Call

গত শুক্রবার জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে পাক প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যুটি বিশ্ব নেতাদের সামনে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ভারত সরকারের নির্মম অত্যাচারের বিষয়টি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরে ইমরান খান বলেন, গত ৫২ দিন ধরে ৮০ লাখ কাশ্মীরিকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ৯ লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করে সেখানকার নাগরিকদের সঙ্গে পশুসুলভ আচরণ করছে আরএসএস মতাদর্শী মোদি সরকার। আরএসএস মতাদর্শী ভারতের বর্তমান সরকার হিটলারের নাৎসি বাহিনীর মানসিকতা নিয়ে মুসলিমনিধন করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ সরকারের হাতেই গুজরাটে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা পরিচালিত হয়েছে। কাশ্মীরে কারফিউ প্রত্যাহারের পর আমরা আবারও এমন একটি গণহত্যার আশঙ্কা করছি। মুসলিম নির্যাতনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নীরবতার সমালোচনা করে ইমরান খান বলেন, মুসলমানদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাদের ব্যাপারে সবাই নীরব বসে থাকে। আজকে যদি ইহুদিরা এভাবে অবরুদ্ধ থাকতো, তাহলে কি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া এমন হতো? রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানো হলো, আন্তর্জাতিক শক্তি কি ভূমিকা পালন করেছে? তিনি বলেন, মুসলিমদের মধ্যে যারা উগ্রবাদে জড়ায়, তারা ইসলামের কারণে নয় ইনসাফের অভাবেই এ পথে পা বাড়ায়। এ জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায় এড়াতে পারে না। প্রায় ৫০ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে গত প্রায় দু মাস ধরে ৮০ লাখ কাশ্মীরিকে যেভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তা যে কোনো সময় বিপজ্জনক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। ইমরান খান বলেন, ‘যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো যুদ্ধ হয়, তাহলে ছোটো দেশে হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার ছাড়া পাকিস্তানের কোনো বিকল্প থাকবে না। একবিংশ শতাব্দীতে এসে গণহত্যা, জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, আমৃত্যু লড়াই এ ধরনের শব্দ ব্যবহার মধ্যযুগীয় মানসকিতার বহিঃপ্রকাশ।'

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ