ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হাওয়া মূলত মেহ বা ধাতুক্ষয় রোগের কারন আর স্বপ্নদোষ হাওয়া টা স্বাভাবিক তবে হিসাব করে রাখবেন মাসে ঠিক কত বার স্বপ্নদোষ হচ্ছে, প্রতিমাসেই একটানা ৩/৪ স্বপ্নদোষ হোক বা ৮/৯ দিন পর পর একবার করে স্বপ্নদোষ হোক তা সমস্যা নাই।
মনে রাখবেন প্রতিমাসেই স্বপ্নদোষ এর পরিমাণ মোট ৪/৫ বারের বেশি যেনো না হয় বা মাসে ৮ বারের বেশি হলে আপনি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিবেন। আর চিকিৎসা চলাকালীন মাসে ১ বার হস্তমৈথুন করলেও ওই চিকিৎসার কোন উপকার আসবে না সব টাকা ও সময় নষ্ট হবে।কাজেই চিকিৎসা চলাকালীন হস্তমৈথুন করবেন না।আর স্বপ্নদোষ মুক্তির উপায় পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন প্লিজ।
-
হস্তমৈথুন করবেন না। ব্যায়াম করবেন।
-
লিঙ্গ উত্তেজিত হলে লিঙ্গে হাত দিবেন না। বা লিঙ্গ উত্তেজিত হলে হাটাহাটি করবেন।
-
একাই রাতে ঘুমাবেন না।
-
পর্নগ্রাফী দেখবেন না ।
-
যৌন বিষায়ক চিন্তাভাবনা করবেন না।
-
বন্ধুত্ব পূর্ণ সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক সৃষ্টি করবেন।
-
কোন পর্নগ্রাফী দেখবেন না শোয়ার আগে বা শোয়ার সময়।
-
ঢিলাঢালা পোশাক পড়বেন সব সময়।
-
টাইট আন্ডারওয়ার পরবেন না।
-
দুঃশ্চিন্তা কমাবেন ।
-
পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম ও বিশ্রাম নেবেন।
-
বেশি করে পানি পান করবেন।
-
সকালে খালিপেটে ইসুবগুলের ভুসির শর্বত খাবেন যা আগেই রাতে ভিজিয়ে রাখবেন।( অবশ্যই ভুসিটি প্যাকেটজাত করা ক্রয় করবেন)
-
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্যখাবেন।
-
আপনার smoking বা alcohol এর অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করুন আস্তে আস্তে।
-
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন।
-
রাতে বেশি পানি পান করবেন না।
-
শুধু বাম কাদ ও ডান কাদ হয়ে ঘুমাবেন।
-
লিঙ্গ বিছানার সাথে ঘসানোর চেস্ট করবেন না।
-
রাতে কম খাবার খাবেন খাবার খাওয়ার পর হাটাহাটি করুন। খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমাতে যাবেন না।
-
ঘুমাতে যাবার আগে প্রস্রাব করে নিন। এবং ঘুমানোর আগে প্রস্রাবের চাপ আসলে প্রস্রাব করে নিবেন।
-
রাতে মাছ,মাংস,দুধ,শিদ্ধডিম খাবেন না। ইহা দুপুরবেলা খাবেন অবশ্যই ।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলবেন । উপরোক্ত নিয়ম গুলো আপনার বিয়ের করার পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মেনে চলুন । তবে যেহেতু এখন ঘন ঘন স্বপ্নদোষ হচ্ছে তাহলে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের চিকিৎসা নিবেন আর উপরোক্ত নিয়ম গুলো অবশ্যই মেনে চলবেন এবং হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে। শুধু ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমেই মেহ বা স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাবেন না যদি উক্ত নিয়ম গুলো মেনে না চলেন।
আশা করি বুঝতে পারছেন।
ধন্যবাদ ।