শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

অনেকে দুপুরে বিশ্রাম নেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে দুপুরে খানিকটা সময় ঘুমানো শরীরের জন্য ভালো। বিশেষ করে হার্ট-এর জন্য দুপুরের স্বল্পসময়ের ঘুম খুবই উপকারি। এবার আসুন জেনে নিই দুপুরের স্বল্পসময়ের ঘুমের উপকারিতাসমূহ: এক: দুপুরের সময় কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিলে আপনি বিকেলে নিজের কাজে আরো বেশি মনোযোগী হতে পারেন। সকাল থেকে একটানা কাজের পর, দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিলে আপনি আবার শক্তিশালী এবং সতেজ হয়ে উঠবেন। দুপুরের বিশ্রাম আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি দুপুরে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ঘুমিয়ে নিতে পারেন। দুই: দুপুরের ঘুম হৃদরোগের ঝুকি কমাতে পারে। ঘুম আপনার মুড ও মাথার কাজের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া, তা আপনার হার্ট-এর স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলবে। মনস্তত্ত্ববিদ সারাহ কনকলিন বলছেন, "গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, প্রতিরাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা করে ঘুমালে হৃদরোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমে যায়। সেজন্য দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিলে শরীরে ঘুমের অভাবজনিত কুপ্রভাব তুলনামূলকভাবে কম পড়বে।" তিন: স্পেনের লোকেরা লাঞ্চের পর নিয়ম করে খানিকক্ষণ বিশ্রাম নেয়। আরো নির্দিষ্ট করে বললে, স্প্যানিশরা দুপুর দুটো থেকে বেলা চারটার মধ্যে বিশ্রাম নেয়। স্পেনের মতো অনেক দেশে দুপুরে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নেয়ার রীতি প্রচলিত। এ-রীতি খুবই ভালো এবং যুক্তিসংগত। অনেকে মনে করেন, দিনের বেলা ঘুমালে রাতের ঘুম নষ্ট হবে। আসলে একথা ঠিক নয়। দিনের বেলায় সঠিক সময়ে কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিলে, তা রাতের ঘুমের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। তবে, সন্ধ্যা ৫ বা ৬টায় না-ঘুমানো ভালো। চার: অ্যালার্ম ব্যবহার করুন_ অনেকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। ঘড়িতে অ্যালার্ম দেয়া দিনের বেলায়ও জরুরি। সময়মতো ঘুম থেকে জেগে উঠতে না-পারলে কাজের ক্ষতি হবে---এই ভয়ে অনেকে দিনের বেলায় ঘুমাতে ভয় পান। তাদের জন্য ঘুম বিশেষজ্ঞদের উপদেশ হচ্ছে: দিনের বেলায় ঘুমাতে যাবার আগে ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। অ্যালার্ম দিয়ে রাখলে ঘুমানোর সময় আপনি সময়মতো ঘুম থেকে ওঠার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকবেন এবং আপনার ভালো ঘুম হবে। ৫: যথেষ্ট ঘুমের পরেও যদি আপনার ক্লান্ত লাগে, তবে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

দুপুরে খাওয়ার পরে আমাদের শরীর প্রায় ছেড়ে দেয়। কেমন যেন এক ধরনের অলসভাব নিয়ে চোখ ভেঙ্গে ঘুম আসে। অনেকে ঘুমিয়েও থাকেন। আবার অনেকে রাতের পরিবর্তে দুপুরে ঘুমাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে দুপুরের ঘুম আমাদের স্বাস্থ্যে জন্য কখনই ভালো না বরং তা ঝুঁকিপূর্ণ। আয়ু কমে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যামব্রিজের সম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুপুরে খাওয়ার পর ঘুম হলো মানুষের আয়ু কমে যাওয়ার কারণ। গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, মধ্যবয়সী এবং বৃদ্ধদের দিনের ঘুম মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। ওই ঘুম মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় বেশি করে। ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৪০-৬৫ বছরের মানুষ যারা দিনে একদমই ঘুমান না তাদের আয়ু অনেক বেশি। ওই গবেষণাদলের প্রধান গবেষক ইউ লেং বলেন, ‘দিনে ঘুমের অভ্যাস শ্বাস সম্পর্কিত নানা রোগের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে দিনের ঘুমের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন ৬৫ বছর বা তার চেয়ে একটু কম বয়সী মানুষরা।’ ইংল্যান্ডের ১৬ হাজার মানুষের ওপর ১৩ বছর ধরে ওই গবেষণা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউ লেং। ৪০-৭৯ বছর বয়স্কদের মধ্যে যারা প্রতিদিন দিনে এক ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের আয়ু ১৪ শতাংশই ওই গবেষণা চলাকালীন ১৩ বছরের মধ্যে মারা গেছেন। আর যারা প্রতিদিন এক ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুমান তাদের ৩২ শতাংশই আরও কম সময়ের মধ্যেই দেহত্যাগ করেছেন। গবেষকরা বলেছেন, আরো যেসব বিষয় মানুষকে আরো বেশি করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় তা হলো ধুমপান, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, অ্যাজমা প্রভৃতি। হঠাৎ মৃত্যু : আগে বলা হতো দুপুরে ঘুমের অভ্যাস ভালো। কারণ দুপুরের ঘুম স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ক্ষেত্রে চমৎকার কাজ করে। কিন্তু গবেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বিজ্ঞানী জানান, দিনে এক ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুমের অভ্যেস রয়েছে যাদের অন্যদের থেকে তাদের হঠাৎ মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ। তবে এ মৃত্যুর ঝুঁকি সাধারণত ৪০ বছরের পর দেখা যায়। তারা জানান, দিবানিদ্রার ফলে প্রাণঘাতী অসুখের সম্ভাবনা থেকেই এটা হয়। আর তা হল শ্বাস- প্রশ্বাসের সমস্যা। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এ তথ্য দেন গবেষকরা। দুপুরের ঘুম দূর করার উপায় : - দুপুরের খাবারে ঠিক পরপর নয় ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর ১ কাপ চা/কফি পান করে নিন। চা/কফির ক্যাফেইন ঘুম দূর করে দেবে। - এক নিঃশ্বাসে ১ গ্লাস পানি পান করে ফেলুন। দেহ হাইড্রেট থাকলে ঘুম ঘুম ভাব একটু কম হবে। এছাড়াও চোখে মুখে একটু পানি দিয়ে আসতে পারেন। এতে তরতাজা অনুভব করবেন। - একজায়গায় বসে থাকবেন না। এতে ঘুম আরও বেশি পাবে। উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিন। ৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নিলেও ঘুম ঘুম ভাব পালাবে। - আবছা অন্ধকার কিংবা লাইটের আলো নয় সূর্যের উজ্জ্বল আলো নিজের রুমে প্রবেশ করে এমন ব্যবস্থা করে ফেলুন। সূর্যের উজ্জ্বল আলো আমাদের দেহের প্রাকৃতিক সাইকেল সজাগ করে এবং ঘুম দূর করে। - যদি কোনো কিছুতেই কিছু না হয় তবে মাত্র ১০ মিনিটের একটি পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিন। মাত্র ১০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপে আপনার ঘুম ঘুম ভাব একেবারেই চলে যাবে। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ