শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আল্লাহ তায়া’লা তখন সূরা আল ইউসুফ নাযিল করেন।(বাইহাকি) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাহাবীগণ আরয করলেন: হে আল্লাহ তা‘আলার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! যদি আমাদের কাছে কোন কাহিনী বা ঘটনা বর্ণনা করতেন তবে খুবই ভাল হত। তখন উক্ত সূরার ৩ নং আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, কিছুকাল কুরআনুল কারীম অবতীর্ণ হতে থাকে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবীদের সামনে আয়াতসমূহ পাঠ করলেন। তারা বলল: ‘যদি আমাদের সামনে কোন ঘটনার বর্ণনা দিতেন!’ তখন আল্লাহ তা‘আলা (الر تِلْكَ آيَاتُ الْكِتَابِ الْمُبِينِ....لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ) পর্যন্ত অবতীর্ণ করেন। (ইবনু কাসীর ৪/৩৭৬, তাফসীর তাবারী ১২/৯০, আসবাবুন নুযূল পৃ. ২২৬, মুসতাদরেক হাকেম ২/৩৪৫, সনদ সহীহ) সত্য ও শেষ নাবী জেনেও কপট ইয়াহূদীরা নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে পদে পদে কষ্ট দিত এবং বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করার চেষ্টা করত। তাদের কাজই ছিল রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা এবং তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা। এ সময় মক্কায় কোন আহলে কিতাব বসবাস করত না এবং মক্কার লোকেরা ইউসুফ (عليه السلام) বা অন্য নাবীদের সম্পর্কে কিছু জানতও না। ফলে মদীনার কুচক্রী ইয়াহূদীদের একটি দল মক্কায় এসে একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করল যে, বলুন দেখি, কোন নাবী শামে ছিলেন। অতঃপর তার ছেলেকে সেখান থেকে মিসরে বহিষ্কার করা হয়। তাতে ঐ নাবী কেঁদে অন্ধ হয়ে যান? । একথার জবাবে অতঃপর সূরা ইউসুফ সম্পূর্ণ একত্রে নাযিল হয়। (কুরতুবী, ইবনু জারীর হা: ১৮৭৮৬)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ