শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শ্রেষ্ঠত্ব কত মহান তা আর নতুন করে বলা ও ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে না। তিনি সব যুগের শ্রেষ্ঠ মানব, যার তুলনা  তিনিই। তিনি সব নবীদের নবী, সব রাসূলদের রাসূল। তার আদর্শ পৃথিবীর সব আদর্শ ও আখলাকের চেয়ে উত্তম ও সুন্দর। তার আখলাক যে কেউ অনুসরণ করে চললে সে দামি হয়ে যাবে। আমরা তার আদর্শের অনুসারী বলেই শ্রেষ্ঠ উম্মতের দাবিদার। 

তবে এই শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ মিলবে তখন, যখন আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে প্রিয় নবীর আদর্শকে অনুসরণ করব। জীবনের সব কিছুর চেয়ে নবীর সুন্নত পালনে বেশি মনোযোগী হব। কারণ সুন্নতের আমল ছাড়া প্রিয় নবীর মহব্বত ও শাফায়াত লাভ করা যাবে না। এমনকি আল্লাহর সন্তুষ্টিও অর্জন করা সম্ভব হবে না। বায়হাকি ও মেশকাত শরিফে বর্ণিত এক হাদিসে আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উম্মতের বিগড়িয়ে যাওয়ার কালে আমার সুন্নতকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে, তার জন্য ১০০ শহীদের সওয়াব রয়েছে।
আমাদের বাসাবাড়িতে বিভিন্ন বিজ্ঞানী, দার্শনিক বা মনীষীদের জীবনী কম-বেশি আছে। অথচ মুসলমান হিসেবে, উম্মত হিসেবে নবীর জীবনী অনেকের কাছেই নেই। এটা অতীব দুঃখের বিষয়। তাই আমি নবী-প্রেমিকদের কাছে অনুরোধ করব, আসুন! আমরা অন্তত প্রিয় নবীর একটি জীবনীগ্রন্থ পাঠ করি এবং নিজ পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের পাঠ করতে উৎসাহিত করি। যত বেশি প্রিয় নবীর জীবনী পড়ব তত বেশি আল্লাহর রহমত আমরা পাব এবং আমাদের গুনাহগুলো মাফ হবে। জীবন হবে আলোকিত। সমাজ ও দেশের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে সন্দেহাতীতভাবে, ইনশাআল্লাহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

এটা আল্লাহ প্রদত্ত মর্যাদা। আল্লাহ প্রদত্ত জিনিসের কোনো কারণ লাগেনা। তার পরও বাহ্যিকভাবে কিছু কারণ বলা যায়। যথা :  ১) তিনি আখেরি যামানার নবী। ২) একমাত্র তিনিই মেরাজের সৌভাগ্য লাভ করেছেন। ৩) তার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে যা কিয়ামত পর্যন্ত রক্ষিত। অথচ অন্য নবীদের কিতাব পরবর্তীতে বিকৃতির শিকার হয়েছে।  ৪) তাঁর দ্বারা নবুয়তের ধারার সমাপ্তি ঘটেছে। ৫) কিয়ামতের মাঠে নবীদের মধ্যে একমাত্র তিনিই সুপারিশ করবেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ