ইসলামিক দৃষ্টিতে বীর্য নির্গত হলে তা কিছু দিয়ে পরিস্কার করে নামাজ পড়া যাবে না। এক্ষেত্রে ফরজ গোসল করতে হবে। আর নামাজ পড়লেও তা কবুল হবেনা। ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল হয় না। (সূনান আত তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১ হাদিসের মানঃ সহিহ)। আবদুল জব্বার ইবনু আলা (রহঃ) আবূ আইয়্যুব (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ পানির ব্যবহার পানির কারণেই অপরিহার্য হয়। অর্থাৎ বীর্যপাত হলেই গোসল করতে হয়। (সূনান নাসাঈ, হাদিস নম্বরঃ ১৯৯ ইবনু মাজাহঃ ৬০৭, মুসলিম ইসলামিক সেন্টারঃ ৬৮১, ৬৮৮) নাপাক হলেই গোসল করা ওয়াজিব। কেননা আল্লাহ বলেন, তোমরা যদি অপবিত্র হও, তবে পবিত্রতা অর্জন কর। (সূরা মায়িদা- ৬) যে কোন নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হচ্ছে পানি। পানি ছাড়া অন্য কোন মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যাবে না। তবে যদি পানি যদি না পাওয়া যায় বা পানি ব্যবহার করলে ক্ষতির আশংকা দেখা যায়, তবে তায়াম্মুমের দিকে অগ্রসর হবে। এক্ষেত্রে দুই হাত মাটিতে মেরে তা দ্বারা মুখমন্ডল মাসেহ করবে এবং উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করবে। আর বাহ্যিক ও প্রকাশ্য নাপাক বস্ত থেকে পবিত্রতা অর্জন করার পদ্ধতি হচ্ছে, যে কোন প্রকারে উক্ত নাপাক বস্ত অপসারিত করা। চাই তা পানি দ্বারা হোক বা অন্য কোন বস্ত দ্বারা। কেননা বাহ্যিকভাবে দেখা যায় এমন নাপাক বস্তর পবিত্রতার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে কোন পবিত্র বস্ত দ্বারা তা অপসারিত করা। জনাব! ইসলামিক দৃষ্টিতে বীর্য নির্গত হলে তা কিছু দিয়ে পরিস্কার করে নামাজ পড়া যাবে। তবে শর্ত হচ্ছে আপনার উপর তায়াম্মুম কি ওয়াজিব? আল্লাহ বলেন, নাপাকী থেকে তায়াম্মুম করার পর তোমরা যদি অসুস্থ হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ পেশাব-পায়খানা করে অথবা স্ত্রীদের স্পর্শ করে, তারপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। স্বীয় হস্তদ্বয় ও মুখমন্ডল মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে কোন অসুবিধায় ফেলতে চান না, কিন্তু তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান এবং তার নেয়ামত সমূহ পূর্ণরূপে দান করতে চান, যাতে তোমরা তার কৃতজ্ঞতা করতে পার। (সূরা মায়েদাঃ ৬)
বীর্য নির্গত হলে কোন কিছু দিয়ে পরিষ্কার করে নামাজ আদায় করা যাবেনা।কারণ, বীর্য নির্গত হলে ব্যক্তি নাপাক হয়ে যায়।আর নাপাক অবস্থায় নামাজ আদায় করা যায়না। এধরণের নাপাকির সম্মুখীন হলে এবং নামাজ আদায়ের ইচ্ছা থাকলে, আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের পবিত্রতা অর্জনের নির্দেশ দিয়েছেন। সূরা আল মায়িদা ( আয়াত, ৬) এমনকি এধরণের ব্যক্তিদের কে মসজিদে গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি হায়েজ বিশিষ্ট মহিলা এবং নাপাক বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্য মসজিদ বৈধ রাখি না।( বাইহাকী শরীফ ৪৪৯৫)