আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি  ওয়া বারকাতুহু, যে আগে দ্বীনের পথে ছিল না, নামে মুসলিম ছিল, এখন ঈমান এনে দীনে ঢুকেছে, এখন তার 3 বছরের কাযা নামাজ হয়েছে, এগুলো সে কি করবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জীবনের ছুটে যাওয়া (৩ বছরের) কাযা নামায আদায় করতে হলে প্র্রথমে কোন ওয়াক্ত নামায কত রাকাত কাযা হয়েছে তা নির্ণিত করে নিতে হবে। যদি তা জানা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন নামায কত ওয়াক্ত কাযা করেছে তা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর একে একে তা আদায় করবে।

যেমন: ফজরের নামায ৫০ ওয়াক্তের কাযা হয়েছে। তখন কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত করবে, আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা আছে, তার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে। তারপর যিম্মায় ৪৯ ওয়াক্তের ফজরের নামায বাকি থাকে। তবু এভাবেই নিয়ত করবে যে, আমার যিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা আছে, তার প্রথম অনাদায়কৃত ফজরের নামাযের নিয়ত করছি”। এভাবে হিসেবে করে পড়তে থাকবে। প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজর নামায বলার দ্বারা যে নামায বাকি আছে, তার প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযের হয়ে যায়।

ঠিক উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের কাযা আদায় করা যাবে। এভাবে বাকি নামায আদায় করবে। যোহর, আছর, মাগরিব, ইশাও এভাবে আদায় করবে। একদিনে একাধিক চারদিন পাঁচদিনের, যত দিনের ইচ্ছে কাযা আদায় করা যাবে। কোন সমস্যা নেই। ধন্যবাদ।

সূত্র: রদ্দুল মুহতার ২/৫৩৮


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ