হিন্দু বা বিধর্মীদের তৈরি হালাল খাবার মুসলমানের জন্য খাওয়া জায়েয। তবে তাদের যবাইকৃত প্রাণীর গোশত খাওয়া হারাম। কেননা,সূরা আনআ’মের ১১৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিধান দিয়েছেন: فَكُلُواْ مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللّهِ عَلَيْهِ إِن كُنتُمْ بِآيَاتِهِ مُؤْمِنِينَ “অতঃপর যে জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, তা থেকে ভক্ষণ কর যদি তোমরা তাঁর বিধানসমূহে বিশ্বাসী হও।” (আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৬৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/১৬৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৭; ফাতাওয়া সিরাজিয়া ৭৪)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেনঃ “হে মুমিনগণ! ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না।” (সুরা মায়িদাহ, আয়াত নং ৫১)
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেনঃ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাদের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করো না, অথচ তোমাদের কাছে যে সত্য এসেছে তা তারা অস্বীকার করেছে এবং রাসূলকে ও তোমাদেরকে বের করে দিয়েছে এজন্য যে, তোমরা তোমাদের রব আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছ।
তোমরা যদি আমার পথে সংগ্রামে ও আমার সন্তুষ্টির সন্ধানে বের হও (তবে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না) তোমরা গোপনে তাদের সাথে বন্ধুত্ব প্রকাশ কর অথচ তোমরা যা গোপন কর এবং যা প্রকাশ কর তা আমি জানি। তোমাদের মধ্যে যে এমন করবে সে সরল পথ হতে বিচ্যুত হবে।” (সুরা মুমতাহিনা, আয়াত নং ১)
জনাব! যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের খাবার নাপাক হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানা না যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের তৈরি করা বা রান্না করা খাবার খাওয়া বৈধ হবে৷ তবে তাদের তৈরিকৃত বা রান্নাকৃত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উত্তম৷ উল্লেখ্য, তাদের জবাই করা প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না, তা স্পষ্ট হারাম৷ কেননা, তারা জবেহের সময় ‘বিসমিল্লাহ’ বলে না।
(আরও দেখুনঃ সূরা তাওবা- আয়াত নং ২৮, সূরা মায়িদা- আয়াত নং ৩, ফাতাওয়া আলমগীরী ৫/৩৫৭, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/১১৫, ৪/২৭০, ইমদাদুল আহকাম ৪/৩৯২, জাওয়াহিরুল ফিকহ ২/১৮৭)