খুব ভালোভাবে করতে পারে ! (কনকেভ মিরর কোনগুলো তা বোঝার এক সহজ উপায় হলো সানগ্লাস ! মানে আমরা যখন সানগ্লাস পরি তখন সানগ্লাসের যেই দিক চোখের কাছে নিয়ে পরি তাহলো কনকেভ ! তবে, সেইটা আয়নার মত কাজ করবে যদি তা যথেষ্ট মসৃন থাকে ! এখন অবশ্য এরকম সানগ্লাস ফুটপাতেই কিনতে পাওয়া যায় !) কেউ যদি আমার কথা না বিশ্বাস করে তাহলে এখনই এরকম একটা কনকেভ আয়না নিয়ে চোখের সামনে বসে পরুক আর দেখুক তার কাঙ্খিত ফলাফল অর্থাত, "মাথা নিচে আর পা উপরে" !

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ