শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বিবাহিত জীবনে কোনো নারী যখন প্রথম নিজের মধ্যে অপর একটি প্রাণের অস্তিত্ব অনুভব করেন খুশিতে তখন মনটা তার ভরে যায়, এ বিষয়ে অন্তত কারো ভিন্নমত থাকার কথা নয়। কিন্তু হ্যাঁ, সেই সাথে আছে কিছু ভয় এবং আশঙ্কাও। কী করবেন, কী করবেন না, কোনটা তার অনাগত সন্তানের জন্য মঙ্গলজনক আর কোনটা ভালো নয় - এইসব নানান ভাবনা মনে উঁকি দিয়ে যায় সারাক্ষণ, আর সেটা হওয়াই স্বাভাবিক। 

image

হয়ত জানেন গর্ভধারণ হলো এক বিশাল দায়িত্ব। এমন এক দায়িত্ব যা পালন করতে হয় খুব সতর্কতার সাথে। গর্ভধারণের একদম প্রাথমিক পর্যায়ে, যেমন কয়েক সপ্তাহ বা মাসের সময়ে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া বিচিত্র কিছুই নয়। গর্ভের সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে যেমন নানান রকমের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়, ঠিক একই রকম সতর্কতা পালন করা উচিত গর্ভধারণের শুরুতেও। অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না, আর তার মাসুল গুণতে হয় সন্তানকে হারানোর মধ্য দিয়ে। তাহলে কী করবেন? আসুন জানা যাক।

খাওয়া দাওয়া:-

খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারতা সেই মুহুর্তে ভীষণ জরুরী। এই সময়ে আপনার নানান উদ্ভট খাবার খেতে ইচ্ছা করবে সত্যি, কিন্তু নিজেকে একটু কষ্ট দিয়ে হলেও সেগুলো খাবেন না। এমন কোন খাবার খাবেন না যাতে পেতে গ্যাস হয়। একই সাথে খুব বেশি টক খাবার যেমন আনারস, লেবু ইত্যাদি একদম এড়িয়ে চলবেন। শুধু তাই নয়, চা, কফি ইত্যাদি ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে জান একদম। কারণ এই পানীয়গুলো আপনার শরীরে তৈরি করবে পানিশূন্যতাসহ নানান রকমের মানসিক উপসর্গ।

নড়াচড়ায় সাবধানতা:-

সবচাইতে বেশি সতর্ক থাকতে হবে এই বিষয়টি নিয়ে। গর্ভধারণের সংবাদ নিশ্চিত হওয়া মাত্র নিজের শারীরিক পরিশ্রম, চলাফেরা ইত্যাদি বিষয়কে একদমই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুন। ভারি কোন কাজ একদম করবেন না, কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দিন সব। যারা বাসে বা মোটর বাইকে চড়েন, তারাও অত্যন্ত সতর্ক থাকবেন। খুব ভালো হয় বাস, রিকশা, বাইক এসব বাহন এড়িয়ে চলতে। ভালো হয় কিছুদিন বাসায় বিশ্রাম নিলে। একান্তই না পারলে গাড়ি, ট্যাক্সি, সি এনজি তে চলাচল করুন। সিঁড়ি ভেঙে ওঠানামা করবেন না। যারা ব্যায়াম করেন তাঁরা কিছুদিন বন্ধ রাখুন এসব। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই আবার শুরু করুন ব্যায়াম।

এড়িয়ে চলুন তাপমাত্রার পরিবর্তন:-

সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনার যেন খুব ঠাণ্ডা বা গরম না লাগে। ঠাণ্ডা-গরমের সমস্যা থাকলে জ্বর, সর্দি ইত্যাদি রোগ হতে পারে। ফলে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন। পান করুন প্রচুর পরিমাণে পানি ও মৌসুমি ফলমূল যা আপনাকে এসব রোগ থেকে দূরে রাখবে। স্টিম বাথ, সনা বাথ ইত্যাদি পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। এসবে যে তাপমাত্রা ব্যবহার করা হয় সেগুলো আপনার সন্তানের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এই বিষয়টিও ভালো ভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আর অন্য কোনো সাস্থ্যগত সমস্যায় চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ