আমার মতে, এখানে দুইটি বিষয় ঘটেছে। ১) মনোবিজ্ঞান অথবা ২) জ্বিনের সাথে যোগাযোগ। তিনি আপনাদের অনেক পরিচিত এবং আপনাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখেন। আর হয়তো কথার মাধ্যমে আপনার পিতার কাছ থেকে জেনেছেন যে, আপনাদের পরিবারের কেউ একজন তাঁকে কিছুটা অবিশ্বাস করে এবং তার মনে এরকম একটি প্রশ্ন আসবে। তাই তিনি সেই পরিস্থিতির জন্য তৈরি হয়েই এসেছেন এবং ভেবেছেন যদি প্রথমেই আপনাদেরকে চমকে দেওয়া যায়, তাহলে তাঁর প্রতি আপনাদের সন্দেহ দূর হয়ে বিশ্বাস আরো সুদৃঢ় হবে। এরকম দেখতে পাওয়া যায়, শার্লক হোমস এবং ফেলুদার গোয়েন্দা গল্পে। আর যদি জ্বিনের সাথে যোগাযোগ থাকে, তাহলে সেই খবর জ্বিনের মাধ্যমে পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। যেমন - একরাতে আমাদের বাড়িতে একজন ওঝা এসেছিল। তিনি যখন কাজ শুরু করলেন তখন বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন এবং কাজ থামিয়ে বললেন, এখানে কেউ বাধা সৃষ্টি করছে। তখন আমি বুঝতে পেরেছি। কেননা আমি তখন মনে মনে সূরা ফালাক্ব এবং নাস পড়ছিলাম। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া গায়বের খবর কেউ জানে না। (সূরাঃআন'আম(০৬)ঃ৫৯) এছাড়াও আরো অসংখ্য আয়াত আছে। "অনেক মানুষ জ্বিনদের আশ্রয় নিত..." (সূরাঃজ্বিন(৭২)ঃ০৬) তাই বলা যায়, নিঃসন্দেহে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ গায়বের খবর জানেন না এবং বিজ্ঞান ও জ্বিনদের মাধ্যমে এটি সম্ভব।