Call

ব্ল্যাকহেড দূর করার বিভিন্ন প্যাক :
লেবু ও টক দই এর প্যাক: ২ চা চামচ ব্যসন, ৩ চা চামচ টক দই ও ১ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে প্যাকটি তৈরি করতে হবে, যা ব্ল্যাকহেড আক্রান্ত জায়গায় ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে মুখটি ধুতে হবে,
বেকিং পাউডারের প্যাক: ২ টে চামচ বেকিং পাউডার ও ৪ টে চামচ পানি মিশিয়ে প্যাকটি তৈরি করতে হবে এবং আক্রান্ত স্থানে মোটা করে লাগাতে হবে। ১০ -১২ মিনিট পর প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটি ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
ডিমের প্যাক: অতিরিক্ত ঘন ব্ল্যাকহেড থাকলে আক্রান্ত স্থানে ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফাটিয়ে তাতে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে প্যাকটি লাগাতে হবে। ২০-২৫ মিনিট পর মুখটি হালকা গরম পানিতে মুখটি ধুতে হবে।
টমেটোর প্যাক: টমেটো হল একটি এন্টিসফেটিক। টমেটো পেস্ট করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখে ও নাকে লাগান এবং সারারাত রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাল করে মুখটি ধুয়ে ফেলুন।
মধু দিয়ে তৈরি প্যাক: তৈলাক্ত ত্বকে ব্ল্যাকহেড আরও সমস্যাজনক, এই সমস্যা দূর করতে মধু অত্যন্ত কার্যকর।
ব্ল্যাকহেড আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর মুখটি হালকা গরম পানিতে মুখটি ধুতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
manik

Call

নাকের উপরে, নাকের আশেপাশে ও ঠোঁটের নিচে বেশিরভাগ মানুষেরই ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইট হেডস হয়ে থাকে। ব্ল্যাকহেডসের কারণে ত্বক নোংরা, অনুজ্জ্বল ও কালো দেখায়। এছাড়াও ত্বকে ব্ল্যাকহেডস থাকলে ত্বক অমসৃণ থাকে এবং সহজে মেকআপ বসতে চায় না। যাদের ব্ল্যাকহেডস হয় তারা পরিষ্কার করতে রীতিমত হিমসিম খান তা বলাই বাহুল্য। একবার হলে সহজে যেতে চায়না ব্ল্যাকহেডস, পার্লারে গিয়ে পরিষ্কার করালেও কিছুদিন পরেই আবারো ব্ল্যাকহেডসের উপদ্রব শুরু হয়। তাছাড়া বারবার পার্লারে গিয়ে ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করানোও বেশ খরচের ব্যাপার। আরও খারাপ বিষয়টি হচ্ছে, এই ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করার ব্যাপারটি বেশ ব্যথা দায়ক।

 

বেশ সহজেই ঘরেই পরিষ্কার করে ফেলা যায় ব্ল্যাকহেডস। ঘরোয়া ফেস প্যাক ব্যবহার করেই বিচ্ছিরি ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। আসুন জেনে নেয়া যাক ব্ল্যাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যথা বিহীন ঘরোয়া পদ্ধতি।

 

উপকরণঃ
১টা ডিমের সাদা অংশ
১/২ লেবুর রস
১ চা চামচ মধু

 

পদ্ধতিঃ
* প্রথমে মুখে গরম পানির ভাপ নিন।
* শুকনো টাওয়েল দিয়ে আলতো করে মুখ মুছে নিন।
* ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস ও মধু একটি বাটিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
* আঙ্গুল দিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন ফেস প্যাকটি।
* ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য।
* শুকিয়ে গেলে নরম একটি বেবি টুথ ব্রাশ দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। বিশেষ করে আক্রান্ত স্থান গুলো। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
* এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে রোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
* আলতো করে মুখ মুছে ১ ফোটা অলিভওয়েল লাগিয়ে নিন পুরো মুখে।
* সপ্তাহে দুবার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ব্ল্যাকহেডসের যন্ত্রণা থেকে ত্বক থাকবে মুক্ত, বারবার ফিরেও আসবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আমাদের স্কিনের পোরস গুলোতে প্রতিনিয়তই ময়লা জমে। এই ময়লা ঠিক মতো পরিষ্কার করা না হলে এর উপর আরও বেশি তেল ময়লা জমতে থাকে। এক সময় তা বাতাসের সংস্পর্শে এসে অক্সিডাইযড হয়ে ব্ল্যাকহেডস এর রূপ নেয়। শুরু থেকে সচেতন না হলে এটি এক রকম স্থায়ীই হয়ে বসে যায়, অপরিচ্ছন্ন করে তোলে আপনার স্কিন। সাধারণত আমাদের টি জোনে (কপাল ও নাকে) তেল্গ্রন্থি গুলো মুখের অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি সক্রিয় থাকে। তেল নিঃসরণ বেশি হওয়ায় ধুলোবালি জমে ব্ল্যাকহেডস হয়ে যায়। স্কিন তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়, হয়ে পড়ে অমসৃণ। এমনকিঐ স্থানে মেকআপ করলেও তা ঠিকমতো বসতে চায় না। ব্ল্যাকহেডস এর সমস্যা প্রায় কম বেশি সবাইকেই পড়তে হয়। আজ এর থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো। লেবু চিনির স্ক্রাবঃ ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এটি। মাঝারি সাইজের একটা লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত স্থানে মাসাজ করুন চিনি গলে যাওয়া না পর্যন্ত। এর পর ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার করুন। স্কিনের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে আর এক্সফলিয়েট করতে এর জুড়ি নেই। বেকিং সোডাঃ ১ চামচ বেকিং সোডা আর ২ চামচ পানির পেস্ট তৈরি করুন। ৫ মিনিট হালকা মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এটি স্কিনের ব্যাকটেরিয়া দূর করতেও সাহায্য করে, ব্ল্যাকহেডস কমিয়ে আনে। অনেক সময় ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার হয়ে এলেও স্কিনের পোরস গুলো বড় থেকে যায়। এক্ষেত্রেও বেকিং সোডা চমৎকার কাজ করে। টুথপেস্টঃ অনেকদিনের জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস পরিষ্কার করা বেশ ঝক্কির ব্যাপার। আর একদিনে তা কখনও দূর হয়না। সেক্ষেত্রে সামান্য সাদা টুথপেস্ট নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক। এরপর নরম একটি টুথ ব্রাশের সাহায্যে আস্তে আস্তে স্ক্রাব এর মতো করে ঘষতে থাকুন। ত্বকের মরা চামড়া উঠে আসার সঙ্গে সঙ্গে এটি ব্ল্যাক হেডস গুলোকে নরম করে ফেলে। ব্রাশ দিয়ে ঘষে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ৫ মিনিট গরম পানির ভাপ নিন। এতে পোরস গুলো খুলে যাবে। এরপর আবারো ব্রাশ দিয়ে ঘষুন, দেখবেন খুব সহজেই ব্ল্যাক হেডস গুলো উঠে আসবে। সপ্তাহে ১ বার করুন। আমণ্ড গোলাপজলের স্ক্রাবঃ ২ চামচ আমণ্ড গুঁড়ো আর ১ চামচ গোলাপজল এর পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্ট সম্পূর্ণ মুখে লাগিয়ে সার্কুলার মোশনে ধীরে ধীরে মাসাজ করুন ২-৩ মিনিট। এর পর ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্ল্যাকহেডস দূর করার সাথে সাথে এটি স্কিনে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। লবণঃ আজকাল বাজারে যে রিফাইন্ড লবণ পাওয়া যায়, সেগুলো নয়, বরং একটু মোটা দানাদার লবণের কথা বলছি। এটি যেমন চটজলদি ব্ল্যাকহেডস এর স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে তেমনি অয়েলি স্কিন এর অতিরিক্ত অয়েল কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে। খুব সামান্য পরিমাণ লবণ নিন (২ চিমটি), এতে কয়েক ফোঁটা পানি যোগ করুন। এরপর ব্ল্যাকহেডস এর ওপর মাসাজ করুন লবণ গলে না যাওয়া পর্যন্ত। এর পর ঈষদুষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্ল্যাকহেডস এর সাথে সাথে ঐ স্থানের তেল নিঃসরণের পরিমানও কমিয়ে আনে। তবে সাবধান, পুরো মুখে এটি ব্যবহার করবেন না যেন! তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। শুধু মাত্র ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত অংশের জন্য এই স্ক্রাব। মধুঃ শুষ্ক ত্বকেও হতে পারে ব্ল্যাকহেডস। তাদের জন্য মধু আদর্শ। দারুচিনি গুঁড়ো আর মধু ২:১ পরিমাণে মিশিয়ে ব্ল্যাক হেডস এর উপর ১৫-২০ মিনিট রাখুন। এর পর ২ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। একই সাথে এটি ময়েশ্চারাইজার আর স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহারে ব্ল্যাকহেডস অনেকটাই কমে আসবে। টিপসঃ বালিশের কভার প্রতি সপ্তাহে পালটে ফেলুন। আপনার ব্যবহারের চিরুনি, তোয়ালে সবসময় পরিষ্কার রাখুন। ব্ল্যাকহেডস, পিম্পল, খুশকি এসব কিছুর প্রকোপ থেকে কিছুটা মুক্তি পাবেন। আপনার স্কিনের ধরন অনুযায়ী উপরের যেকোনো পদ্ধতি বেছে নিন। নিয়মিত করলে ব্লাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। শুভকামনা রইল সবার জন্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

Almas pearl cream টি ব্যাবহার করুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ