ফলে নানান সমস্যায় ভুগতে হয়,তাই এই লেইট মেরিজ যে ক্ষতি অভিভাবক কে কিভাবে বুঝাব  প্লিজ হেল্প  রেফারেন্স সহ বলবেন  জাযাকাল্লাহ 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

বলুন-আমাদের স্রষ্টা আল্লাহ তা’আলা মানুষের মধ্যে তার বিপরিত লিঙ্গের প্রতি এক সহজাত আকর্ষণ সৃষ্টি করেছেন। একের জন্য অন্যের সান্নিধ্যের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি ঢেলে দিয়েছেন। আর এই সান্নিধ্য প্রাপ্তির আইনগত, ধর্মীয় ও সামাজিক নিয়মের নাম হলো বিয়ে। ইসলামে বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়স সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। নারীরও নয়, পুরুষেরও নয়। পুরুষের বয়স বেশী হবে না নারীর—তা নিয়েও কিছু বলেনি। এটা মানুষের স্থান-কাল-পাত্র, পরিবেশ-প্রতিবেশ, মন-মনন, ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও রুচিবোধের উপর ছেড়ে দিয়েছে। ইসলাম যেহেতু গোটা সৃষ্টিজগতের স্রষ্টা মহান আল্লাহর দেওয়া ধর্ম। তাই মানুষের মানুষের স্বভাবজাতপ্রবণতা বা ফিতরাতের দাবীকে কখনো উপেক্ষা করেনি। কোনো রকম ভান-ভনিতা, লৌকিকতা ও কপটতার আশ্রয় গ্রহণ করা হয়নি।

মানুষের স্বভাবজাত কোনো প্রবণতাকে যদি কোনোভাবে দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা করা হয়, তখন ব্যাক-ফায়ার অনিবার্য। পানির স্বাভাবিক স্রোত যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে সে নিশ্চয়ই বিকল্প পথ বের করে নিবে।আমি/আপনি/আমরা যারা গ্রামেগঞ্জে গিয়েছি তারা হয়তো একটি ব্যাপার দেখেছি। বদ্ধ পুকুর বা জলাশয়ে পানি আসা-যাওয়ার যদি নালা না থাকে তাহলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ছোট ছিদ্র তৈরি হয় পানির নিকটতম স্রোতধারার সাথে।

নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত বিয়ে নিষিদ্ধের মতো করে যে স্বাভাবিক স্রোতকে বন্ধ করা হয়েছে,আমাদের দেশে বা সমাজে, তার বিকল্প নিশ্চয়ই দেখেছেন। ডাস্টবিন থেকে নবজাতক উদ্ধার। অমুক অমুক এলাকায় রমরমা দেহ ব্যবসা। এক দড়িতে ঝুলে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যা। পত্রিকার পাতায় স্থান না পেলেও আপনি, হ্যা, আপনি/আমিও এমন অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী। নিজ পরিবার, আত্মিয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে ঘটে যাওয়া অসংখ্য ঘটনার সাক্ষী আপনি নিজেই। উদাহরণ এর প্রয়োজন নেই!

এখন আপনাকে প্রশ্ন করতে পারে,তাহলে বিয়ে করার আদর্শ বয়স কতো?

আপনি বলুন ইসলাম এ বিষয়ে  কি বলেছে-ইসলাম বলে ছেলে মেয়ে বিয়ের ক্ষেত্রে দেরি করা ঠিক নয়। কেননা, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোন (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোন পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)

এবার আসুন কিছু যুক্তি নিয়ে -দেরিতে বিয়ে করার নেতিবাচক অনেকগুলো দিক রয়েছে।যেমন-

এক-মানব দেহের অনেক জটিলতা রয়েছে। মানব যৌবন বেশিদিন স্থায়ী হয় না এটা আমরা সবাই জানি। এ কারণে বিয়ে যদি দেরিতে করা হয় তাহলে নারী পুরুষ উভয়েরই কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন শারীরিক মিলন ঠিকভাবে না হওয়া, বাচ্চা না হওয়া, বাচ্চা মিসক্যারেজ হওয়া ইত্যাদি। এছাড়া ৩০ বছরের পরে নারীরা গর্ভধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে বা বাচ্চা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।

দুই-যদিও এই আধুনিক সমাজের মানুষেরা অনেক বেশি আধুনিক মন মানসিকতার হয়ে থাকেন। তারপরও বিয়ে দেরিতে করলে কিছু না কিছু সামাজিক জটিলতা হয়েই থাকে। মেয়ের অনেক বয়স হয়ে যাচ্ছে এটা যেমন সমাজের চোখে একটু দৃষ্টিকটু ঠিক তেমনি বয়স্কা মেয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্র খুঁজে পেতেও বেশ জটিলতা তৈরি হয়। মেয়ে যদি মাস্টার্স পাস করে ফেলে তাহলে তার জন্য ভালো এবং উপযুক্ত ছেলে পাওয়া বেশ কষ্টের হয়ে যায়। কেননা ছেলেরা বিয়ে করতে গেলে একটু কম বয়সের মেয়েদেরই খুঁজে থাকেন। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় নারীদের।

তিন-প্রতিটি পরিবারের একটি ভবিষ্যতের পরিকল্পনা রয়েছে। এ কারণে পরিকল্পনা মতই বিয়েটা দেরিতে করা একেবারেই উচিৎ না। কেননা দেখা যায় যে বিয়ের পরে যে দায়িত্বটা থাকে সেটি হল সন্তান মানুষ করা। বাবা মা যদি বেশি বয়স করে বিয়ে করেন তাহলে তারা তাদের সন্তানদের যথেষ্ট সেবা দিতে পারেন না। কারণ তারা অল্পতেই অনেক বেশি বয়সের অধিকারী হয়ে যান এবং সন্তানদের তাদের জীবিতকালে সুষ্ঠু সেবা দিতে পারেন না। এ কারণেও তাড়াতাড়ি বিয়ে করা উচিৎ। মোটামুটিভাবে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেও দেরিতে বিয়ে করা উচিৎ না।

এব্যাপারে কথা বললে আরো অনেক বলা যাবে,তবে..আর দীর্ঘ করলাম না!একথাগুলো বুঝিয়ে বলুন,ইনশাআল্লাহ বুঝবে!!  

আপনি আপনার পরিবারকে বুঝাতে না পারলে,কোন বুঝদার ও সম্মানি ব্যাক্তির মাধ্যমে বুঝান৷ 


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ