ব্রন থেকে বাঁচতে নিচের টিপস গুলো অনুসরন করুন —ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন —বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন। —ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এই কারণেই পনির, দুধ কম খান। —কোল ড্রিংকস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন। —খুব বেশি পরিমাণে পানি খান। দিনে যদি দু লিটার পানি খেতে পারেন তা আপনার স্বাস্থ্য এবং ত্বকের ক্ষেত্রে ফলদায়ক হবে। পানি বেশি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে পিত্ত বেরিয়ে যাবে। আপনি ব্রণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। —আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন। ব্রন দূর করবে নিম — ব্রন সমস্যাকে খুব সহজ ঘরোয়া উপায়ে মেটানো সম্ভব৷চার-পাঁচটা নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে পিষে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মূলতানি মাটি, অল্প গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটা যদি গাঢ় হয়ে যায় তাহলে ওর মধ্যে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। প্যাকটা মুখে শুকিয়ে গেলে হালকা পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।
রূপচর্চার আর দশটা বিষয়ের চাইতে ব্রণের বিষয়টি সবসময়ই রূপসচেতন মানুষের কাছে একটু বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে আসছে। কেননা এমনিতে কারো ত্বক উজ্জ্বল হোক কিংবা অনুজ্জ্বল যাই হোক না কেন ব্রণের সমস্যা যখন সেই ত্বকে যোগ হয় তখন রূপচর্চার চাইতে রূপের স্বাভাবিকতা ধরে রাখাটাই হয়ে ওঠে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। এ কারণে রূপ বিশেষজ্ঞের চেম্বার থেকে শুরু করে পত্রিকার পাতা অবধি সবখানেই ব্রণ মোকাবেলার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর ফলে ব্রণ কেন হয় এবং কীভাবে ব্রণের সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা যায় সেটি নিয়ে অনেকেই কমবেশি জানেন।
সাধারণত শুষ্ক এবং তৈলাক্ত দু ধরনের ত্বকেই কমবেশি ব্রণের দেখা মেলে। তবে আনুপাতিক হারে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরাই ব্রণ সমস্যায় বেশি ভোগেন। এছাড়া ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সহজ-স্বাভাবিক আরও যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেগুলো হলো—
♠ বেশি করে পানি খাওয়া।
♠ চুলে খুশকি থাকলে তা দূর করা।
♠ খাবারের তালিকায় শাকসবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া।
♠ ভাজা-পোড়া খাবার এড়িয়ে চলা।
♠ নিয়মিত গোসল করা।
♠ পেটের সমস্যা থাকলে পেট পরিষ্কার রাখার উদ্যোগ নেওয়া।
♠ ভিটামিন ও মিনারেল-যুক্ত খাবার খাওয়া।
♠ পরিধেয় বস্ত্র ও তোয়ালে পরিষ্কার রাখা।
♠ দুশ্চিন্তা না করা।
♠ সম্ভব হলে মাসে একবার ফেসিয়ালের মাধ্যমে ত্বকের উপরিভাগ পরিষ্কার রাখা।
♠ তৈলাক্ত ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন ব্যবহার করা।
জায়ফল ইংরেজিতে নাটমেগ নামে পরিচিত, যার বৈজ্ঞানিক নাম মাইরিসটিকা ফ্রাগরেন্স । জায়ফলের মধ্যে “মেইস” নামক একটি উপাদান আছে, যা ফাংগাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। ব্রণের মূল কারণ হলো মুখের ত্বকে ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাসের আক্রমণ। সুতরাং বুঝতেই পারছেন জায়ফল কিভাবে ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। কথা না বাড়িয়ে এবার জেনে নিই ব্রণের চিকিৎসায় জায়ফলের ব্যবহার।
“উক্ত পেস্টটিকে আপনি স্পট ক্রিম হিসাবে মুখের দাগ দূর করতেও ব্যবহার করতে পারেন”
ময়লা, ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণসহ বিভিন্ন কারণে ত্বকে ব্রণ এবং ফোঁড়া হয়। ফোঁড়ায় তো বটেই কখনো কখনো ব্রণেও ব্যথা হয়। এতে আক্রান্ত স্থানসহ আশেপাশের জায়গা ফুলে যেতে পারে। ভেষজ চিকিত্সা দ্বারা এ সমস্যার নিরাময় করা সম্ভব। জেনে নিন ব্যথাযুক্ত ব্রণ ও ফোঁড়া নিরাময়ের ৫টি ভেষজ চিকিৎসা। ১. পুঁই পাতা দুটো পুঁই পাতা ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন। দিনে দু বার ব্রণ বা ফোঁড়ার ওপর পুরু করে প্রলেপ দিয়ে রাখুন। ৩. গাঁদা ফুল এবং পাতা দুটি ফুল এবং পাঁচটি পাতা ভালো করে ধুয়ে থেঁতলে নিন। দিনে দু বার ফোঁড়া বা ব্রণের ওপর পুলটিশ হিসেবে লাগান। ৪. কাঁঠালের কষ কাঁঠালের গাছ থেকে দুধের মতো যে কষ বের হয় তা সংগ্রহ করে তার সাথে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি গরম করে হট কম্প্রেস হিসেবে ব্যবহার করুন। সেঁক দেবার জন্য পরিষ্কার ছোট সুতি কাপড়ের টুকরা ব্যবহার করুন। বিশ মিনিট করে সেঁক দিন। ৪. জবা ফুল এবং পাতা পাঁচ কচি পাতা এবং দুটো ফুল ভালো করে ধুয়ে থেঁতলে নিন। এটা সরাসরি ব্রণ অথবা ফোঁড়ার ওপর বসিয়ে দিন। দিনে দুই বার এভাবে করুন। ৫. কাঠ কয়লা কয়লা গুঁড়ো করে নিন। পানিতে ভিজিয়ে এক টুকরো পরিষ্কার কাপড়ে বা রুমালে জড়িয়ে নিন। সরাসরি পুলটিশ হিসেবে ব্যবহার করুন দিনে দু বার।