শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Habib96

Call

কোন ব্যাক্তি অপবিত্র অবস্থায় নামাজ পড়লে তার নামাজ হবে না৷ সুতরাং তার জন্য ওয়াজিব হলো পবিত্রতা অর্জন করা এবং পূণরায় নামাজ আদায় করা৷ এটি সকল আলেমের সর্বসম্মত মত৷ তবে ভুলবশত অপবিত্র অবস্থায় নামাজ পড়ার কারণে তার কোন গুনাহ হবে না৷ 

قال النووي في المجموع (2/78)

" أَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى تَحْرِيمِ الصَّلاةِ عَلَى الْمُحْدِثِ ، وَأَجْمَعُوا عَلَى أَنَّهَا لَا تَصِحُّ مِنْهُ سَوَاءٌ إنْ كَانَ عَالِمًا بِحَدَثِهِ أَوْ جَاهِلًا أَوْ نَاسِيًا ، لَكِنَّهُ إنْ صَلَّى جَاهِلا أَوْ نَاسِيًا فَلا إثْمَ عَلَيْهِ ، وَإِنْ كَانَ عَالِمًا بِالْحَدَثِ وَتَحْرِيمِ الصَّلاةِ مَعَ الْحَدَثِ فَقَدْ ارْتَكَبَ مَعْصِيَةً عَظِيمَةً " اهـ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নামায সম্পন্ন করার পর জানা গেল যে, কাপড়ে নাপাকি ছিল। অথবা কাপড়ে নাপাকি থাকার কথা আগে থেকেই জানতো কিন্তু ভুলে গিয়েছে। নামায শেষ হওয়ার পর সেকথা স্মরণ হল। এ অবস্থায় তাদের নামায বিশুদ্ধ হবে। পুনরায় নামায ফিরিয়ে পড়ার দরকার নেই। কেননা সে তো এই নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত হয়েছে না জেনে অথবা ভুলক্রমে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা যদি ভুলে যাই বা ভুলক্রমে কোন কিছু করে ফেলি তবে আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। (সূরা বাকারাঃ ২৮৬) আল্লাহ তাআলা বলেন, এ ব্যাপারে তোমরা যে ভুল ত্রুটি করে ফেলেছ তাতে তোমাদের কোন গুনাহ হবে না। (সূরা আহযাবঃ ৫) আর ভুল করে কিছু করলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন (সূরা আনআমঃ ৬৮)। একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুতা নিয়ে নামায আদায় করছিলেন, কিন্তু তাতে ছিল নাপাকি। তিনি তা জানতেন না। জিবরাঈল (আঃ) সে ব্যাপারে তাকে অবহিত করলে নামায চলাবস্থায় তিনি তা খুলে ফেললেন। এক্ষেত্রে তিনি নতুন করে নামায আদায় করেননি। তবে কেউ যদি ভুলক্রমে ওযু না করে নামায আদায় করে। তারপর নামায শেষে স্মরণ হলো যে, সে বিনা ওযুতে নামায আদায় করেছে। তবে তার উপর ওয়াজিব হচ্ছে, ওযু সম্পাদন করে নামায ফিরিয়ে পড়া। অনুরূপভাবে কেউ যদি অজ্ঞতাবশতঃ বা ভুলক্রমে শরীরে নাপাকি নিয়ে নামায আদায় করে, অতঃপর কাপড়ে বীর্য দেখে জানতে পারে বা নাপাকির কথা স্মরণ হয়, তবে যতগুলো নামায সে অপবিত্রাবস্থায় আদায় করেছিল সবগুলোই ফিরিয়ে পড়বে। উভয় মাসআলার মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, প্রথম মাসআলাটিঃ অর্থাৎ কাপড়ে নাপাকী নিয়ে নামায আদায় করা হচ্ছে, নিষিদ্ধ বিষয়কে পরিত্যাগ করা। আর দ্বিতীয়টিঃ অর্থাৎ- বিনা ওযুতে বা শরীর নাপাক অবস্থায় নামায আদায় করা হচ্ছে, নির্দেশিত বিষয় যা ওযু-গোসলের মাধ্যমে বাস্তবায়িত করতে হয়। আর নির্দেশিত বিষয় অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। বিষয়টির উপস্থিতি ব্যতিরেকে ইবাদত বিশুদ্ধ হবে না। কিন্তু কাপড়ে নাপাকির বিষয়টি হচ্ছে না থাকা। অর্থাৎ- ওটার অনুপস্তিত ব্যতীত নামায বিশুদ্ধ হবে না। অতএব অজ্ঞতা বশতঃ বা ভুলক্রমে যদি তা উপস্থিত থাকে তবে কোন অসুবিধা নেই। কেননা নামাযের আবশ্যক কোন কিছু এখানে ছুটে যায়নি। ফরজ গোসল না করে ভুলে নামাযআদায় করে ফেললে করণীয় হচ্ছেঃ ওই নামায পুণরায় পড়ে নিতে হবে। কেননা, পবিত্রতা ছাড়া নামায হয় না। হাদীস শরীফে এসেছে, আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, পবিত্রতা ছাড়া নামায গ্রহণযোগ্য হয় না। (সুনানে ইবনে মাজাহঃ ২৭২ সহীহ ইবনে খুজাইমাঃ ৯ সহীহ ইবনে হিব্বানঃ ৩৩৬৬)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ