ছেলেদের দুইটি কারনে কান ফুড়ানো হয়।
১। কিছু মানুষের ধারণা, প্রথম সন্তান যদি মারা যায়,
তাহলে পরবর্তী সন্তানের কান ফুটো করে
দিতে হয়; তাহলে সে আর মরবে না বা
দীর্ঘজীবি হবে। অনেককে দেখা যায় কান
ফুটো করে কানে একটি রিং পরিয়ে দেয়। এটি
একটি কুসংস্কার। এর কোনো ভিত্তি নেই।
২। স্টাইল করার জন্য।
পুরুষের জন্য স্টাইল করে কান ফুটো
করে অলংকার পরিধান করা
সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয। বেশ-ভূষায়, চাল-চলন ইত্যাদিতে নারী-পুরুষের পরস্পরের অনুকরণ হারাম।
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন।
অন্য বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন।
(রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হাদিস নম্বরঃ ১৬৩৯
সহীহুল বুখারীঃ হাদিসের মানঃ সহিহ)।
কান ফোড়ালে মসজিদে একামত
দেওয়া বা ইমামতি করা যায়। তবে পুরুষদের
জন্য এগুলো সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা
অপরিহার্য।