আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ
এই পথে মোর চলে যেতেন নূর নবী হজরত।
পয়জা তাঁর লাগত এসে আমার কঠিন বুকে
আমি ঝর্ণা হয়ে গলে যেতাম অমনি পরম সুখে
সেই চিহ্ন বুকে পুরে
পালিয়ে যেতাম কোহ-ই-তুরে
সেথা দিবানিশি করতাম তার কদম জিয়ারত
মা ফাতেমা খেলত এসে আমার ধূলি লয়ে
আমি পড়তাম তার পায়ে লুটিয়ে ফুলের রেণু হয়ে
হাসান হোসেন হেসে হেসে
নাচত আমার বক্ষে এসে
চক্ষে আমার বইত নদী পেয়ে সে ন্যামত।
আমার বুকে পা ফেলে রে বীর আসহাব যত
রণে যেতেন দেহে আমার আঁকি মধুর ক্ষত
কুল মুসলিম আসত কাবায়
চলতে পায়ে দলত আমায়
আমি চাইতাম খোদার দীদার শাফায়ত জিন্নত।।
আল্লাহ কে যে পাইতে চায়, হযরত কে ভালবেসে আল্লাহ কে যে পাইতে চায়। হযরত কে ভালবেসে... আরশ কুর্সী লওহ কালাম না চাইতেই পেয়েছে সে।। রসুল নামের রশি ধ’রে, যেতে হবে খোদার ঘরে, নদী তরঙ্গে যে পড়েছে, ভাই দরিয়াতে সে আপনি মেশে।। তর্ক করে দুঃখ ছাড়া কী পেয়েছিস অবিশ্বাসী, কী পাওয়া যায় দেখনা বারেক হযরতেমোর ভালবাসি? এই দুনিয়ায় দিবা- রাতি ঈদ হবে তোর নিত্য সাথী; তুই যা চাস তাই পাবি হেথায়, আহমদ চান যদি হেসে।। -কাজী নজরুল ইসলাম-
কোনো একদিন, এদেশের আকাশে
কালেমার পতাকা দুলবে।
সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে
দুঃখ-বেদনা ভুলবে।
সেদিন আর রবে না হাহাকার,
অন্যায়, জুলুম, অবিচার।
সেদিন আর রবে না হাহাকার,
অন্যায়, জুলুম, অবিচার।
থাকবে না অনাচার,
দুর্নীতি, কদাচার।
থাকবে না অনাচার,
দুর্নীতি, কদাচার।
সকলেই শান্তিতে থাকবে।
সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে
দুঃখ-বেদনা ভুলবে।
কোনো একদিন, এদেশের আকাশে
কালেমার পতাকা দুলবে।
সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে
দুঃখ-বেদনা ভুলবে।
একাকিনী রমণী নির্জন পথে যাবে,
কোনোজন কটু কথা কবে না।
কোনোদিন পথে-ঘাটে, সম্পদের মোহে
খুন আর রাহাজানি রবে না।
সেই দিন আর, নয় বেশি দূরে
সেই দিন আর, নয় বেশি দূরে
আরো কিছু পথে গেলে মিলবে।
সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে
দুঃখ-বেদনা ভুলবে।
কোনো একদিন, এদেশের আকাশে
কালেমার পতাকা দুলবে।
সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে
দুঃখ-বেদনা ভুলবে।
অশান্তির কোপানলে, মরিস না ধুকে ধুকে
আয় তোরা দিকে দিকে ছুটে আয়।
যতদিন দূরে রবে, ততদিন পিছে যাবে
শান্তি আসিতে এই দুনিয়ায়।
খোদার আইন ছাড়া, অন্য কিছুতে আর
খোদার আইন ছাড়া, অন্য কিছুতে আর
মানুষের শান্তি না মিলবে।
সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে
দুঃখ-বেদনা ভুলবে।
কোনো একদিন, এদেশের আকাশে
কালেমার পতাকা দুলবে।
সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে
দুঃখ-বেদনা ভুলবে।
সেদিন আর রবে না হাহাকার,
অন্যায়, জুলুম, অবিচার।
সেদিন আর রবে না হাহাকার,
অন্যায়, জুলুম, অবিচার।
থাকবে না অনাচার,
দুর্নীতি, কদাচার।
থাকবে না অনাচার,
দুর্নীতি, কদাচার।
সকলেই শান্তিতে থাকবে।
সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে
দুঃখ-বেদনা ভুলবে।
কোনো একদিন, এদেশের আকাশে
কালেমার পতাকা দুলবে।
সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে
দুঃখ-বেদনা ভুলবে।
কোনো একদিন....
ডেকে নেবে যেদিন আমারে, তোমার প্রিয় করে নিও... হায়াতের দিন ফুরালে, খাতেমা ঈমান মোরে দিও... খাতেমা ঈমান মোরে দিও... ও আল্লাহ...........আল্লাহ, কালেমা নসিবে মোর দিও, কালেমা নসিবে মোর দিও || তোমাকে করেছি পর দুনিয়া বুকে, দুনিয়া করেছে পাপী মরি ধুকে ধুকে || পরিণতি হবে কী..... চলে গেলে দম.. মালাকুল মাউত আমার আসবে যখন... তখন তোমার, রহমের হাত বাড়িও... কালেমা নসীবে মোর দিও, কালেমা নসীবে মোর দিও। দু হাতে কেড়েছি হক, কত মানুষের, আঘাতে করেছি ক্ষত কত যে মনের || মানি নি তো তোমারে..... থেকেছি বিমুখ.. জবাবের ভয়ে বুকে কাঁপি ধুক ধুক... দয়াল মাবুদ, মরণে কৃপা রাখিও.... কালেমা নসীবে মোর দিও, কালেমা নসীবে মোর দিও... ঐ
✔মালিকরে ভুলিয়া✔
হঠাৎ আজরাইল পাঠাইয়া তোরে নিতে পারে তুলিয়া,
কিসের আশায় রইলি রে মন মালিক রে ভুলিয়া,
ও তুই মালিক রে ভুলিয়া।২
ধন সম্পদ পাইয়া হাতে করলি জমিদারি,
ক্ষমতার অহংকারে করলি বাহাদুরি ২
ও তোর রেশমি পোষাক সোনার আংটি ২
নেবে স্বজনরা খুলিয়া, কিসের আশায় রইলি রে মন মালিক রে ভুলিয়া
ও তুই মালিক রে ভুলিয়া।
মালিক রে ভুলিয়া, ও তুই মালিক রে ভুলিয়া।
ক্ষনে ক্ষনে কবর ডাকে আইরে আমার বাড়ী,
মাটির উপর থাকবি রে তুই দিন কয়েক চারি
ও তুই দিন দুই এক চারই ২
আসতে তোর হবে একদিন ২
সাদা কাফন পরিয়া
কিসের আশায় রইলি রে মন মালিক রে ভুলিয়া
ও তুই মালিক রে ভুলিয়া।
হঠাত আজরাইল পাঠাইয়া তোরে নিতে পারে তুলিয়া,
কিসের আশায় রইলি রে মন মালিক রে ভুলিয়া,
ও তুই মালিক রে ভুলিয়া। ২