আমি কিছু সমাধান পেশ করছি- ১. দুই মাস পরপর মাথা কামিয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকবার করুন। অনেক সময় হয় যে, দীর্ঘদিন একটি চুল মাথায় থাকার ফলে গোড়া হালকা হয়ে যায়। হাল্কা টাচেই পড়ে যায়। ২. চুল ছোট ছোট করে রাখুন। ৩. দৈনিক সকাল সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট পরিমান মধু ও কালোজিরার তৈল সেবন করুন এবং চুলে কালোজিরার তৈল ব্যবহার করুন। ৪. যে পানি দিয়ে চুল ধুবেন সেটাতে সাতবার সূরা ফাতিহা পড়ে ফু দিন। আমি এগুলার কিছুটা তাদবীর করি কিন্তু মানুষ ভাববে ব্যবসা করছি তাই আপনাকে এতটুকু পরামর্শই দিলাম।
চুল বোধহয় ভালোবাসার মানুষের মত। আপনি যতই ভালবাসেন না কেন তার যদি যাওয়ার হয় তাহলে সে চলে যায়। আমাদের চুলও তেমনি। ডাক্তার যদি দেখাতে না ই পারেন তাহলে আপাতত কিছু না করে স্বাভাবিক থাকেন। আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেয়া কঠিন। কারণ পরামর্শ দিতে হলে প্রথমে পরীক্ষা করতে হবে ঠিক কি কারণে চুল পড়ছে। এটা হতে পারে বংশগত, অথবা খুশকি অথবা মাথার ত্বকের প্রবলেম। অথবা আপনি এমন সব জিনিস ব্যবহার করেছেন যেগুলো আপনার চুল পড়ার জন্য দায়ী। এখন যা করতে পারেন তা হল টেনশন করবেন না একেবারেই। ধরে নিবেন পৃথিবীতে কোটি কোটি টাক মানুষ আছে। আপনার ও হয়ে গেলে কিছু করার নেই। খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। চুলে আপাতত আর কোন রকম তেল দেবেন না। সপ্তাহে 1/2 দিন লেবুর রস আর পেয়াজের রস মিক্স করে ব্যবহার করতে পারেন। মাথায় শ্যাম্পু করবেন 1 দিন। গোসলের পর ভেজা চুলে কখনো চিরুনী চালাবেন না। পুষ্টিকর খাবার খাবেন আর সেই সাথে সম্ভব হলে ব্যায়াম করবেন। ব্যায়ামে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। মাথার ত্বক যাতে ময়লা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। জানিনা পরামর্শগুলো কতটুকু উপকারে আসবে। যেহেতু আপনার চুল পড়ার সঠিক কারণ জানিনা তাই সঠিক পরামর্শ দেয়া কঠিন। তারপরও চেষ্টা করে দেখুন কাজ হয় কিনা। আপনার সমস্যার যাতে সমাধান হয় সেই কামনা করি। ধন্যবাদ।
সাধারণত বংশগত কারণ, হরমোন জনিত সমস্যা, ভিটামিন ও প্রোটিনের অভাব, ভেজা আছাড়ানো, চুলের যত্ন না নেওয়া। এছাড়া বেশিমাত্রায় শরীরচর্চা ও ডায়েট কন্ট্রোল করাও চুল ভঙ্গুর করে ফেলে, পরামর্শ ব্যাতিত ওষুধ খাওয়া অভ্যাসের ফলেও এ সমস্যা হয়। প্রতিদিন ৭০-৮০ টি বা এর বেশি চুল পড়া স্বাভাবিক কিন্তু যখন নতুন গজায় না তখন সমস্যা দেখা দেয়। আপনি ভালোমানের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ভালোমানের শ্যাম্পু চুল কালো ও ঘন করে তোলে। আপনি এর জন্যে সিলেক্ট প্লাস শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। চুলের ক্ষয় রোধ ও চুল পড়া কমাতে ভালো কাজ করে। কোন সুপারমার্কেট থেকে ক্যাস্টর ওয়েল কিনে ব্যবহার করতে পারেন। ক্যাস্টর ওয়েল চুলের ক্ষয় সাধন করে। চুলকে ঘন ও কালো করে তুলে। যদি ক্যাস্টর ওয়েল ব্যবহার না করেন তাহলে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে ৪-৫ দিন চুলে তেল দেওয়ার চেষ্টা করুন। এরফলে চুল দ্রুত ভালো হয়ে উঠবে। আপনি উচ্চমানের রাসায়নিক চুলের প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। মানসিক দুঃশ্চিন্তা করবেন না। শারীরিক বিশ্রাম নিন। এতে শরীর সচল হবে। সুষম খাবার গ্রহণ করুন। সুষম চুল ও ত্বকের সুস্বাস্থ্যতা বজায় রাখে। ভিটামিন 'ই' যুক্ত খাবার খান। প্রয়োজনে Vitamin 'E' ক্যাপসুল ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করুন। আপনি চুলে পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে লাগাতে পারেন। পেঁয়াজ চুলের জন্যে ভালো। এরজন্যে প্রথমে বড় একটি পেয়াজ ব্লেন্ড করে নিন তারপর ভালো মানের নারিকেল তেল চুলে পেঁয়াজ ও নারিকেল তেল মিশিয়ে লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ বার এরকম করুন। ভেজা চুল আঁচড়ালে চিরুনির সাথে চুল উঠে আসে। যদি ভেজা চুল আঁচড়াতেই হয় তাহলে ফাঁকা দাতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করুন। চুল জঁট বাধা অবস্থায় থাকলে ব্রাশ কিংবা চিরুনি দিয়ে চুল না আঁচড়িয়ে আংগুল দিয়ে চুলের জঁট খুলুন। আশা করি এই টিপস গুলো আপনার উপকারে আসবে। যদি তারপরেও চুল পড়ে তাহলে একজন হেয়ার স্পেশালিষ্ট অথবা ডার্মাটোলজিস্ট এর সাথে যোগাযোগ করুন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। টিপস গুলো কতটুকু কাজ করবে জানা নেই কারণ আপনার চুল পড়ার কারণ সঠিক ভাবে পরামর্শ দেওয়া যায় না। তাই আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।