শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রেমে পড়া আর মানসিকভাবে অসুস্থ , দুই গ্রুপের মানুষের মস্তিষ্কেই সেরেটনিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে শতকরা ৪০ ভাগ কম। সেরেটনিন হলো মস্তিষ্কের এমন এক নিউরোট্রান্সমিটার যার পরিমাণ কমে গেলেই বিষণ্নতা, অবসাদ, খিটখিটে মেজাজ এবং ওসিডির মতো মানসিক রোগ দেখা দেয়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, প্রেমে পড়লেও একই অবস্থা হয়। কাজেই যৌক্তিকভাবেই বলা যায়, প্রেমে পড়লে মানুষ আর মানসিকভাবে সুস্থ থাকে না। তার বিচারবুদ্ধি লোপ পায় এবং সে অন্ধ আবেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।

সোর্স

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
maruf

Call

ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের নিউরো-অ্যাস্থেটিকসের অধ্যাপক ড. সেমির জেকি বলেছেন, আমরা যখন পছন্দের কাউকে দেখি তখন আমাদের মস্তিস্কের সামনের অংশ (ফ্রন্ট করটেক্স) যেটি যুক্তি এবং বিচার করে, সেটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রেমে পড়ার মুহূর্তে আমরা বুদ্ধি-বিবেচনা হারিয়ে ফেলি। এ সময় ওই ব্যক্তির বিষয়ে কোনো সন্দেহ এবং নিন্দা করতে পারে না মস্তিস্ক। এ জন্য বলা হয়ে থাকে প্রেম অন্ধ।

তবে, প্রেমে পড়লে মস্তিস্কের ফ্রন্ট করটেক্স বন্ধ হয়ে যায় নাকি ফ্রন্ট করটেক্স বন্ধ হলে মানুষ প্রেমে পাগল হয় তার ব্যাখ্যা দেননি সেমির জেকি।

ড. সেমির জেকি আরো বলেন, মস্তিস্কের ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স ইমাজিং করে দেখা গেছে, মস্তিস্কের যেসব অংশ ভয়-দ্বিধাসহ বিভিন্ন অনুভূতির জন্যও দায়ী, প্রেমের মুহূর্তে সেসব অংশ অকার্যকর হয়ে যায়। ফলে প্রেমিক-প্রেমিকারা এসময় বাস্তবতার তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যেমন পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করা, বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রভৃতি। তবে আত্মহননের মতো নেতিবাচক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন অনেকেই।

এ তো গেলো মস্তিস্কের চক্রান্তের কথা। এবার শরীরে হরমোনের ষড়যন্ত্রের খোঁজ নেওয়া যাক।

চোখে চোখ পড়া, হাতে সামান্য হাতের স্পর্শ মস্তিস্কে এক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সূচনা করে যা স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে মানবদেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সমগ্র প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে এক সেকেন্ডের ‌বিশ ভাগের এক ভাগ সময় লাগে। এর বিস্তারের বাহন রক্ত। ফলে হাত ঘামা, মুখে রক্তিম আভা, দ্রুত নিঃশ্বাস ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। আসলে প্রেম আর উৎকন্ঠার বাহ্যিক প্রকাশ মোটামুটি একই রকম। প্রেমে পড়লে অকারণ আনন্দ বা ইউফোবিয়ার যে লক্ষণ দেখা যায়, তার জন্য দায়ী এমফিটামিনের সমগোত্রীয় কিছু হরমোন। যার মধ্যে রয়েছে জেপ্যামিন, নরএপিনেফ্রিন, ফিনাইল ইথাইল এমিন (পিইএ) ইত্যাদি।

যদি কেউ বলে, প্রেম তার কাছে নেশার মতো লাগছে, কিংবা যদি কোনো প্রেমিক তার প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, তোমার চোখে নেশা ধরে যাচ্ছে, তাহলে সেটাকে নিছক ফিল্মি ডায়লগ বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। আসলে এটা ফিনাইল ইথাইল এমিনের (পিইএ) নেশা। তবে এই পিইএ’র নেশা অনন্তকাল থাকে না। যার ফলে রোমান্টিক প্রেমও স্বল্পায়ু। যে কোনো এমফেটামিনস এর মতোই এই কেমিকেলও শরীরের সঙ্গে টলারেন্স-ডিপেন্ডেন্স এর খেলা খেলে। ক্রমশ শরীরে এই পিইএ টলারেন্স তৈরি হয়। ফলে একই পরিমাণ প্রেমানুভূতির জন্য আরও বেশি পরিমাণ পিইএ’র দরকার পড়ে। দুই তিন বছরের মধ্যে পিইএ টলারেন্স এতটা বেড়ে যায় যে, রোমান্টিক প্রেম জাগাতে যতটা পরিমাণ পিইএ দরকার শরীর তা আর তৈরি করতে পারে না। ফলে প্রেমের অনুভূতি আর তেমন তীক্ষ্ম থাকে না। এই পিইএ টলারেন্স তৈরি হওয়ায় প্রেমের তীব্রতা হারানো অনেকে সহ্য করতে পারে না। ফলে স্বাদ পেতে অনেকেই ছুটে বেড়ান এক সম্পর্ক থেকে আরেক সম্পর্কে, এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে। তবুও বহু প্রেমই টিকে থাকে উন্মত্ত স্তর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও। এরজন্য বাহবা দেওয়া যায় আরেক শ্রেণীর রাসায়নিক সামগ্রিকে।

একজন সঙ্গীর ক্রমাগত উপস্থিতি অনেক সময় মস্তিস্কে এনডরফিন জাতীয় রাসায়নিকের ক্ষরণ নিশ্চিত করে। সঙ্গীর উপস্থিতির প্রভাবে ক্ষরিত এই এনডরফিন ক্রমাগত নিরাপত্তাবোধ ও শান্তি দেয়। দম্পতিদের মধ্যে একে অপরকে ছেড়ে গেলে অথবা একজন মারা গেলে এই এনডরফিনের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে দূর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন।

প্রেমের ক্ষেত্রে আর একটা জৈব রাসায়নিক অক্সিটোসিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ গবেষণায় জানা গেছে, পরিণত নারী-পুরুষের আদর করার ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রিত হয় এই অক্সিটোসিন দ্বারা। সাধারণত একজন পুরুষের আদর করার ইচ্ছা তখনই জাগে, যখন তার রক্তে অক্সিটোসিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে তিন গুণ থেকে পাঁচ গুণ বেশি থাকে। নারীর ক্ষেত্রে অক্সিটোসিনের মাত্রা আরও বেশি হয়। 

ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের নিউরো-অ্যাস্থেটিকসের অধ্যাপক ড. সেমির জেকি বলেছেন, আমরা যখন পছন্দের কাউকে দেখি তখন আমাদের মস্তিস্কের সামনের অংশ (ফ্রন্ট করটেক্স) যেটি যুক্তি এবং বিচার করে, সেটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রেমে পড়ার মুহূর্তে আমরা বুদ্ধি-বিবেচনা হারিয়ে ফেলি। এ সময় ওই ব্যক্তির বিষয়ে কোনো সন্দেহ এবং নিন্দা করতে পারে না মস্তিস্ক। এ জন্য বলা হয়ে থাকে প্রেম অন্ধ।

তবে, প্রেমে পড়লে মস্তিস্কের ফ্রন্ট করটেক্স বন্ধ হয়ে যায় নাকি ফ্রন্ট করটেক্স বন্ধ হলে মানুষ প্রেমে পাগল হয় তার ব্যাখ্যা দেননি সেমির জেকি।

ড. সেমির জেকি আরো বলেন, মস্তিস্কের ম্যাগনেটিক রেসোন্যান্স ইমাজিং করে দেখা গেছে, মস্তিস্কের যেসব অংশ ভয়-দ্বিধাসহ বিভিন্ন অনুভূতির জন্যও দায়ী, প্রেমের মুহূর্তে সেসব অংশ অকার্যকর হয়ে যায়। ফলে প্রেমিক-প্রেমিকারা এসময় বাস্তবতার তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যেমন পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করা, বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া প্রভৃতি। তবে আত্মহননের মতো নেতিবাচক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন অনেকেই।

এ তো গেলো মস্তিস্কের চক্রান্তের কথা। এবার শরীরে হরমোনের ষড়যন্ত্রের খোঁজ নেওয়া যাক।

চোখে চোখ পড়া, হাতে সামান্য হাতের স্পর্শ মস্তিস্কে এক রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সূচনা করে যা স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে মানবদেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সমগ্র প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে এক সেকেন্ডের ‌বিশ ভাগের এক ভাগ সময় লাগে। এর বিস্তারের বাহন রক্ত। ফলে হাত ঘামা, মুখে রক্তিম আভা, দ্রুত নিঃশ্বাস ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। আসলে প্রেম আর উৎকন্ঠার বাহ্যিক প্রকাশ মোটামুটি একই রকম। প্রেমে পড়লে অকারণ আনন্দ বা ইউফোবিয়ার যে লক্ষণ দেখা যায়, তার জন্য দায়ী এমফিটামিনের সমগোত্রীয় কিছু হরমোন। যার মধ্যে রয়েছে জেপ্যামিন, নরএপিনেফ্রিন, ফিনাইল ইথাইল এমিন (পিইএ) ইত্যাদি।

যদি কেউ বলে, প্রেম তার কাছে নেশার মতো লাগছে, কিংবা যদি কোনো প্রেমিক তার প্রেমিকার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে, তোমার চোখে নেশা ধরে যাচ্ছে, তাহলে সেটাকে নিছক ফিল্মি ডায়লগ বলে উড়িয়ে দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই। আসলে এটা ফিনাইল ইথাইল এমিনের (পিইএ) নেশা। তবে এই পিইএ’র নেশা অনন্তকাল থাকে না। যার ফলে রোমান্টিক প্রেমও স্বল্পায়ু। যে কোনো এমফেটামিনস এর মতোই এই কেমিকেলও শরীরের সঙ্গে টলারেন্স-ডিপেন্ডেন্স এর খেলা খেলে। ক্রমশ শরীরে এই পিইএ টলারেন্স তৈরি হয়। ফলে একই পরিমাণ প্রেমানুভূতির জন্য আরও বেশি পরিমাণ পিইএ’র দরকার পড়ে। দুই তিন বছরের মধ্যে পিইএ টলারেন্স এতটা বেড়ে যায় যে, রোমান্টিক প্রেম জাগাতে যতটা পরিমাণ পিইএ দরকার শরীর তা আর তৈরি করতে পারে না। ফলে প্রেমের অনুভূতি আর তেমন তীক্ষ্ম থাকে না। এই পিইএ টলারেন্স তৈরি হওয়ায় প্রেমের তীব্রতা হারানো অনেকে সহ্য করতে পারে না। ফলে স্বাদ পেতে অনেকেই ছুটে বেড়ান এক সম্পর্ক থেকে আরেক সম্পর্কে, এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে। তবুও বহু প্রেমই টিকে থাকে উন্মত্ত স্তর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও। এরজন্য বাহবা দেওয়া যায় আরেক শ্রেণীর রাসায়নিক সামগ্রিকে।

একজন সঙ্গীর ক্রমাগত উপস্থিতি অনেক সময় মস্তিস্কে এনডরফিন জাতীয় রাসায়নিকের ক্ষরণ নিশ্চিত করে। সঙ্গীর উপস্থিতির প্রভাবে ক্ষরিত এই এনডরফিন ক্রমাগত নিরাপত্তাবোধ ও শান্তি দেয়। দম্পতিদের মধ্যে একে অপরকে ছেড়ে গেলে অথবা একজন মারা গেলে এই এনডরফিনের ক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে দূর্বিষহ হয়ে ওঠে জীবন।

প্রেমের ক্ষেত্রে আর একটা জৈব রাসায়নিক অক্সিটোসিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ গবেষণায় জানা গেছে, পরিণত নারী-পুরুষের আদর করার ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রিত হয় এই অক্সিটোসিন দ্বারা। সাধারণত একজন পুরুষের আদর করার ইচ্ছা তখনই জাগে, যখন তার রক্তে অক্সিটোসিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চাইতে তিন গুণ থেকে পাঁচ গুণ বেশি থাকে। নারীর ক্ষেত্রে অক্সিটোসিনের মাত্রা আরও বেশি হয়। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

p=problem,r=ricks,em=extramoneyসব মিলিয়ে হল প্রেম।তো বুঝতেই পারছেন এই জিনিশগুলো যদি একটা মানুষের জীবনে ঘটে তাহলে তাই হওয়া উচিৎ নয় কি যা আপনি বলেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ