দয়াকরে কেও এটার দলিলটা বা রেফারেন্সটা দেন। 

,,,,,,,,

,,,,

,,

,


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call
কেবলমাত্র যে ব্যক্তি নামায ফরয হওয়ার কথা অস্বীকার করে এবং ইচ্ছাকৃত তা ত্যাগ করে সে ব্যক্তি উলামাদের সর্বসম্মতভাবে কাফের।

পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি অবহেলায় অলসতার দরুন নামায ত্যাগ করে, সে ব্যক্তিও উলামাদের শুদ্ধ মতানুসারে কাফের।

আহমদ ইবনু হারব (রহঃ) জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সালাত ছেড়ে দেওয়া ব্যতীত বান্দা ও কুফরের মাঝে কোন অন্তরায়ই নেই।

(সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ৪৬৪ মুসলিম ইসলামিক সেন্টার হাঃ ১৫৪ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ تَرَكَ الصَّلَاةَ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ بَيْنَ الْعَبْدِ وَبَيْنَ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلاَةِ ‏

জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দা ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো সালাত বর্জন।

(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ১০৭৮ মুসলিমঃ ৮২, তিরমিযীঃ ২৬১৮, ২৬২০; আবূ দাঊদঃ ৪৬৭৮, হাদিসের মানঃ সহিহ)।

এখানে কাফের বা কুফর বলতে সেই কুফরকে বুঝানো হয়েছে, যা মানুষকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়।

যেহেতু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযকে মুমিন ও কাফেরদের মাঝে অন্তরাল বলে চিহ্নিত করেছেন। আর এ কথা বিদিত যে, কুফরীর মিল্লাত ইসলামী মিল্লাত থেকে ভিন্নতর। সুতরাং যে ব্যক্তি ঐ চুক্তি পালন না করবে সে কাফেরদের একজন।

আব্দুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব উকাইলী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবাবৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরী মনে করতেন না।

জনাব! ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত তরককারী অথবা সালাতের ফরযিয়াতকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। ঐ ব্যক্তি ইসলাম হতে বহিষ্কৃত। কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান রাখে, অথচ অলসতা ও ব্যস্ততার অজুহাতে সালাত তরক করে কিংবা উদাসীনভাবে সালাত আদায় করে ও তার প্রকৃত হেফাযত করে না, সে ব্যক্তি সম্পর্কে শরীআতের বিধান সমূহ নিম্নরূপঃ

আল্লাহ বলেন, অতঃপর দুর্ভোগ ঐ সব মুসল্লীর জন্য যারা তাদের সালাত থেকে উদাসীন। যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে। (মাঊনঃ ১০৭/৪-৬)।

সালাত তরক করাকে হাদীসে ‘কুফরী’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সাহাবায়ে কেরামও একে ‘কুফরী’ হিসাবে গণ্য করতেন। তারা নিঃসন্দেহে জাহান্নামী।

তবে এই ব্যক্তিগণ যদি খালেস অন্তরে তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাতে বিশ্বাসী হয় এবং ইসলামের হালাল-হারাম ও ফরয-ওয়াজিব সমূহের অস্বীকারকারী না হয় এবং শিরক না করে, তাহলে তারা ‘কালেমায়ে শাহাদাত’কে অস্বীকারকারী কাফিরগণের ন্যায় ইসলাম থেকে খারিজ নয় বা চিরস্থায়ী জাহান্নামী নয়। কেননা এই প্রকারের মুসলমানেরা কর্মগতভাবে কাফির হলেও বিশ্বাসগতভাবে কাফির নয়।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ