যদি কারো মা গর্হিত অপরাদ করে বা ছোট খাটো ভুল করে এবং ছেলে হিসেবে তখন ছেলের কি করা উচিত । নাকি মা যা করবে বা বলবে সব ঠিক কিছুই বলা যাবেনা। এক্ষেত্রে ইসলাম কি বলে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Tutul634

Call

না । তবে মায়ের ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিতে পারবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কোনদিনও পারবে না কারন যে আপনাকে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধরেছে তার ঋণ কখনো শোধ করতে পারবে না তার বিচার আপনি কিভাবে করবেন আল কুরআনে বলা হয়েছে আমি মানুষকে তাদের পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে।[৪] একটি হাদীসে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, মাতার পদতলে সন্তানের বেহেশত (স্বর্গ)। তাছাড়া একটি হাদীসে আছে তা হল মাকে তিন বার সেবা করার পর বাবাকে এক বার সেবা করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ছেলে যদি পেশাগত জাজ হয় তাহলে তো ন্যায়বিচার করা তার দায়িত্ব। কারণ আল্লাহ বিচারপতিদের বলেন "তোমরা ন্যায় বিচার করো। ওটাই তাকওয়ার অধিক নিকটবর্তী।" (সূরা মায়েদা, আয়াত ৮) কিন্তু যদি সাংসারিক বিচারের কথা বলেন তাহলে মা অপরাধ করলেও বিচার করা যাবেনা বরং তাকে নম্রভাবে বুঝিয়ে বলতে হবে।  কারণ আল্লাহ বলেন " পিতামাতার প্রতি কোনপ্রকার বিরক্তিকর শব্দও ব্যবহার করোনা, তাদের ধমক দিও না, তাদের প্রতি নম্র আচরণ কর " (সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত ২৩) 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ছেলে মায়ের বিচার করতে পারবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহর সাক্ষীস্বরূপ; যদিও তা তোমাদের নিজেদের বা পিতা-মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হয়; সে বিত্তবান হোক বা বিত্তহীন হোক আল্লাহ উভয়েরই ঘনিষ্টতর। কাজেই তোমরা ন্যায়বিচার করতে প্রবৃত্তির অনুগামী হয়ো না। যদি তোমরা পেঁচালো কথা বল বা পাশ কাটিয়ে যাও তবে তোমরা যা কর আল্লাহ তো তার সম্যক খবর রাখেন। (সুরা আন নিসাঃ ১৩৫) সাধারণতঃ দুটি কারণ মানুষকে ন্যায় ও সুবিচারে বাধা-প্রদান এবং অন্যায় ও অবিচারে প্ররোচিত করে। (এক) নিজের অথবা বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব। (দুই) কোন ব্যাক্তির প্রতি শক্রতা ও মনোমালিন্য। সূরা আন-নিসার আয়াতে প্রথমোক্ত কারণের উপর ভিত্তি করে সুবিচারের আদেশ দেয়া হয়েছে আর সূরা আল-মায়েদার আয়াতে শেষোক্ত কারণ হিসেবে বক্তব্য রাখা হয়েছে। সূরা আন-নিসার আয়াতের সারমর্ম এই যে, ন্যায় ও সুবিচারের ক্ষেত্রে নিজের এবং পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনেরও পরওয়া করো না। যদি ন্যায় বিচার তাদের বিরুদ্ধে যায়, তবে তাতেই কায়েম থাক। যদি কারো মা গর্হিত অপরাদ বা ছোট খাটো ভুল করে তখন ছেলে হিসেবে মাকে অতি নম্রসুরে বোঝানো উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ