Call

স্বপ্নদোষ হতেই পারে আবার নামাজও পড়তে হবে। যদি স্বপ্নদোষ হয়ে যায় নামাজের সময় হওয়ার আগেই গোসল করে নামাজ পরে নিবেন। খুব বেশি সমস্যায় সুর্য উঠার পর ১২ টার আগে ফজর নামাজের কাজা হয় না। কাজা নিয়তে পড়তে হবেনা। তবে সবসময়/বিনা কারণে এটা করা যাবেনা। ভালো থাকবেন                             

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যদি রাত্রে গোসল করার কোন ব্যবস্থা/সম্ভব না থাকে তাহলে পাপ হবে না কাজা নামাজ আদায় করতে হবে আর যদি গোসল করার ব্যবস্থা ও পানি থাকে তথাপি অবহেলা করেন তাহলে পাপ হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসালামে নামায়ের গুরত্ব:

মান আনার পর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে নামাজ, পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে আল্লাহ নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। নামাজ আদায়ের গুরুত্ব বর্ণনা করে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে এরশাদ করেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায় করা মোমিনের ওপর একান্ত অপরিহার্য।’ -সূরা নিসা : ১০৩
তবে ভুল-ত্রুটি, নিদ্রা, শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি কারণে মানুষের নামাজ কাজা হয়ে যেতে পারে, আর কারও কোনো নামাজ কাজা হয়ে গেলে তা মাফ হয়ে যায় না বরং স্মরণ হওয়ার পর সে নামাজের কাজা আদায় করে নিতে হয়।
বহু হাদিসে কাজা নামাজ আদায়ের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে, এ সম্পর্কে হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি নামাজ আদায়ের কথা ভুলে যায় তাহলে যখন স্মরণ হয় তখন সে যেন তার কাজা আদায় করে নেয়, এছাড়া তার ওপর অন্য কোনো কাফফারা নেই।’ কারণ আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘তোমরা আমার স্মরণের জন্য নামাজ কায়েম করো।’ -সহীহ বুখারি, হ. ৫৭২, সহীহ মুসলিম,হা. ১৫৯৮
অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে, হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো নামাজ আদায়ের কথা ভুলে যায় অথবা নামাজের সময় ঘুমিয়ে থাকে তাহলে তার কাফফারা হচ্ছে যখন স্মরণ হবে তখন কাজা আদায় করে নেয়া।’ -সহীহ মুসলিম, হা. ১৬০০
নামায কাযা করার শাস্তি:

এক হাদিসে আছে, নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির এক ওয়াক্ত নামাজ ছুটে গেল, তার থেকে যেন তার পরিবার-পরিজন ও ধনসম্পদ সবকিছুই কেড়ে নেওয়া হলো। (ইবনে হিব্বান)

শরিয়তে বিনা উজরে দুই ওয়াক্ত নামাজ একসঙ্গে আদায় করা কবিরা গুনাহ, জামে তিরমিজির এক হাদিসে এসেছে, হজরত নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া দুই ওয়াক্তের নামাজ একসঙ্গে মিলিয়ে পড়ল, সে কবিরা গোনাহের দরজাসমূহের একটি দরজায় প্রবেশ করল।

অপর হাদিসে হজরত আলী রাযি. বলেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা তিন কাজে বিলম্ব করো না। এক. নামাজ, যখন সময় হয়। দুই. জানাজা, যখন তা তৈরি হয়। তিন. অবিবাহিত নারী, যখন তার উপযুক্ত স্বামী পাওয়া যায়। অর্থাৎ এ তিনটি কাজ করার সময় হলে সঙ্গে সঙ্গে করে নেওয়া উচিত। অপর হাদিসে এসেছে, একদিন নবী করিম (সা.) নামাজের বিষয় আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, যে ব্যক্তি নামাজের গুরুত্ব দেয় না কেয়ামতের দিন তার জন্য নামাজ নূর হবে না। তার কাছে কোনো দলিল থাকবে না। নাজাতের জন্য তার কোনো উপায়ও থাকবে না। এরূপ ব্যক্তির হাশর হবে ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খলফের সঙ্গে। (মুসনাদে আহমদ, ইবনে হিব্বান)

আপনার জন্য করণীয়:

তাই আপনার জন্য ফরয গোসলে বিলম্বে করে ফযর নামায কাযা ঠিক হয় নি। আপনার উচিত তাওবা মাধ্যমে উক্ত দিনের পাপটির জন্য আল্লাহ তাআলার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করা। আল্লাহ তাআলা আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ