আমার মনে মাঝে মধ্যে খুবই খারাপ চিন্তা আসে,কিন্তু আমি এমন চিন্তা করতে চাইনা, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন হয়,আমি কিভাবে এটা থেকে বেচে থাকতে পারি,কোনো দোয়া আছে কি
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

সৃষ্টির শুরু থেকেই শয়তান মানুষকে নানাভাবে কুমন্ত্রণা দিয়ে আসছে। দুনিয়াতে একজন মুমিন অবশিষ্ট থাকা অবস্থায় শয়তানের এ কাজ অবশিষ্ট থাকবে। 

শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) তার কিতাবুল ঈমানে বলেছেন, মুমিন ব্যক্তি শয়তানের প্ররোচণায় কখনো কুফরির মতো কুমন্ত্রণায় পতিত হয়। এতে তাদের অন্তর সঙ্কুচিত হয়ে যায়। 

মুমিন ব্যক্তির এমন কুমন্ত্রণাকে অপছন্দ করা সত্বেও তার মনে এর উদয় হওয়া এবং তা প্রতিহত করতে প্রাণপন চেষ্টা করা তার ঈমানদার হওয়ার প্রমাণ বহন করে। 

বস্তুত কোনো মানুষ যখন বুঝবে শয়তানের কুমন্ত্রণা প্রসঙ্গে, তখন তার উচিৎ কুমন্ত্রণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। সেই সঙ্গে মনে রাখা, এমন কুমন্ত্রণায় কোনো গোনাহ হয় না। 

এ প্রসঙ্গে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘(শয়তানের কুমন্ত্রণা)আমলে পরিণত করা অথবা মুখে উচ্চারণ না করা পর্যন্ত আল্লাহতায়ালা আমার উম্মতের মনের কুমন্ত্রণা বা ওয়াসওয়াসাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।’

শয়তানের প্ররোচনা বিষয়ে কুরআন-হাদিসের বক্তব্য, আল্লাহ বলেন, ‘যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি শ্রবণকারী মহাজ্ঞানী। (সূরা আ’রাফ : আয়াত ২০০)

সুতরাং শয়তানের প্ররোচনা থেকে আত্মরাক্ষার জন্য পড়তে হবে-উচ্চারণ,আঊ’জুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বা নির রাঝিম।

অর্থ- আমি বিতাড়িত শয়তানে হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউদ)

রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের ঘরসমূহ কবরে পরিণত করবে না। নিশ্চয় শয়তান ঐ ঘর থেকে পলায়ন করে যেখানে সূরা বাকারাহ্‌ পাঠ করা হয়। সুতরাং যাদের সম্ভব সূরা বাক্বারা পাঠ করবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ