মুসলমাদের ধর্মীও গ্রন্থ হলো আল- কুরআন। আসমানী কিতাব সমূহের মধ্যে প্রথম স্থান পবিত্র আল-কুরআনের। মহান আল্লাহ তার প্রিয় হাবীবের মাধ্যমে বিশ্ব জগতের শান্তি ও মানব জাতির হিদায়েতের জন্য মহাগ্রন্থ আল- কুরআন নাজিল করেছেন। আল-কুরআনে ১১৪ টি সূরা আছে। প্রত্যেকটা সূরারই এক বা একাধিক ফজীলত রয়েছে। তবে সূরা ইয়াসীনের ফজীলত সম্পর্কে অনেক হাদিসে বর্ণিত আছে। তবে এগুলির মানের দিক থেকে কেউ কেউ বলছেন যঈফ, জাল ইত্যাদি। তবে নিম্নে যে হাদিস উল্লেখ করা হলো এ ব্যাপারে আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র হুমাইদ ইবনু আবদুর রহমানের সূত্রে এ হাদীস জেনেছি। বসরায় এই সূত্র ব্যতীত কাতাদার রিওয়াত প্রসঙ্গে কিছু জানা নেই। হারূন আবূ মুহাম্মাদ একজন অপরিচিত শাইখ। আবূ মূসা মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না হতে তিনি আহমাদ আবদুর রহমান (রাহঃ) সূত্রে হাদীসের মতই বর্ণনা করেছেন। এ অনুচ্ছেদে আবূ বাকর সিদীক (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। সনদের দিক হতে তার সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি সহীহ নয়। এর সনদসূত্র দুর্বল। এ অনুচ্ছেদে আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। কুতায়বা ও সুফইয়ান ইবন ওয়াকী (রহঃ) আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিটি বস্ত্তুরই অন্তর আছে। কুরআনের অন্তর হল সূরা ইয়াসীন। যে ব্যক্তি সূরা ইয়াসীন পাঠ করবে আল্লাহ তাআলা তার এ পাঠের বিনিময়ে দশ বার কুরআন পাঠ করার সমতুল্য ছওয়াব নির্ধারণ করবেন। (সূনান তিরমিজী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৪৮/ কুরআনের ফযীলত।, হাদিস নম্বরঃ ২৮৮৭, যইফাঃ ১৬৯ হাদিসের মানঃ জাল)। মাকিল ইবনু ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃতদের কাছে সূরা ইয়াসিন পড়ো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ১৪৪৮ আবূ দাউদঃ ৩১২১,হাদিসের মানঃ যঈফ)। কুরআন পাঠের প্রতিদান সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি পবিত্র কুরআনের একটি অক্ষর পড়বে, সে একটি নেকী পাবে। আর একটি নেকী দশটি নেকীর সমপরিমাণ। এই সহীহ হাদিস হিসাবে সূরা ইয়াসীন যেকোন সময় পাঠ করতে পারেন। তবে ফজর সালাতের পরে পড়া উত্তম মনে করি। জনাব! সুরা ইয়াসীন যেকোন সময় পাঠ করতে পারেন। কেননা, রাসূল (সাঃ) বলেন, তোমরা কুরআন পাঠ কর। কেননা কিয়ামত দিবসে কুরআন তারপাঠকের জন্য সুপারিশকারী হবে। (মুসলিম)।
সূরা ইয়াসীন আল-কুরআনের ৩৬ তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৮৩টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ৫টি। এই সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এক হাদিসে মুহাম্মাদ (সঃ) বলেন, এই সূরাকে কোরআনের হৃৎপিণ্ড বলা হয়। এক হাদীসে এ সূরাকে "আয়ীমা" বলা হয়েছে এবং অপর এক হাদীসে পাওয়া যে, তওরাতে এ সূরাকে "মুয়িম্মাহ" বলে উল্লেখিত রয়েছে।
এটা কোরাআনের অপরিহার্য বিষয়বস্তুর প্রদর্শন করে, যেমন আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আল্লাহর সীমাহীন ক্ষমতার উদাহরণস্বরূপ হিসেবে তাঁর সৃষ্টি, জান্নাত, বহু-ঈশ্বরবাদী এবং অবিশ্বাসীদের জন্য পুনরুত্থানের পরে তার চরম শাস্তি, এবং অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসীদের সংগ্রাম এবং অন্যদের মধ্যে মুমিনরা যে সঠিক পথের উপর ছিল তা পুনরায় নিশ্চিত করা।