এই সমস্যার সমাধান তো খুব সহজ ইনশাআল্লাহ, আর তা হল, তুমি এটা প্রমাণ করবে তোমার পিতাকে মাদরাসায় (বিদ্যালয়ে) নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে, যাতে তিনি স্বয়ং নিজেই সরেজমিনে বিষয়টি জেনে আসতে পারেন, অথবা মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে এমন প্রমাণপত্র দাবি করবে, যা প্রমাণ করবে যে, তুমি ছাত্র এবং ঐ শ্রেণীর ছাত্র, যাতে তুমি পড়ালেখা কর, আর তাতে মাদরাসার প্রধান স্বাক্ষর করে দেবেন এবং প্রতিষ্ঠানের সীলমোহর লাগিয়ে দেবেন। আর পিতা-মাতার জন্যও উচিত কাজ হবে না যে, তাদের নিকট যা কিছু বলা হবে, তাই বিশ্বাস করবে, বরং তাদের উচিত হল প্রতিটি বিষয়কে তার জায়াগায় স্থান করে দেয়া, সুতরাং তোমার ব্যাপারে যা বলা হবে, তুমি যখন সেই অভিযোগে অভিযুক্ত নও, তখন তোমার ব্যাপারে তাদের পক্ষ থেকে খারাপ ধারণা পোষণ করা উচিত নয়, কারণ, খারাপ ধারণার জন্যও একটা যুক্তিযুক্ত পাত্র আছে, অথচ তুমি যখন অসুস্থ অবস্থায় ছিলে, তখন তাদের জন্য তোমার ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণ করা বৈধ নয়, আর আমরা আল্লাহর নিকট তোমার জন্য অটল মনোবল ও দৃঢ়চিত্তের আবেদন করি এবং তোমার পিতা-মাতার জন্য প্রার্থনা করি হেদায়াত ও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির। আর আল্লাহই হলেন তাওফীক দানকারী। শাইখ ইবনু ‘উসাইমীন ফতোয়ায়ে মানারুল ইসলাম (فتاوى منار الإسلام ): ৩ / ৭২৬