শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

মায়ের প্রতি সন্তানের খুবই ভালো ব্যবহার হওয়া উচিৎ। কেননা, যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারন করে রেখেছে। কত কষ্টই না করেছে সন্তানের জন্য সে মাকে তো ভালোবাসতেই হবে। আর মহানবী (সঃ) বলেছেন মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্তহ। আর সেই মায়ের সাথে যদি খারাপ ব্যবহার করি তাহলে বেহেস্তহ যাব কিভাবে!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মায়ের প্রতি একজন সন্তানের এমন ব্যবহার হওয়া উচিত যাতে কোন ত্রুটি না থাকে । যে সকল কাজ করলে মা খুশি থাকেন সত্নানের উচিত ঐ কাজ গুলোই আগে করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পৃথীবিতে যত ভালো,সুন্দর.সহনীয়,নমনীয়,আচরণ রয়েছে তা মায়ের সাথে করা উচিত।অথএব কোন কারণেই যেন আপনার মা দুঃখ না পায় সেদিকে খেয়াল করেই ব্যবহার করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মা এর সাথে ছেলে কেমন ব্যবহার করবে? উত্তরঃ**কুরানে সুরা বানি ঈসরাইলে বলছেন,তার সারকথা হলোঃ তাদের সাথে এমন ব্যবহার করতে হবে যেন তারা ওহ! শব্দটি ও না বলে।এর দ্বারা বুঝা গেলো পৃথীবিতে সবচেয়ে ভালো ব্যবহার করতে হবে পিতামাতাকে।আরো বুঝার সুবিদার্থে সুরা বানি ইসরাইলে ৩৪ নং আয়াত দেখুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পিতা-মাতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্ত্যব (কুরআন ও হাদিসের আলোকে) আল্লাহ বলেন ঃ তোমার পালনকর্তা আদেশ করছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং মাতা- পিতার সাথে সদ্ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবনদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে উহ! শব্দটিও বল না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং তাদের সাথে শিষ্টাচারপূর্ণ কথা বল। তাদের সামনে ভালবাসার সাথে নম্রভাবে মাথা নত করে দাও এবং বল, হে পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশককালে লালন-পালন কবেছে। - ( বনী ইসরাঈল-২৩-২৪) অর্থাৎ পিতা-মাতার সাথে নম্র আচরণ কর, সেবা-যতœ কর। তারা বার্ধক্যে উপনীত হলে কোন রুঢ় কথা বল না এবং ধমকও দিও না। তাদের সে ভাবে সেবা-যতœ করা উচিত যেভাবে তারা শৈশবকালে তোমার সেবা-যতœ করেছেন। তোমার স্মরণ রাখা উচিত,প্রথমে তারা নিঃস্বার্থভাবে তোমার সেবা-যতœ করে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। এখন তাদের যতœ নিলেও তুমি তাদেও সমকক্ষ হতে পারবেনা। কারণ শৈশবে তারা নানা যন্তণা ভোগ করেও সেবা-যতœ করে তোমার দীর্ঘ জীবন ও সুস্থতা কামনা করেছেন। পক্ষাত্তরে বৃদ্ধ পিতামাতার কাছ থেকে একটু কষ্ট পেলে বা বকাঝকা শুনলেই তুমি তাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে যাও। আল্লাহ বলেন ঃ তুমি আমার কাছে কৃতজ্ঞ হও এবং তোমার মাতা-পিতার কাছেও কৃতজ্ঞ হও। আমারই নিকট তোমাকে ফিরে আসতে হবে। ( লোকমান-১৪) সুতরাং এখানে এটা লক্ষণীয় যে, আল্লাহপাক কিভাবে মাতা-পিতার প্রতি কৃতজ্ঞতাকে তার কৃতজ্ঞতার সাথে যুক্ত করেছেন অর্থাৎ আল্লাহ তা’লা সেই কৃতজ্ঞতা গ্রহন করেন না যে মাতা-পিতার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়না। কোরআনে তিনটি আয়াত তিনটি বিষয়ের সাথে যুক্ত হয়ে অবতীর্ণ হয়েছে, আর এর একটি অন্যটিকে ছাড়া গ্রহনযোগ্য নয়। * প্রথমটি হল , আল্লাহ বলেনঃ ” তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর।” অতএব যে লোক আল্লহকে মানবে অথচ তার রাসূলকে মানবেনা, আল্লাহর তরফ হতে এই আনুগত্য গ্রহন করা হবেনা। * দ্বিতীয়টি হল, আল্লাহ বলেনঃ ”নামায কায়েম কর এবং যাকাত প্রদান কর।” অতএব যে লোক নামায় পড়বে কিন্তু যাকাত দিবেনা, আল্লাহ তার নামায় কবুল করবেন না।* তৃতীয় হল, আল্লাহ বলেনঃ ”তুমি আমার কাছে কৃতজ্ঞ হও এবং তোমার মাতা-পিতার কাছেও কৃতজ্ঞ হও।” অতএব যে শুধু আল্লার প্রতি কৃতজ্ঞতা পালন করে কিন্তু মাতা-পিতার প্রতি কৃতজ্ঞ হবেনা, আল্লাহর কাছে তা অর্থহীন। আল্লাহ বলেন ঃ তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, তার সাথে কাউকে শরীক করোনা, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার কর। (আন-নিসা-৩৬) এখানে আল্লাহ তা’লা তার বান্দাদেরকে তার ইবাদত করতে বলেছেন এবং তার সাথে কাউকে শরীক করতে নিষেধ করেছেন আর একই সাথে পিতা-মাতার সাথে ভাল ব্যবহার করার নির্দেশ দিচ্ছেন। তাই এটা স্পষ্ট যে, মা-বাবার সেবা করা তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করা ও ইবাদতের অংশ। কেউ যদি শুধু মাএ আল্লাহর ইবাদত করে কিন্তু তার মা- বাবার মনে কষ্ট দেয় তাদের চাওয়া Ñপাওয়ার চাইতে নিজের সুখকে বেশি প্রধান্য দেয় তবে তার সেই ইবাদত বিশাল মরুভূমির বুকে এক ফোটা জলের মতই নিস্ফল। আল্লাহ বলেন ঃ আমি মানুষকে নিজেদের পিতা-মাতার সাথে উত্তম ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি। (আল-আনকবূত-৮) আল্লাহ তা’লা কোরআনে যা মানুষকে নির্দেশ দিয়েছেন তাই পালন করা আমাদের জন্য ফরজ। আল্লাহ নির্দেশ করেন পিতা-মাতার সাথে উত্তম ব্যবহার করার, মা-বাবা বৃদ্ধ বয়সে উপনীত হলে সবকিছুর চাইতে বেশী প্রধান্য দিতে হবে তাদের মনকে, তারা তখন সন্তানদের কাছে সবকিছুর চাইতেও উত্তম বলে বিবেচিত হতে হবে। কিন্তু আমাদের বর্তমান সমাজে আজ এই সম্মান দেখানো ও মা-বাবার মতামতকে মূল্যয়নকারীর সংখ্যা কমে যাচেছ যা ঐ সকল হতভাগা সন্তানদের জাহানামের সুসংবাদ দিচ্ছে। আল্লাহ বলেন ঃ আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারন করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দুই বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। আমার কাছেই তোমাকে ফিরে আসতে হবে। (লোকমান -১৪) সূরা-লোকমানের এই আয়াতে আল্লাহ সন্তানদের তার মায়ের গর্ভধারনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সন্তানদেরকে সেই কৃতজ্ঞতার কথা সরণে রাখার তাগিদ দিয়েছেন। গর্ভকালীন মায়ের সেই কষ্ট সন্তান তার সারা জীবনের শ্রেষ্ঠ সেবা দিয়েও পূরণ করতে সক্ষম নয়, মায়ের বুকের দুধ যা সন্তানকে জীবিত রেখেছে এই ধরায় সেই দুধ খেয়ে যে সন্তানেরা বিবাহিত জীবনে এসে বউ ও সন্তানের সুখের জন্য মা কে কষ্ট দেয় তার চেয়ে হতভাগা হাশরের মাঠে আর কে হবে। পিতা-মাতাকে পেয়েও যারা নিজের কল্যাণ করতে পারলোনা কোনকিছুই শেষ বিচারের দিন তাদের কল্যাণে আসবেনা। আল্লাহ বলেন ঃ পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে. যার জ্ঞান তোমার কাছে নেই,তবে তুমি তাদের কথা মানবেনা এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সহ অবস্থান করবে। (লোকমান-১৫) কত মহান আমাদের রবের সত্তা যিনি মাতা-পিতার সম্মান বৃদ্ধি করেছেন সন্তানদের কাছে, মা-বাবা যদি সন্তানকে আল্লাহর সাথে শিরক এ বাধ্য করতে চায় তবে সন্তান যেন সেই আদেশ না মানে কিন্তু তারপরও মা-বাবার সাথে খারাপ আচবণ করা যাবেনা। সুন্দর ভাবে তাদের সেই অন্যায় আবদার পরিত্যাগ করতে হবে, তাদেরকে এই ভূল সংশোধনের জন্য বোঝাতে হবে কিন্তু কোন অবস্থাতেই তাদেরকে ত্যাগ করা যাবেনা এবং খারাপ আচরণও করা যাবেনা। পিতা- মাতা যদি বির্ধমীয়ও হয় তবু তাদের ত্যাগ করা যাবেনা। সুতবাং এখান থেকে এটা স্পষ্ট যে, আল্লাহ তা’লা পিতা-মাতার অবস্থান কতো উর্দ্ধে তুলে ধরেছেন ॥ হযরত বশির (রাঃ) বলেন. রাসূল (সাঃ) বলেন, ” যে লোক মায়ের কাছে অবস্থান করে তার নির্দেশ মতো চলে, সে তরবারী নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ। মায়ের দিকে ভক্তি সহকারে তাকানোর চেয়ে মহৎ কাজ আর নেই। রাসূল (সাঃ) বলেন ঃ মাতা-পিতার সন্তুুষ্টিতে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং মাতা-পিতার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি। (তিরমিযী) নবী করিম (সাঃ) পিতা-মাতার যে সন্তুষ্টির কথা আমাদের বলেছেন প্রথমেই আমাদের সেই সন্তুষ্টি গুলো কি তা জানা আবশ্যক। মা-বাবা সন্তানদের যা করতে বলেন তা করা, যে বিষয় গুলো নিষেধ করেন সেগুলো না করা। তারা যখন সন্তানদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তখন তাদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা, তাদেরকে যেন বোঝা মনে করা না হয়। পারিবারিক জীবনে আগে মা-বাবাকে অগ্রাধিকার দেওয়া কেননা যে বউ আজ তোমার জীবন সঙ্গী তাকে তোমার মা- বাবাই পছন্দ করে এনেছে অথচ আজ তোমার পরিচালনার ভুলে তোমার বউ এর দ্বারা তুমি তোমার বেহশতের আশ্রয় মা-বাবাকেই কষ্ট দিচ্ছো। এক লোক রাসূল (সাঃ) এর কাছে এসে তার সাথে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাইল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন ঃ তোমার মাতা-পিতা কি জীবিত? সে জবাব দিলঃ জি হাঁ। রাসূল (সাঃ) বললেন ঃ তাহলে তাদের সেবা যতেœর জিহাদে শরীক হও। - (বুখারী. মুসলিম) লক্ষনীয়, এ হাদিসে মা-বাবার খেদমতকে কিভাবে জিহাদেও চেয়েও বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ